০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ জিলহজ ১৪৪৫
`

টানা চতুর্থ দিনের কর্মবিরতিতে ঢাবি শিক্ষক-কর্মচারীরা

-

সর্বজনীন পেনশন যুক্ত প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে টানা চতুর্থ দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক,কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একইসঙ্গে প্রতিবাদী সমাবেশ, অবস্থান গ্রহন কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের মূল ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন কর্মবিরতিতে থাকা শিক্ষকরা। এসময় প্রত্যয় স্কিম বাতিল, সুপার গেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অর্ন্তভুক্তিসহ স্বতন্ত্র বেতল স্কেলের দাবি তুলে ধরেন।
এর আগে, গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একই দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রতিবাদী সমাবেশ করে । এসময় প্রত্যয় স্কিম বাতিল চাই, বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই, অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই বলে স্লোগান দেয়।
দুপুরে কলা ভবনের মূল ফটকে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা বলেন,প্রত্যয় স্কিম নিয়ে অর্থমন্ত্রী যে ব্যখা দিয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট নই। তাকে আমাদের সাথে সংলাপের আহ্বান জানাই। তখন তথ্য-উপাত্ত দিয়ে আপনাকে বুঝিয়ে দেব কতটা যৌক্তিক আমাদের এই আন্দোলন। তিনি আরো বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের অনানুষ্ঠানিকভাবে কথা হয়েছে। তাকে প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাখ্যানের স্বাক্ষরযুক্ত নথি দিয়েছি । বর্তমান ও ভবিষৎ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের জন্যই এ আন্দোলন। ভবিষ্যতে তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবেন। শান্তিপূর্ণ এই আন্দোলনকে ঘিরে অনেক ধরনের অপপ্রচার চলছে। বলা হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে এ আন্দোলন করা হচ্ছে। মূলত শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের জন্যই এ আন্দোলন করছেন। প্রত্যয় স্কিমের মাধ্যমে সারা দেশের শিক্ষকদেরই ভবিষ্যতকে জিম্মি করা হচ্ছে বলে অভিব্যাক্তি করেন তিনি ।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভুঁইয়া বলেন, পদ্মাসেতু সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর একটি জরুরি সাক্ষাৎ রয়েছে। তাই তিনি (ওবায়দুল কাদেরের) আমাদের সময় দিতে পারেননি। শুক্রবার মন্ত্রী বৈঠকের বিষয়ে আমাদের জানাবেন। তবে দাবি আদায় না হওয়া অবধি আমরা আমাদের কর্মবিরতি ও আন্দোলন চালিয়ে যাব।
অন্য দিকে গতকাল সকালে প্রতিবাদী সমাবেশে কর্মকর্তা-কর্মচারী নেতৃবৃন্দ বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অচল করে দেবো। সারাদেশের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বাত্মক আন্দোলনের মাধ্যমে সারাদেশ অচল হয়ে যাবে। শিক্ষার্থীদের বলি, আপনাদের হয়তো সাময়িক সমস্যা হচ্ছে কিন্তু এই আন্দোলন আপনাদের জন্যও। আপনারাও একসময় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে যোগ দেবেন। আপনাদের ভবিষ্যতের সুবিধার জন্য আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।


আরো সংবাদ



premium cement