০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ জিলহজ ১৪৪৫
`

এলপি গ্যাসের দাম বাড়ল

-

দেশে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম ভোক্তাপর্যায়ে ১২ কেজিতে এবার তিন টাকা বাড়িয়ে এক হাজার ৩৬৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। যেখানে গত মাসে কমানো হয়েছিল ৩০ টাকা। গৃহস্থালিতে সর্বাধিক ব্যবহৃত এ গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় জনভোগান্তি আরো বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এমনিতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় সব ধরনের পণ্যের দামই বেড়েছে। বাড়তি ব্যয় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ভোক্তারা। এর ওপর এলপি গ্যাসের দাম বৃদ্ধি ভোগাবে ভোক্তাদের।
গতকাল মঙ্গলবার বিইআরসি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন দর জানানো হয়। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো: নূরুল আমিন নতুন এই দর ঘোষণা করেন। সংস্থাটি প্রতি মাসেই এলপিজির দাম নির্ধারণ করে। বিইআরসির নতুন দর অনুযায়ী, বেসরকারি এলপিজির মূল্য সংযোজন করসহ (মূসক/ ভ্যাটসহ) দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ১১৩ টাকা ৮৬ পয়সা, যা গত মাসে ছিল ১১৩ টাকা ৫৫ পয়সা। এই হিসাবে বিভিন্ন আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হবে।

সরকারি কোম্পানির সরবরাহ করা এলপিজির দাম ৬৯০ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে আর গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটো গ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ৬২ টাকা ৭০ পয়সা, যা এত দিন ছিল ৬২ টাকা ৫৩ পয়সা। বাজারে সাড়ে ৫ কেজি থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি পর্যন্ত বিভিন্ন আকারের সিলিন্ডার সরবরাহ করা হয়। গৃহস্থালি রান্নার পাশাপাশি রেস্তোরাঁ, পরিবহন, ছোট-বড় শিল্পকারখানায়ও এলপিজি ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বাজারের ৯৯ শতাংশের বেশি বেসরকারি খাতের দখলে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এ দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি। আমদানিকারক কোম্পানির চালান (ইনভয়েস) মূল্য থেকে গড় করে পুরো মাসের জন্য ডলারের দাম হিসাব করে বিইআরসি।


আরো সংবাদ



premium cement