গণমাধ্যমকে অর্ডার করিনি, অনুরোধ করেছি মাত্র : এসবি প্রধান মনিরুল
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০২ জুলাই ২০২৪, ০১:৪৩
পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, তিনি গণমাধ্যমকে অর্ডার করেননি, অনুরোধ করেছিলেন। গণমাধ্যমে পুলিশ কর্তাদের দুর্নীতির খবর প্রকাশের পর পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের দেয়া বিবৃতি নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মনিরুল ইসলাম এ কথা বলেছেন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, গণমাধ্যমকে কোনো ‘নির্দেশনা বা অর্ডার’ তারা দেননি, যাচাই-বাছাই করে সংবাদ প্রকাশের ‘অনুরোধ’ করেছিলেন মাত্র। তার কারণ, গণমাধ্যমে অনেক তথ্য ‘অতিরঞ্জিত ও খণ্ডিতভাবে’ এসেছে বলে তারা মনে করছেন।
হোলি আর্টিসান বেকারিতে হামলার বার্ষিকীতে সোমবার সকালে গুলশানের পুরনো থানার সামনে দীপ্ত শপথ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন মনিরুল ইসলাম। সেখানে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতির প্রসঙ্গ আসে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিঘার পর বিঘা সম্পত্তি, রিসোর্ট, ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি ও ফ্ল্যাট, বেশি কিছু কোম্পানিতে তার ও পরিবারের সদস্যদের মালিকানার বিষয়টি নিয়ে মাস দুয়েক ধরে তুমুল আলোচনা চলছে। আদালতের আদেশে বেনজীরের খোঁজ পাওয়া সব সম্পদ জব্দ এবং ব্যাংক হিসাব ও কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
তবে ওই আদেশ আসার আগেই ব্যাংক থেকে ‘টাকা তুলে’ সাবেক আইজিপি ও তার পরিবারের সদস্যরা দেশ ছেড়েছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের তলবে একবার সময় চেয়েও তাদের কেউ হাজির হননি।
এদিকে, ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক প্রধান আছাদুজ্জামান মিয়া এবং তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ নিয়েও গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিবেদন আসছে সংবাদ মাধ্যমে। আছাদুজ্জামানও দেশের বাইরে আছেন, যদিও দাবি করেছেন, তিনি ফিরবেন এবং সব প্রশ্নের জবাব দেবেন। পুলিশের পদে থাকা একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিষয়েও প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে; তাদের সম্পদের পরিমাণ আয়ের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ কি না, সে প্রশ্ন উঠেছে।
এমন প্রেক্ষাপটে পুলিশ সদস্যদের সংগঠন পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন গত ২১ জুন এক বিবৃতিতে এসব প্রতিবেদনকে ‘তথ্যসূত্রবিহীন বাস্তবতা বিবর্জিত’ বলে দাবি করে। পুলিশ বাহিনী নিয়ে ভবিষ্যতে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে ‘অধিকতর সতর্কতা ও সাংবাদিকতার নীতিমালা’ যথাযথভাবে অনুসরণের অনুরোধ জানায় পুলিশের এ সংগঠন।
পুলিশ কর্মকর্তাদের ওই বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন পাল্টা বিবৃতি দেয়। সেখানে পুলিশের বিবৃতির ভাষার সমালোচনা করা হয়। সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয় ওই বিবৃতি স্বাধীন গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার অপচেষ্টা। এর পেছনে দুর্নীতিবাজদের আড়াল করার চেষ্টা রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়। তবে ওই বিবৃতির পরও কিছু পুলিশ কর্তার দুর্নীতি নিয়ে গণমাধ্যমে নিউজ হতে দেখা গেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা