১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কানেক্টিভিটিকে উচ্চ পর্যায়ে নিতে কাজ করছে ঢাকা-দিল্লি

ভারতের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র
-

ভারতের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র রানধীর জেসওয়াল বলেছেন, নানা পস্থায় বাস্তবিক ও ডিজিটাল কানেক্টিভিটি সম্প্রসারণ করতে এবং আরো উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে বাংলাদেশ ও ভারত একসাথে কাজ করছে। বাণিজ্যিক সম্পর্ক শক্তিশালী করা, দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পৃক্ততা বাড়ানো এবং সম্পর্ককে উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যেতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র দফতরের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র এ সব কথা জানান।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক দিল্লি সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া রেলওয়ে কানেক্টিভিটি সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সম্পর্কে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, রেল ট্রানজিটের জন্য ভারত কোনো মাশুল দেবে কিনা, এর কোনো বাধ্যবাধকতা রয়েছে কিনা, বাংলাদেশের ভূখণ্ড অতিক্রম করার সময় কোনো আধা সামরিক বাহিনী বা নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়ন করা হবে কিনা?
জবাবে রানধীর জেসওয়াল বলেন, এগুলো খুবই টেকনিক্যাল প্রশ্ন। দুই দেশের কারিগরি কমিটির বৈঠকের সময় এ ধরনের প্রশ্ন উত্থাপিত হলে তা নিয়ে দুই সরকারের মধ্যে আলোচনা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২১ ও ২২ জুন দিল্লি সফর করেন। এই সফরের ওপর আলোকপাত করে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়েত্রা ২২ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে রেলওয়ে কানেক্টিভিটি বিষয়ক এমওইউ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ছয়টি আন্তঃদেশীয় রেলওয়ে সংযোগ রয়েছে। এই রেলওয়ে কানেক্টিভিটির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ট্রানজিট। এর ফলে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের বিভিন্ন অংশের মধ্যে রেল সংযোগ চালু হবে। শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে এই বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এই কানেক্টিভিটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অবকাঠামোগত অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে। এটা থেকে দুই দেশ, দুই সমাজ এবং দুই দেশের অর্থনীতি খুবই উপকৃত হবে। বাংলাদেশের সাথে ভুটান ও নেপালের উপ-আঞ্চলিক ট্রানজিট নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এর একটি অংশ এখনই বিদ্যমান, যা আরো সম্প্রসারিত ও শক্তিশালী করা হবে।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি আরো বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে কানেক্টিভিটি ভৌগোলিক নৈকট্যকে শুধু ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নয়, সমগ্র অঞ্চলের জন্য নতুন অর্থনৈতিক সুযোগে রূপান্তরিত করতে পারে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা রাজশাহী ও কলকাতার মধ্যে একটি নতুন যাত্রীবাহী ট্রেন সার্ভিস চালু করছেন এবং পরে গেদে-দর্শনা থেকে হলদিবাড়ি-চিলাহাটি আন্তঃসীমান্ত ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ রেলওয়েতে একটি পণ্য ট্রেনের ট্রায়াল চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এই রেল যোগাযোগের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো বাংলাদেশের ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে ভারতের বিভিন্ন অংশের মধ্যে ট্রানজিট যা তারা এগিয়ে নিচ্ছেন এবং এ দিনের আলোচনা সেদিকেই কেন্দ্রীভূত হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement