১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
প্রসঙ্গ : পুলিশের বিবৃতি

সাংবাদিকদের ভীতি প্রদর্শনে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি

-

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, কার্যকর গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের ভূমিকা জোরালোভাবে সমর্থন করে। এই গুরুত্বপূর্ণ কাজে বাধা সৃষ্টির লক্ষ্যে সাংবাদিকদের হয়রানি বা ভীতি প্রদর্শনের যেকোনো প্রচেষ্টায় আমরা আপত্তি জানাই।
গতকাল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যম নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএসএ) বিবৃতি সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মুখপাত্র এ সব কথা বলেন। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, পুলিশের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করায় সম্প্রতি গণমাধ্যমগুলোকে হুমকি দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন একটি বিবৃতি দিয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা যে ধরনের ব্যাপকভিত্তিক দুর্নীতির সাথে জড়িত সে তুলনায় প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো নগন্য। বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রত মিডিয়াগুলো প্রায়ই এ ধরনের ঘটনাগুলো এড়িয়ে চলে। একটি নেতৃস্থানীয় ইংরেজি দৈনিকের সম্পাদক প্রকাশ্যেই স্বীকার করেছেন, জানা দুর্নীতির ঘটনাগুলো তারা প্রকাশ করতে পারে না। আপনি জানেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশ ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৬৫তম অবস্থানে রয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি হুমকি ও দুর্নীতি দমনে যুক্তরাষ্ট্র কি পদক্ষেপ নিতে পারে?
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি গণমাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের নিয়ে অনুসন্ধানমূলক ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে। এগুলোকে অতিরঞ্জিত, আংশিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে বিপিএসএ। বিবৃতিতে প্রতিবেদন প্রকাশে আরো সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
পুলিশের এই বিবৃতিকে সাম্প্রতিক সময়ে ফাঁস হওয়া সাবেক শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পদ অর্জনের তথ্য প্রকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির পাশাপাশি পুলিশ বাহিনীর একাংশের দুর্নীতির সুরক্ষা দেয়ার অপচেষ্টা হিসেবে অভিযোগ করেছে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন, ফোরাম ও দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরে ব্রিফিংয়ে আরো প্রশ্ন করা হয়, সম্প্রতি ভারত সফরকালে নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে বৈঠক হয়। পরে যৌথ বিবৃতিতে আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতায় অংশীদারিত্বের অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে একটি অবাধ, উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, নিরাপদ ও নিয়মতান্ত্রিক ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতি উভয় দেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়। এই প্রতিশ্রুতি কি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য অনুরূপ দৃষ্টিভঙ্গি প্রচারে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহকে প্রতিফলিত করে?
জবাবে মিলার বলেন, আমি নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি নিয়ে কথা বলতে চাই না, কারণ আমি বিবৃতিটি পড়িনি। এটি নিয়ে আমার সহকর্মীদের সাথেও কথা হয়নি। তবে স্পষ্টতই আমরা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা সমর্থন করি। ওই অঞ্চলে আমাদের কর্মপ্রচেষ্টার এটাই এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য।


আরো সংবাদ



premium cement