১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ঢাকায় ফিরতেও নানা ঝক্কি ঝামেলা

রাজধানীর প্রবেশমুখ ধোলাইপাড় মহাসড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি : আবদুল্লাহ আল বাপ্পী -


গ্রামে গিয়েছিলেন নাড়ির টানে। ফিরতে হচ্ছে কাজের তাগিদে। যেতে যত না ঝক্কি ঝামেলা ছিল তার চেয়ে বেশি হচ্ছে ফিরতে। পথে পথে ভোগান্তি। বাড়তি ভাড়া, যানজট, বেশি দামে টিকিট কেটেও সময়মতো গাড়ি না পাওয়া, ঢাকার প্রবেশমুখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা। আরো কত ঝক্কি!
ঈদ শেষে ঢাকায় আসা একাধিক যাত্রী জানিয়েছেন, বাড়তি ভাড়া গুনে অনেক ঝক্কি ঝামেলার পরও নাড়ির টানে বাড়ি গিয়েছিলেন। আবার সেই বাড়তি ভাড়ায় নানা ভোগান্তি সাথে নিয়ে ফিরতে হচ্ছে তাদের। সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো শান্তির যাত্রার কথা মুখে বললেও পথে সেই শান্তি খুঁজে পায়নি যাত্রীরা। বরিশাল থেকে ঢাকায় আসা যাত্রী আসাদুজ্জামান বলেন, গৌরনদী পার হওয়ার পর থেকেই পথে পথে যানজট। ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত সেই যানজটের ভোগান্তি ছিল অসহ্য। বরিশাল থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত আসতে দুই ঘণ্টা লাগার কথা থাকলেও ওই পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে ৫-৬ ঘণ্টা। গাড়িটি কেরানীগঞ্জ বুড়িগঙ্গা সেতুতে প্রবেশমুখে আবারো যানজট। ওই জট ঠেলে দোলাইরপাড় আসতে প্রায় এক ঘণ্টা। এরপর হানিফ ফ্লাইওভারের পুরোটাই যানজট। ফ্লাইওভার পার হয়ে সায়েদাবাদ আসতে আরো প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবারো বলা হয়েছিল কেউ বাড়তি ভাড়া আদায় করতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কোনো কোনো এলাকায় মাইকিং করে বাড়তি ভাড়ায় যাত্রী বহন করা হয়েছে। যাত্রীরাও বাধ্য হচ্ছেন বাড়তি ভাড়া গুনতে। আরেক যাত্রী মোস্তফা কামাল জানালেন, বরিশালের নতুল্লাবাদ থেকে যতগুলো পরিবহন ঢাকায় আসছে সবগুলোতেই বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। তা দ্বিগুণেরও বেশি। মাহমুদা নামের এক যাত্রী জানান, উজিরপুরের শানুহার থেকে ঢাকার ভাড়া ৩০০ টাকা। সেই ভাড়া আদায় করা হচ্ছে সাড়ে ৫০০ থেকে সাড়ে ৬০০ টাকা। বরিশাল থেকে ঢাকার সায়েদাবাদের ভাড়া ৪০০ টাকা। এখন আদায় করা হচ্ছে ৮০০ টাকা। মানুষ ন্যায্যদামে টিকিটের জন্য এ কাউন্টার থেকে ও কাউন্টারে ঘুরছেন। কিন্তু সব কাউন্টারের অবস্থাই এক।

ঝালকাঠীর রাজাপুর থেকে ঢাকার সায়েদাবাদ পর্যন্ত সব পরিবহনের ভাড়া ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা ছিল। এখন কোনো কোনো পরিবহন দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া আদায় করছে। শাকুরার আগের ভাড়া ছিল ৬০০ টাকা। ঈদকে সামনে রেখে এখন ভাড়া নির্ধারণ করেছে ৯০০-১০০০ টাকা। লাবিবা পরিবহনে ভাড়া ছিল ৫৫০ টাকা। এখন ভাড়া আদায় হচ্ছে ১১০০ টাকা। বরিশাল এক্সপ্রেসের ভাড়া ছিল ৬০০ টাকা। এখন নির্ধারণ করেছে ৯৫০ টাকা। যমুনা লাইনের ভাড়া ছিল ৬০০ টাকা। এখন আদায় হচ্ছে ১২০০ টাকা। ইসলাম পরিবহনের ভাড়া ছিল ৬০০ টাকা। এখন আদায় হচ্ছে ১২০০ টাকা। ওই এলাকার কাউন্টার মালিকরা জানান, তারা পড়েছেন বিড়ম্বনার মধ্যে। ভাড়া বাড়িয়েছে কোম্পানি। কিন্তু কৈফিয়ত দিতে হচ্ছে তাদের। হয়রানির শিকার হচ্ছেন তারা। অথচ ৫০০-৬০০ টাকায় টিকেট কেটেও তারা যে কমিশন পেতেন; এখন ভাড়া দ্বিগুণ হয়েছে, কিন্তু তাদের কমিশন বাড়েনি।
ঢাকার প্রবেশমুখগুলো এখন মানুষের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে যাত্রাবাড়ী মোড়ের কথা শুনলে যে কেউ আঁতকে ওঠেন। একই অবস্থা বাবুবাজার এলাকার। কদমতলা থেকে যানজট ঠেলে ইংলিশ রোডের মোড় পর্যন্ত আসতে হয়। অনেক সময় এই পথটুকু আসতে সময় লেগে যাচ্ছে প্রায় দুই ঘণ্টা। স্থানীয়রা বলেছেন, বাবুবাজার ব্রিজের উপর যানজট লেগেই থাকে। এর মূল কারণ হচ্ছে ব্রিজের উপরেই রাখা হয় ভ্যান। আবার ব্রিজের উপরে হকারও বসছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
আর কোনো শহীদের লাশ উত্তোলন করতে দেয়া হবে না : সারজিস আলম রোববার থেকে ঢাকা-গাজীপুর রুটে চলবে বিআরটিসির এসি বাস সার্ভিস জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মীর খুনিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ বিজয় দিবসে জেলা-উপজেলায় বিজয়মেলা হবে শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা দোয়ারাবাজার সীমান্তে বিজিবির অভিযানে অর্ধকোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ চার স্তরের নিরাপত্তা থাকবে জাতীয় স্মৃতিসৌধে : ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ বিজয় দিবসে ঢাকা মহানগর ছাড়া সারাদেশে বিএনপির র‌্যালি ‘বন্দীদের তালিকা দিতে অস্বীকৃতি হামাসের’ ঢাকায় ৬ দিনব্যাপী নগর কৃষি মেলা শুরু জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সাবেক ফুটবলার মিখেইল কাভেলাশভিলি

সকল