মিয়ানমারের সঙ্ঘাত যেন বাংলাদেশকে প্রভাবিত না করে : মানবাধিকার কাউন্সিলে ঢাকা
- কূটনৈতিক প্রতিবেদক
- ২০ জুন ২০২৪, ০০:৪৯
সম্প্রতি বাংলাদেশের জনগণ ও স্থাপনা লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলি চালানোর কথা উল্লেখ করে জেনেভায় বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের ভারপ্রাপ্ত স্থায়ী প্রতিনিধি সঞ্চিতা হক বলেছেন, মিয়ানমারের সঙ্ঘাত তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে এটি যেন বাংলাদেশের জনগণ ও সম্পদকে প্রভাবিত না করে। তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া, রোহিঙ্গাদের নতুন করে বাস্তুচ্যুত করা এবং রোহিঙ্গা যুবকদের জোরপূর্বক বিভিন্ন সশস্ত্র সঙ্ঘাতে ঠেলে দেয়ার খবরে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ একই সাথে মিয়ানমারে যুদ্ধরত সব পক্ষকে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দেয়া এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছে।
জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৬তম অধিবেশনে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর অনুষ্ঠিত একটি সংলাপে এ আহ্বান জানান সঞ্চিতা হক। মানবাধিকার কাউন্সিলের অধিবেশন গত ১৮ জুন জেনেভায় শুরু হয়েছে। চলবে ১২ জুলাই পর্যন্ত।
সঞ্চিতা হক বলেন, নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ প্রায় সাত বছর ধরে ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে আসছে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনই এ সঙ্কটের একমাত্র টেকসই সমাধান। বাংলাদেশ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের আত্তীকরণের জন্য তাদের জীবিকার ব্যবস্থা উন্নয়নকল্পে বিনিয়োগের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে।
ভারপ্রাপ্ত স্থায়ী প্রতিনিধি বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তার আহ্বান জানান। এ ছাড়া তিনি জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারকে ন্যায়বিচার অর্জন ও সঙ্কটের একটি টেকসই সমাধান না হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গা ইস্যুকে অগ্রাধিকার দেয়ার অনুরোধ করেন।
সংলাপের শুরুতে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক কাউন্সিলে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর একটি প্রতিবেদন পেশ করেন। তিনি সাম্প্রতিক সময়ে সহিংসতা বৃদ্ধি, রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক সশস্ত্রবাহিনীতে নিয়োগ এবং রাখাইনে ঘৃণ্য যুদ্ধকৌশল নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ভলকার তুর্ক ২০১৬ ও ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংস অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোধ করার জন্য সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা