১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লড়াই করে হার যুক্তরাষ্ট্রর

-

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে লড়াই করেই হারল যুক্তরাষ্ট্র। পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলকে বিদায় করে অনেকটা স্বপ্নের মতোই সুপার এইটে জায়গা করে নেয় টি-২০ বিশ্বকাপে প্রথমবার অংশগ্রহণে চমক দেখানো দেশটি। সূচি অনুসারে গতকাল সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্র মুখোমুখি হয় প্রোটিয়াদের। আগে ব্যাট করে ১৯৪ রান সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশাল রানের পাহাড়কে সামনে রেখে শুরুতে হোঁচট খেলেও শেষ পর্যন্ত ব্যাটারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ১৭৬ রানে থামে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে ১৮ রানের জয়ে সুপার এইট শুরু করল দক্ষিণ আফ্রিকা।
১৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্যকে সামনে রেখে শুরুটা ভালোই করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। ৩.২ ওভারে ৩৩ রান আসে ওপেনিং জুটিতে। চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে স্টিভেন টেলর ১৪ বলে ২৪ রান করে ক্লাসেনের ক্যাচে পরিণত হন রাবাদার বলে। রাবাদার দ্বিতীয় ওভারেই ৮ রানে বিদায় নেন নীতিশ কুমার। পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৫৩ রান করে যুক্তরাষ্ট্র। পরের ওভারেই দলীয় অধিনায়ক অ্যারন জোন্সকে শূন্য রানে ফেরান কেশভ মহারাজ। ৭১ রানে যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ উইকেটের পতন। ১২ রান করা কোরি অ্যান্ডারসনকে সরাসরি বোল্ড করেন অ্যানরিখ নর্টজে। দলীয় স্কোরে ৫ রান যোগ হতেই তাবরেজ শামসির বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন ৯ বলে ৩ রান করা শায়ান জাহাঙ্গীর।

এরপর আন্দ্রিস গাউস ও হরমিত সিংয়ের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। ৩৩ বলে ৫০ পূর্ণ করেন গাউস। এই জুটিতে আসে ৯১ রান। ১৯তম ওভারে আবার দক্ষিণ আফ্রিকার ত্রাতা হয়ে আসেন কাগিসো রাবাদা। ওভারের প্রথম বলেই স্টুবসের তালুবন্দি করেন ২২ বলে ৩৮ রান করা হরমিতকে। ১৬৭ রানে ষষ্ঠ উইকেটের পতন। শেষ পর্যন্ত আর পেরে উঠেনি যুক্তরাষ্ট্র। ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন গাউস। নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানে করে যুক্তরাষ্ট্র। তিনটি উইকেট নেন রাবাদা। ম্যাচ সেরা হন ডি কক।
অ্যান্টিগার নর্থ সাউন্ডে স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই ওপেনার শুরুটা ভালো করলেও ২.৪ ওভারে ১৬ রানে প্রথম উইকেটের পতন প্রোটিয়াদের। সৌরভ নেত্রভালকরের বলে কোরি অ্যান্ডারসনকে ক্যাচ দিয়ে ১১ বলে ১১ রান করে ফেরেন রেজা হেনড্রিকস। অন্য প্রান্তে চমৎকার দেখেশুনে খেলছিলেন অপর ওপেনার কুইন্টন ডি কক। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন ওয়ান ডাউনে পিচে আসা অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৬৪ রান সংগ্রহ পায় প্রোটিয়ারা। ১০ম ওভারেই দলীয় সেঞ্চুরি পূর্ণ হয় ‘চোকার’ খ্যাত দলটির। এর আগে অবশ্য ২৬ বলে চারটি করে চার ও ছক্কায় হাফ সেঞ্চুরি করেন ডি কক। এ জুটিতে আসে ১১০ রান।

যুক্তরাষ্ট্রকে এরপর ব্রেকথ্রু এনে দেন ১৩তম ওভারে হরমিত সিং। ওভারের দ্বিতীয় বলটি ফুলটস পেয়েও ঠিকমতো ব্যাটে-বলে সংযোগ ঘটাতে পারেননি ডি কক। ৭৪ করে বিদায় নেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ৪০ বলে ইনিংসটি সাজান ৭টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে। পরের বলেই রানের খাতা না খুলেই সাজঘরের পথ ধরেন ডেভিড মিলার। ১৪১ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন। দলীয় ১২৬ রানে দ্বিতীয় ও তৃতীয় উইকেটের পতন। মার্করাম আউট হন দলীয় ১৪১ রানে। তার ব্যাট থেকে আসে ৩২ বলে ৪৬ রান। এরপর হেনরিক ক্লাসেন ও ট্রিস্টান স্টুবসের ব্যাটে চড়ে নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। দু’টি করে উইকেট নেন নেত্রভালকর ও হরমিত সিং।


আরো সংবাদ



premium cement