সন্তুষ্ট হতাম যদি ৬০ বা ৭০ শতাংশ হতো
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ১০ জুন ২০২৪, ০০:০০
চলমান ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে গত চার ধাপের তুলনায় পঞ্চম ধাপের ১৯ উপজেলায় ভোটের হার বেড়েছে। এ ধাপে ৪৩.৯০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। ভোটে সন্তুষ্ট কি না জানতে চাইলে হাবিবুল আউয়াল বলেন, এটা সন্তুষ্টি, অসন্তুষ্টির বিষয় না। চট করে বলতে পারব না। আমরা হতাহতের খবর পাইনি। ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি, এমনটি হয়নি। সে দিক থেকে এটা ইতিবাচক। সেই দিক থেকে আমরা সন্তুষ্ট বোধ করছি। ভোট পড়ার হার ৬০ শতাংশ, ৭০ শতাংশ হলে আপনাদের মতো আমরাও সন্তুষ্ট হতাম। আশা করি মানুষ আগামীতে আরো সচেতন হবেন।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গতকাল ভোট গ্রহণ শেষে নিজ কার্যালয়ের সামনে গণমাধ্যমকে নির্বাচনের এই তথ্য জানান তিনি। এ সময় নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা ও মো: আনিসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, পঞ্চম ধাপে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে দু’জন পোলিং অফিসার নির্বাচনী অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন। এ দিক থেকে আমরা কঠোর ছিলাম। মোট চারজন আহত হয়েছেন। দু’জন গুরুতর হয়েছেন। সেখানে মোটামুটি বলা যায় কোপাকুপি হয়েছে। খুব যে গুরুতর ওরকম কিছু নয়।
ভোট প্রসঙ্গে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, চারটি ধাপে উপজেলা নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে আরেকটি ধাপ বেড়েছে। পঞ্চম ধাপে ১৯টি উপজেলায় নির্বাচন হলো। ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে এ পর্যন্ত ৪৬৯টিতে নির্বাচন সম্পন্ন করলাম। এবার প্রতিটি জেলায় তিনটি বা চারটি ধাপে হয়েছে। এ জন্য প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জন্য সহজ হয়েছে, স্বস্তিদায়কও হয়েছে। তিনি বলেন, ২৬টি উপজেলা নির্বাচন বাকি আছে। এর মধ্যে কয়েকটির এখনো মেয়াদপূর্তি হয়নি। কয়েকটি আদালতের নির্দেশনার কারণে স্থগিত রেখেছি। যথাসময়ে ওগুলো আমরা করব। তবে উপজেলা নির্বাচন মোটামুটি শেষ হয়েছে।
সিইসি বলেন, গতকালের নির্বাচনে এক হাজার ১৮০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২৩৫টি ভোটকেন্দ্রের হিসাব পেয়েছি। সে দিক থেকে ভোট পড়েছে ৪৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। কাজেই নিশ্চিত করে বলা যাবে না কত ভোট পড়েছে। তিনি বলেন, এই ধাপে ভোটার ছিল ৩০ লাখ ৪৬ হাজার। ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ছিল। তবে কিছু কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেই থাকে। অর্থের লেনদেন হয়ে থাকে। অনৈতিকভাবে অর্থের লেনদেনের খবরও আমরা পেয়ে থাকি। এগুলো বাস্তবতা। এগুলো উত্তরণের চেষ্টা পরিশেষে আমরা আলাপ-আলোচনা করে কিভাবে ঠিক করা যায়, তা ঠিক করব। তবে সার্বিকভাবে আমার মনে হয় নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণ হয়েছে। প্রশাসন, পুলিশের যে ভূমিকা, তা প্রশংসনীয়।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমাদের নির্দেশনা তারা কঠোরভাবে প্রতিপালন করছেন। রাজনৈতিক সদিচ্ছাও ছিল খুব ইতিবাচক। তবে এবার নির্বাচনে রাজনৈতিকভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল। দেখা গেছে দু-একটি দল ছাড়া বাকিরা রাজনৈতিক প্রতীকে অংশগ্রহণ করেনি। যার ফলে নির্বাচনটা আগের মতো স্থানীয়ভাবে ব্যক্তি ভিত্তিক হয়েছে। যদিও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা অংশগ্রহণ করেছেন, তবে রাজনৈতিক পরিচয়ে নয়।
ভোটার উপস্থিতি কম নিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে তো ব্যাপক অংশগ্রহণ হয়নি। যখন রাজনৈতিকভাবে ব্যাপক অংশগ্রহণ হয়, তখন ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বেড়ে যায়। স্বাভাবিকভাবে সে দিক থেকে এটি একটি কারণ হয়ে থাকতে পারে। আর ভোটারদের কেন্দ্রে আনার দায়িত্ব হচ্ছে প্রার্থীর। প্রার্থীরা তাদের কাছে আবেদন জানাতে পারে। এতে ভোটাররা কতটুকু সাড়া দেবে, এটি তাদের ওপর নির্ভর করে। তারা রাজনৈতিকভাবে সচেতন।
তিনি বলেন, তারা সেটা বিবেচনা করতে পারে। তবে আমাদের জন্য সেটা বিবেচ্য নয়। আমাদের জন্য বিবেচ্য হচ্ছে ভোটটা যেন শান্তিপূর্ণভাবে, সুষ্ঠুভাবে হয় এবং ভোটার যারা তারা যেন শান্তিপূর্ণভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। এখন যদি তারা ওখানে জোর করে ভোট দিয়ে থাকে তা হলে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে না। সেই দিকটায় আমরা বিশেষ করে জোর দিয়েছি। কোনো কিছুই স্থির থাকে না। আশা করি এটা ইম্প্রুভ হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা