মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী
- বাসস
- ০৯ জুন ২০২৪, ০০:০০
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গতকাল নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন। নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে তার শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি নয়া দিল্লি সফর করছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনের একটি বিশেষ ফ্লাইট গতকাল বেলা ১১টা ৫১ মিনিটে (স্থানীয় সময়) নয়াদিল্লির ভিভিআইপি বিমানবন্দর পালাম এয়ার ফোর্স স্টেশনে অবতরণ করে।
পালাম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব (সিপিভি ও ওআইএ) মুকতেশ পরদেশি, বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রনয় ভার্মা এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো: মুস্তাফিজুর রহমান অভ্যর্থনা জানান।
শেখ হাসিনা আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদানের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে একান্ত বৈঠক করবেন। পরে তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক আয়োজিত রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে যোগ দেবেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী রোববার নয়াদিল্লিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। তিনি নয়াদিল্লি ত্যাগ করতে সোমবার বিকেল ৫টায় (নয়াদিল্লি সময়) পালাম এয়ার ফোর্স স্টেশনে পৌঁছবেন এবং একই দিন রাত ৮টায় (বাংলাদেশ সময়) তার ঢাকা পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এর আগে বুধবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী টেলিফোনে কথোপকথনের সময় তার সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান।
১৮তম লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ ২৯৩টি আসনে বিজয়ী হয়েছে যেখানে বিরোধী ইন্ডিয়া জোট ২৩৪টি আসন পেয়েছে।
শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহে এবং নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহালসহ বিশ্ব নেতারা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এতে ৮ হাজারের বেশি বিশিষ্টজন উপস্থিত হবেন বলে বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের (এনডিএ) নিরঙ্কুশ বিজয় লাভে নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো জানিয়েছে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ বিজয় লাভ করার পর নরেন্দ্র মোদি শেখ হাসিনার কাছ থেকে একটি অভিনন্দন টেলিফোন কল পেয়েছেন। নির্বাচনে বিজয় লাভের পর শেখ হাসিনার উষ্ণ শুভেচ্ছার জন্য মোদি তাকে ধন্যবাদ জানান। মোদি বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে, যা গত এক দশকে নজিরবিহীনভাবে জোরদার হয়েছে।’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এর মাধ্যমে শেয়ার করা এক বার্তায় মোদি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গণমুখী অংশীদারিত্ব আরো জোরদার করতে তিনি একসাথে কাজ করার জন্য উন্মুখ রয়েছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা