১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

জাতিসঙ্ঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদে বাংলাদেশ নির্বাচিত

-

জাতিসঙ্ঘের অঙ্গসংস্থা অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের (ইকোসক) ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের নির্বাচনে বাংলাদেশ এশিয়া-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। এশিয়া-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে বাংলাদেশ ছাড়াও সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা ও উজবেকিস্তান এ নির্বাচনে জয়লাভ করেছে।
ইকোসক জাতিসঙ্ঘের মূল ছয়টি অঙ্গসংস্থার একটি। এটি বহুপক্ষীয় ও উন্নয়ন কূটনীতি প্রশ্নে জাতিসঙ্ঘের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফরম হিসেবে বিবেচিত।
গতকাল জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের সভাকক্ষে নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতিসঙ্ঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের সভাপতি ডেনিস ফ্রান্সিসের সভাপতিত্বে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ ১৮৯ ভোটের মধ্যে ১৮১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে।
নির্বাচনের বিজয় বার্তায় জাতিসঙ্ঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, এ বিজয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও সৃষ্টিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অব্যাহত উন্নয়নের স্বীকৃতি এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থা ও বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ। ইকোসকের সদস্যপদ আমাদের স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে টেকসই উত্তরণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, ইকোসকের সদস্যপদ জাতিসঙ্ঘের বিভিন্ন ফোরাম, কমিশন, কমিটি, নির্বাহী বোর্ড, ইউএনএসকপের মতো আঞ্চলিক প্লাটফরমগুলোতে সহায়ক নীতি প্রণয়নসহ বাংলাদেশের নেতৃত্ব এবং জাতিসঙ্ঘের ২০৩০ এজেন্ডা বাস্তবায়নের অব্যাহত প্রচেষ্টাকে আরো শক্তিশালী করবে। এ বিজয় আমাদের উন্নয়ন অভিজ্ঞতার সাফল্যগুলোকে বিশ্বের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে সহায়ক হবে।

এ দিকে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত সর্বসম্মতিক্রমে জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের আসন্ন ৭৯তম অধিবেশনের সেকেন্ড কমিটির চেয়ার নির্বাচিত হয়েছেন। গত শুক্রবার নিউ ইয়র্কে জাতিসঙ্ঘ সদর দফতরে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সেকেন্ড কমিটি জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ একটি কমিটি, যা বিশ্বসংস্থার আর্থিক, পরিবেশগত প্রভৃতি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কার্যক্রম তদারকি করে থাকে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, জলবায়ু পরিবর্তন, সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন, কিছু দেশের বিশেষ পরিস্থিতি, কৃষি উন্নয়ন, খাদ্যনিরাপত্তা অর্জন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয়গুলো এই কমিটির আওতাধীন।
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, জাতিসঙ্ঘের সেকেন্ড কমিটিতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব বৈশ্বিক নানাবিধ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্ধারণে অবদান রাখতে এবং অর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অভিযাত্রায় আমাদের অগ্রাধিকারগুলো আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরতে সাহায্য করবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
আমাদের সংবিধান ও পার্বত্য শান্তিচুক্তি চব্বিশের নতুন বাংলাদেশে বিজয় দিবস বাংলাদেশের ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব চীনের রাষ্ট্রদূতের সাথে মঈন খানের বৈঠক বীর মুক্তিযোদ্ধারা চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে : অ্যাডভোকেট জুবায়ের ভারতীয় চলচ্চিত্রে বাংলাদেশকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন! স্বাধীনতা যুদ্ধের সঠিক, প্রকৃত ইতিহাস লেখা হয়নি: বদরুদ্দীন উমর রাজশাহীতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ২ কর্মী গ্রেফতার জামায়াত নেতা ড. তাহের সম্পর্কে সাংবাদিক ইলিয়াসের মন্তব্যের প্রতিবাদ গাজীপুরে নতুন ট্রেন ও অসমাপ্ত বিআরটি লেনে বিআরটি বাস সার্ভিসের উদ্বোধন বেনজীর ও মতিউরের বিরুদ্ধে দুদকের ৬ মামলা

সকল