ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়কাল হবে ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন : ভূমিমন্ত্রী
- বাসস
- ০৯ জুন ২০২৪, ০০:০০, আপডেট: ০৯ জুন ২০২৪, ০০:৪৬
ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, জাতীয় আর্থিক বছরের সাথে সমন্বিত করে এখন থেকে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়কাল হবে প্রতি বছরের ১ জুলাই থেকে পরবর্তী ৩০ জুন পর্যন্ত।
গতকাল শনিবার রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ভূমিসেবা সপ্তাহ ২০২৪ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় ভূমি সচিব মো: খলিলুর রহমান সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো: আবদুস সবুর মণ্ডল, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মো: সাবিরুল ইসলাম এবং ঢাকার জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান।
নারায়ন চন্দ্র চন্দ আরো বলেন, অতীতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়কাল ছিল প্রতি বছরের ১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত (বঙ্গাব্দ)। কর আদায়কালের বর্তমান পরিবর্তনটি ভূমি উন্নয়ন করের আদায় প্রক্রিয়াকে অধিকতর সুষম, স্বচ্ছ ও কার্যকর হবে। এই নতুন পদ্ধতি আমাদের দেশের ভূমি রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করবে এবং রাজস্ব আদায়ে গতিশীলতা আনবে।
ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ জানান, অনলাইনে জমির মালিকানার তথ্য রয়েছে প্রায় ছয় কোটি ৪০ লাখের বেশি। ডাক বিভাগের মাধ্যমে নাগরিকের ঠিকানায় এই পর্যন্ত প্রায় আট লাখের অধিক খতিয়ান পৌঁছে দিয়েছে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ। বিদেশ থেকে সরাসরি ০৯৬১২৩১৬১২২ নম্বরে ফোন করে অথবা ভূমিসেবা পোর্টাল ষধহফ.মড়া.নফ অথবা ‘ই-খতিয়ান’ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি আবেদন করলে খতিয়ান ও মৌজা ম্যাপের সত্যায়িত কপি ১৯২টি দেশে নাগরিকের নিজ নিজ ঠিকানায় পাঠানোর ব্যবস্থা রয়েছে। কোনো খতিয়ান থেকে জমি নামজারি হওয়ার সাথে সাথে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিংয়ের মাধ্যমে মূল খতিয়ান হতে ধারাবাহিকভাবে সৃষ্ট নতুন খতিয়ানের ধারাবাহিক ক্রম প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট ভূমিসেবা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। কোনো খতিয়ানের দাগ শেয়ার হবে না, ভূমি নিয়ে কোনো মামলা-মোকদ্দমা থাকবে না, সীমানা বিরোধ হবে প্রায় শূন্য, নাগরিকরাকে খুব প্রয়োজন ছাড়া ভূমি অফিসে যেতে হবে না, এনআইডি দিয়েই পাওয়া যাবে একজন নাগরিকের জমির সব তথ্য। আর জমি ক্রয়ের সাথে সাথেই পাওয়া যাবে ‘সার্টিফিকেট অব ল্যান্ড ওনারশিপ’ বা সিএলও। যেসব জায়গায় একবার ডিজিটাল জরিপ সম্পন্ন হবে, সেখানে ভবিষ্যতে আর জরিপ করার প্রয়োজন পড়বে না।
ভূমি সচিব জানান, ভূমি মন্ত্রণালয় বিভিন্ন আইনি ও প্রশাসনিক জটিলতা দূর এবং নতুন জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই পদক্ষেপ ভূমি মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সহজতর এবং জনগণকে দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে জমিসংক্রান্ত সেবা প্রদানে সহায়তা করবে। নতুন জনবল নিয়োগের ফলে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে ‘ভূমি আমার ঠিকানা, স্মার্ট ভূমিসেবা স্মার্ট নাগরিক’ ‘ঢাকা জেলার খাসজমি চিহ্নিতকরণ, উদ্ধার ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম’, ‘ঢাকা জেলার জলমহাল সমগ্র’- এই তিনটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন ভূমিমন্ত্রী।
ভূমিসেবা সপ্তাহ ২০২৪ আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত চলবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ভূমি অফিসে সেবা গ্রহীতাদের সেবা সম্পর্কিত বিভিন্ন জিজ্ঞাসার সরাসরি উত্তর দিতে সেবা বুথ স্থাপন করা হবে এবং সেখানে একজন কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকবেন। এবার প্রথমবারের মতো আটটি বিভাগে বিশেষভাবে প্রস্তুত আটটি গাড়ি ভ্রাম্যমাণ স্মার্ট ভূমিসেবা প্রদান করবে। ভূমিসেবা নিয়ে সহজবোধ্য বই ‘ভূমি আমার ঠিকানা’ বিতরণ করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা