১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সঙ্কট না থাকলেও কমছে না সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম

- নয়া দিগন্ত

রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে সবজির কোনো সঙ্কট নেই। দোকানগুলোতে থরে থরে সাজানো রয়েছে সব ধরনের সবজি। কিন্তু দাম প্রায় নাগালের বাইরে। ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজিই মিলছে না। আলু-পেঁয়াজ-কাঁচা মরিচের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। সেই সাথে বাড়তি দামেই স্থিতিশীল রয়েছে ডিমের বাজার। এর আগে এই পণ্যগুলোর দাম বাড়ার পর কিছু দিনের মধ্যেই কমেছে। বাড়তি দামে অপরিহার্য পণ্যগুলো কিনতে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠেছে।
বাজারঘুরে দেখা গেছে, প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকা। হালি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ বছর আলু পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা কম। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ থাকলেও ওই দেশ ন্যূনতম রফতানিমূল্য ৫৫০ ডলার নির্ধারণ করে দিয়েছে। শুল্ক-করসহ এ পেঁয়াজ দেশে আনতে ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা খরচ হয়। যে কারণে কেউ পেঁয়াজ আমদানি করছে না। এতে বাজার শুধু দেশি পেঁয়াজের ওপর নির্ভর করেই চলছে। একই সাথে কোল্ড স্টোরেজ থেকেই আলু প্রায় ৫০ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে, যা পাইকারি বাজারে ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেগুনের কেজি মানভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ, পটোল, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা ও করলার কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি শসার কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতি পিস ৫০ টাকায়, কচুরমুখী কেজি ১২০ টাকা ও কচুর লতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

বাজারে প্রতি কেজি দেশি রসুন ২০০-২২০ টাকা এবং আমদানি করা চায়না রসুন ২২০-২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহে আদার দাম কেজিতে বেড়েছে ২০-৩০ টাকা। মানভেদে প্রতি কেজি দেশি বা বিদেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়।

খিলগাঁও বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী হাবিব বলেন, বাজারে সব ধরনের সবজিতে ভরপুর। কোনো সঙ্কট নেই। তারপরও ব্যবসায়ীরা একজোট হয়ে দাম বাড়িয়ে দেয়। বাজারে প্রায় প্রতিটি পণ্যেরই দাম ঊর্ধ্বমুখী। যে কারণে মাসের খাবার খরচ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। যেভাবে সব কিছুর দাম বাড়ছে, তাতে আমাদের মতো মানুষদের কিছুই কিনে খাবার উপায় নেই।

স্থিতিশীল রয়েছে মাংসের বাজার। রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি ব্রয়লার ২০০-২১০ টাকা এবং সোনালি জাতের মুরগি ৩৫০-৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৮০-৮০০ টাকা আর খাসি মাস ১১৫০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বড় রুই মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা, মাঝারি রুই ২৬০-২৯০ টাকা, রুই মাছের পোনা ২০০-২৫০ টাকা, কাতলা ৩০০-৩৫০ টাকা, বড় পাঙাশ ২০০-২৩০, ছোট পাঙাশ ১৮০-২০০ টাকা, পাবদা (আকারভেদে) ৪০০-৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি (আকারভেদে) ৬৫০-৭৫০ টাকা ও শিং মাছ (দেশি ও থাই) ৩০০-৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আবার ছোট, মাঝারি, বড় ইলিশ যথাক্রমে ৭০০-৮০০, ১০০০-১৩০০ ও ১৪০০-২০০০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ছোট মাছও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। কাঁচকি মাছ ৩০০ টাকা, মলা মাছ ৩০০-৪০০ টাকা, কৈ মাছ ৩৬০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
গুমে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন : র‌্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ আরাকানে সাড়ে ৪ শ’সেনা নিহত, জান্তার নিয়ন্ত্রণ শেষ বিপাকে রোহিঙ্গারা ভারতসহ সাত ‘অসহযোগী’ দেশের তালিকা ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের সিরীয়রা স্বাধীনতা উদযাপনের সময় দামেস্কে ইসরাইলের হামলা আগামীতে সবাইকে নিয়ে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে বেক্সিমকোর জন্য ১৮০ কোটি টাকা ছাড় করছে জনতা ব্যাংক বেকারত্বহীন বাংলাদেশ গঠনে কাজ করছে জামায়াত : ডা: শফিক বিজয় ঘোষণার অপেক্ষা ভারতকে দেয়া সুইজারল্যান্ডের বিশেষ সুবিধা প্রত্যাহার ফুলেল শ্রদ্ধায় বীর শহীদদের স্মরণ সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ পরিবর্তন করতেই হবে : আলী রিয়াজ

সকল