খেলাপি ঋণ বেড়ে এক লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ০৭ জুন ২০২৪, ০০:০৫
চলতি বছরের মার্চ প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩৬ হাজার ৬৬৭ কোটি টাকা। যা আগের প্রান্তিকের তুলনায় বেড়েছে ২৫ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুসারে, মার্চ শেষে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ বেড়ে হয়েছে এক লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ১১.০১ শতাংশ। খেলাপি ঋণের এ হার দেশের ব্যাংকিং ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এক বছর আগে ২০২৩ সালের মার্চে ছিল এক লাখ ৩১ হাজার ৬২০ হাজার কোটি টাকা এবং গত ডিসেম্বরে ছিল এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা।
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত মেনে রাষ্ট্রমালিকানাধীন চারটি ব্যাংককে চলতি জুনের মধ্যে খেলাপি ঋণ ১২ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক চারটি হলো- সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক ও রূপালী ব্যাংক। তবে মার্চ পর্যন্ত কোনো ব্যাংকের খেলাপি ঋণ এই সীমার মধ্যে আসেনি। কারণ, কোন কৌশলে খেলাপি ঋণ কমানো হবে, সে ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। ফলে সরকারি খাতের বেশির ভাগ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ না কমে উল্টো বেড়েছে।
বাংলাদেশের জন্য দেয়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্তের একটি হলো ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার কমানো। ২০২৪ সালের মধ্যে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে বলেছে সংস্থাটি। কিন্তু খেলাপি না কমে উল্টো বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে মার্চ শেষে ঋণের পরিমাণ তিন লাখ ১২ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা। এই ঋণের ২৭ শতাংশ খেলাপি। বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণ ১২ লাখ ২১ হাজার ১১৬ কোটি টাকা; যার ৭.২৮ শতাংশ খেলাপি। বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর ঋণের ১৩.৮৮ খেলাপি, আর বিদেশী ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের হার ৫.২০ শতাংশ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা