বেসরকারি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত করবে
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ০৭ জুন ২০২৪, ০০:০৫
আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকিং খাত থেকে যে বড় ধরনের ঋণ নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে তা বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকে ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত করবে বলে মন্তব্য করেছেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআ্রআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের ওপর তাৎক্ষণিক তিনি এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বাজেট ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকিং খাত থেকে বড় অঙ্কের টাকা নেয়ার কারণে মুদ্রা বাজারে অনেক বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। সুদের হার অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যেতে পারে। দেখা দিতে পারে আরো তারল্য সঙ্কট।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী গতকাল তার প্রথম বাজেট জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন। বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য ব্যাংক থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার পাচশ’ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
ড. মনসুরের মতে, মূল্যস্ফীতি কমবে যদি সরকার তার নীতিতে অটল থাকে। যদিও বাজেটে কিছু পদক্ষেপের কারণে কিছু পণ্যের মূল্য বাড়বে। কিন্তু তা সাধারণ মানুষের জন্য নয়। যেমন ফ্রিজসহ বেশ কিছু বিলাসী পণ্যের কথা বলা হয়েছে।
অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, সরকার একটি কঠিন সময়ে বাজেট পেশ করেছে। আকার ছোট করা হয়েছে। এটা ভালো দিক। তার পরেও বাস্তবায়নে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাত এখন দুর্বল। এমন অবস্থায় সরকার যদি ব্যাংক থেকে ঘাটতি মেটানোর জন্য এত বেশি অঙ্কের টাকা ধার করে, তাহলে ব্যক্তি খাতের ঋণ প্রবাহকে ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত করবে। ফলে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ হবে না।
পিআরআই নির্বাহী ড. মনসুর বলেন, হতদরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষকে কিছুটা সুবিধা দিতে প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তার আওতা বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে, যা একটি ভালো দিক। তবে এর প্রকৃত ফল নির্ভর করবে সঠিকভাবে বাস্তবায়নের ওপর। তিনি বলেন, যাদের জন্য এই বরাদ্দ দেয়া হবে, তারা যথাযথভাবে পেলে সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব হবে- এটা তদারকির ব্যবস্থা সঠিকভাবে করতে হবে।