প্রধানমন্ত্রী ২১ জুন ভারত, ৯ জুলাই চীন যাচ্ছেন
- কূটনৈতিক প্রতিবেদক
- ০৫ জুন ২০২৪, ০০:০০
টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে ভারত যাচ্ছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২১ জুন এই সফর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর পরবর্তী মাসে ৯ জুলাই তিনি চীন সফরে যাবেন।
বিগত জাতীয় নির্বাচনের পর ভারত ও চীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সবার আগে অভিনন্দন জানিয়েছিল। এশিয়ার এই দুই বৃহৎ শক্তির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা বাংলাদেশের জন্য কঠিন একটি কাজ। তিস্তা প্রকল্পসহ অনেক ক্ষেত্রেই ভারত ও চীনের মধ্যে মতভিন্নতা রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এই দুই শক্তির সাথে ভারসাম্য বজায় রেখে নিজের সুবিধা আদায়ে সচেষ্ট বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের প্রস্তুতি নিতে বেইজিংয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার সুন ওয়েডংয়ের সাথে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। গত সোমবার অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফরকে সফল করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছে দুই পক্ষ। বৈঠকে রাজনৈতিক সম্পর্ক, বাণিজ্য, মেগা প্রকল্প, দুই দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ, যুব প্রশিক্ষণ, দক্ষতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় পররাষ্ট্র সচিব বলেন, চীন বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে মূল্যবোধ ও পারস্পরিক সম্মান।
বাংলাদেশ থেকে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে পররাষ্ট্র সচিব বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে সহায়তা দেয়ার জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বঙ্গবন্ধুর ১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে চীন সফর নিয়ে লেখা বইটি প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে চীনা ভাষায় অনুবাদ করা হবে।
চীনের ভাইস মিনিস্টার জানান, পাঁচ জাতির সংগঠন ব্রিকসে বাংলাদেশকে যুক্ত করতে বেইজিং সহায়তা দিতে চায়। আগামী বছর চীন ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর পূর্তি হবে। এ উপলক্ষে দুই দেশের দূতাবাস অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারে।
বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে আমসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য আমদানির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন।
সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন বেইজিং সফর হবে একটি ‘গেম চেঞ্জার’, যা চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। অদূর ভবিষ্যতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষ করতে ঢাকার সাথে কাজ করতে প্রস্তুত বেইজিং।
২০১৪ সালে বেইজিংয়ে দ্বিপক্ষীয় সফর করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ঢাকা সফরে আসেন। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রীর আবারো বেইজিং সফর করেন। ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ে সর্বশেষ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছিল।
এ দিকে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপি ও তাদের জোট এনডিএ এগিয়ে রয়েছে। বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করলে নরেন্দ্র মোদি টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতের সরকার প্রধান হবেন। আর সেটা হলে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অতীতের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দক্ষিণ এশিয়ার নেতৃবৃন্দকে তিনি দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে কেবল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মোদি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা