ঢাকায় আটকে পড়া কর্মীদের আনার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০২ জুন ২০২৪, ০০:০০
ভিসা, বহির্গমন ছাড়পত্রসহ সব ডকুমেন্টস চূড়ান্ত হওয়ার পরও বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি ৩১ হাজার হতভাগ্য শ্রমিক। এসব শ্রমিকদের এখন অনেকেই রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক ও তাদের দালালদের হন্যে হয়ে খুঁজতে শুরু করেছেন। অনেকে আবার টাকা উদ্ধার ও গাফিলতিতে জড়িত এজেন্সির মালিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। এমন কর্মকাণ্ড হওয়ার পরও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালকসহ কারো পক্ষ থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত কোনো বক্তব্য মেলেনি। তবে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার শামীম আহসান কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে কর্মীদের খোঁজখবর নিতে গিয়ে বলেছেন, নির্ধারিত সময়ে যেতে না পারা কর্মীদের মালয়েশিয়ায় যাওয়ার বিষয়ে চেষ্টা অব্যাবত থাকবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের কর্মীদের ১ জুন থেকে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ বন্ধ করা হয়। দেশটির এমন সিদ্ধান্তে ভিসা পাওয়ার পরও বিমানের টিকিটসহ নানা জটিলতায় ঢাকায় আটকা পড়েন প্রায় ৩২ হাজার বিদেশগামী শ্রমিক। তাদের কান্নায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। এখানেও অনেক এজেন্সি প্রতারণার আশ্রয় নেয়। কর্মীদের ধরিয়ে দেয় বিমানের ভুয়া টিকিট। পরে ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তারা তাদের অফলোড করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এমন অরাজক পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো: শামীম আহসান কুয়ালালামপুরের শিপাং আন্তজার্তিক বিমানবন্দরে শুক্রবার রাতে হাজির হয়ে প্রথমে ঢাকা থেকে আসা শ্রমিকদের খোঁজখবর নেন এবং উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, যারা ভিসা পেয়ে মালয়েশিয়ায় আসতে পারেননি, তাদের নিয়ে আসার ব্যাপারে হাইকমিশনের পক্ষ থেকে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে, যেন তাদের দ্রুত নিয়ে আসা যায়।
শামীম আহসান বলেন, পাঁচ লাখ ২৭ হাজারের বেশি ডিমান্ড লেটার আমরা সত্যায়ন করেছি। এ পর্যন্ত চার লাখ ৭২ হাজারের বেশি কর্মী মালয়েশিয়াতে এসেছে। আমরা নিয়োগ কর্তাদের সাথে যোগাযোগ রাখছি, তারা যেন এসে এখানে কাজ পায়।
উল্লেখ্য, ৩১ মে’র পর বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশ থেকে আর কোনো শ্রমিক মালয়েশিয়ায় ঢুকতে না দেয়ার ঘোষণা গত মার্চেই দিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার।
এর আগে দেশটির এমন সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন না আসার কথা গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানান ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনা মোহম্মদ হাসিম।
মালয়েশিয়া থেকে সংবাদদাতা জানান, মালয়েশিয়া সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ৩১ মে’র পর বাংলাদেশসহ ১৫ দেশের শ্রমিক দেশটিতে ঢুকতে পারবেন না। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার শেষ মুহূর্তে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য উপচে পড়া ভিড় ছিল শাহজালাল বিমানবন্দরে। পাশাপাশি যে কর্মীরা মালয়েশিয়া বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন তাদের নিয়োগকর্তা রিসিভ করতে দেরি হওয়ায় প্রায় ২০ হাজার কর্মী আটকা পড়েছিলেন। গতকাল শনিবার সকালে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরের অবস্থা স্বাভাবিক হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা