১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
রেমালের প্রভাব

জুনের আগেই দেশে মৌসুমি বায়ু ঢুকেছে

-

এবার জুনের আগেই বাংলাদেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ঢুকে পড়েছে। এটা রেমালের প্রভাব বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। রেমাল যখন বাংলাদেশে আঘাত হানে ঠিক ওই সময়টাতেই বঙ্গোপসাগরে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশসহ আরো কিছু দেশে আসার জন্য তৈরি হয়। টেক্সবুকে যেভাবে লেখা হয় জুনে বাংলাদেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশে প্রবেশ করে, এবার ঠিক সে রকম নয়, এর আগেই এ বায়ু বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করেছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ এবং ঢাকা বিভাগের পূর্বাংশের জেলাগুলোতে ঢুকেছে। আশা করা হচ্ছে, এবার জুন মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই বাংলাদেশের সর্বত্র মৌসুমী ঢুকে যাবে। সাধারণত মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বাংলাদেশে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। কারণ এই বায়ুর সাথে থাকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প এবং এই জলীয় বাষ্প বাংলাদেশ অঞ্চলে প্রবেশ করলেই আকাশে প্রচুর মেঘ জমে এবং তা থেকে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে।
বিশিষ্ট জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ আমেরিকান জুলি এন রিঙ্গলি গ্লোবাল ফিউচার ল্যাবরেটরির সিনিয়র গ্লোবাল ফিউচার বিজ্ঞানি ড. রাশেদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে এবার বন্যার প্রবণতা বেশি থাকতে পারে। কারণ প্রশান্ত মহাসগারীয় অঞ্চলে এল নিনু অবস্থা পরিবর্তন হয়ে লা নিনা অবস্থায় আসছে। লা নিনার কারণে বাংলাদেশসহ এর আশ-পাশের দেশগুলোতে বর্ষা দীর্ঘায়িত হতে পারে এবং বেশি বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যার পরিধি বাড়তে পারে।

এদিকে মৌসুমী বায়ু ঢুকে পড়ায় ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গেছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এর আগের ২৪ ঘণ্টায় শুধু ঢাকা বিভাগ ছাড়া দেশের অন্যান্য বিভাগে কম-বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে রংপুর বিভাগের নীলফামারী জেলার ডিমলায় ৯৭ মিলিমিটার।
দেখা গেছে, গতকাল উল্লেখিত সময়ে রংপুর বিভাগেই সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এরপরই খুলনা বিভাগের প্রায় সর্বত্রই বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া সিলেট বিভাগের প্রায় সব জায়গায়। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের অল্প কয়েকটি অঞ্চল ছাড়া অন্যত্র বৃষ্টি হয়ে গেছে।
বৃষ্টির কারণে গতকাল দেশের তাপমাত্রা মোটামুটি সহনীয় পর্যায়ে ছিল। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সৈয়দপুরে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠে ৩৩ ও সর্বনিম্ন ছিল ২৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

 


আরো সংবাদ



premium cement