রেমালের আঘাত আজ
মংলা-পায়রায় ৭, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ৬ নম্বর বিপদ সঙ্কেত- হামিম উল কবির
- ২৬ মে ২০২৪, ০০:০০, আপডেট: ২৬ মে ২০২৪, ০০:৩৩
ঘূর্ণিঝড় রেমাল আজ রোববার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাতের মধ্যে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় নিম্নচাপ থেকে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয় এবং সন্ধ্যা ৬টায় গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়টি ধারণার চেয়ে একটু বেশি শক্তিশালী হতে পারে। অতীতে আমফান ও আইলাও ঠিক মে মাসের শেষ দিকে সংঘটিত হয় এবং ওই দু’টি ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে ব্যাপক ক্ষতি করে গেছে। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় রেমাল চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা থেকে ৪০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। অপর দিকে গতকাল সন্ধ্যায় মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরের জন্য ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সাবাজার সমুদ্রবন্দরের জন্য ৬ নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক জানান, ঘূর্ণিঝড়টি আরো শক্তিশালী হলে সতর্ক সঙ্কেতও পরিবর্তন করা হবে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আজ দেশে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
কানাডা প্রবাসী আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, গভীর নিম্নচাপটি গতকাল শনিবার বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে খেপুপাড়া থেকে ১৮.৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ, ৮৯.৮ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশের উপর অবস্থান করছিল। এর কেন্দ্র খেপুপাড়া থেকে ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণ দিকে অবস্থান করছিল।
গভীর নিম্নচাপ থাকা অবস্থায় প্রক্রিয়াটি সামনের দিকে ১৭ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে আসছিল বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের দিকে। ঘূর্ণিঝড় হলে হয়তো গতি আরো বেড়ে যেতে পারে। সারা রাত ধরে সাগরে ঘূর্ণন গতিতে সামনে অগ্রসর হয়ে আজ রোববার শক্তিশালী হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা।
ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার উপকূল থেকে বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলার উপর দিয়ে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর কেন্দ্রটি উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। পরে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র ঢাকা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগের উপর দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি, আলিপুর দুয়ার, কুচবিহার জেলা ও মেঘালয় রাজ্যের উপর দিয়ে আসামে প্রবেশ করতে পারে।
মোস্তফা কামাল জানান, সাগর থেকে স্থলভাগে আছড়ে পড়লে ঘূর্ণিঝড় রেমালের গতি থাকবে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। তবে দমকা হাওয়ার সাথে গতি বৃদ্ধি পেয়ে সামান্য সময়ের জন্য রেমালের গতি ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে। তিনি বিভিন্ন আবহাওয়া কেন্দ্রের মডেল পূর্বাভাস উদ্ধৃত করে জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টি সম্বন্ধে পূর্বে যা ধারণা করা হয়েছিল তা থেকে আরো বেশি শক্তিশালী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। উপকূলে আঘাত হানার সময় ঘূর্ণিঝড়টি ১১০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার গতিসম্পন্ন হতে পারে। তবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার গতিসম্পন্ন হতে পারে শেষ পর্যন্ত।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ৭ নম্বরে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। গভীর নিম্নচাপ ( অবশ্য এ রিপোর্ট পাঠকদের কাছে যখন পৌঁছবে তখন এটা ঘূর্ণিঝড় হয়ে যেতে পারে) কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ছিল ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী সাগর উত্তাল রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে অতি দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।
মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা জেলার উপর দিয়ে আঘাত হানতে পারে। অন্য দিকে জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ড. রাশেদ চৌধুরী জানিয়েছেন, নিম্নচাপের শক্তি বৃদ্ধির জন্য যে শর্তগুলো রয়েছে এর মধ্যে শক্তিশালী এল নিনো থেকে লা নিনাতে পরিবর্তন অন্যতম। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আইলা এবং আমফানের মতো শক্তিশালী হয়ে স্থলভাগে বিপুল ক্ষতি করে যেতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়টি।
গতকাল বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটেও গভীর নিম্নচাপটির কেন্দ্র ১৮.৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ, ৮৯.৮ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশের উপর অবস্থান করছিল। আমেরিকান নৌবাহিনীর টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার গতকাল শনিবার সকাল ৬টায় তাদের ওয়েবসাইটে নিম্নকেন্দ্রের চার পাশে ৫০ কিলোমিটার বেগে বায়ু প্রবেশ করছে বলে উল্লেখ করেছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের ভেতরে পানি প্রবেশ করলে এটা শক্তিশালী হয় বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন।
মোস্তফা কামাল জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমাল খুবই ধীর গতিতে বাংলাদেশ অতিক্রম করতে পারে। এর কারণে সৃষ্ট ঘূর্ণীয়মান মেঘমালা মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলাদেশের উপরে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে অতীতের অন্যান্য ঘূর্ণিঝড় অপেক্ষা রেমালের প্রভাব বাংলাদেশের আট বিভাগের উপর পড়বে এবং বৃষ্টিপাত হবে। আজ রোববার দেশের সর্বত্রই মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে।
গতকাল শনিবার বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে জাপানের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্রে দেখা গেছে যে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে সৃষ্ট মেঘ চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও তিন পাবর্ত্য চট্টগ্রামের উপর দিয়ে বাংলাদেশের স্থলভাগে প্রবেশ করা শুরু করেছে। এ দিকে গতকাল দুপুর ১২টা থেকেই চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। গতকাল রাত ১২টার মধ্যেই দেশের বেশির ভাগ জেলার উপরে বৃষ্টি শুরুর সম্ভাবনা শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোর একই সময়ে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। বাংলাদেশে রেমালের প্রভাবে ২৮ মে পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। খুলনা ও বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, নিম্নাঞ্চল ও উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং অন্যান্য দ্বীপে ঝড়ো হাওয়ায় ৩ থেকে ৫ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার এবং কোথাও কোথাও ৮৯ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
চট্টগ্রামে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে গতকাল শনিবার দুপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ঝরেছে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ সামান্য হলেও তাপমাত্রা কমে মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে অনেকটাই। আবহাওয়া অফিস আগামী তিন দিন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার আভাস দিয়েছে। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ দিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, গতকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিমি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
মংলা বন্দরে অ্যালার্ট-৩
মংলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা জানান, মংলা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এ কারণে মংলা বন্দরে জারি করা হয়েছে নিজস্ব অ্যালার্ট-৩। এতে বন্দরে অবস্থানরত সব বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য ওঠানামার কাজসহ অপারেশনাল কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান গতকাল শনিবার রাতে বলেন, মংলা বন্দরের জেটিসহ পশুর চ্যানেলে নোঙর করা দেশী-বিদেশী ছয়টি বাণিজ্যিক জাহাজে পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধসহ ওই সব জাহাজকে নিরাপদ নোঙর করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বন্দর কর্তৃপক্ষের অপারেশনাল সব কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে।
এ দিকে ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেত জারির ফলে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন। মংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না বলেন, এরই মধ্যে ১০৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র ও পর্যটন স্পটের ওসি হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেত জারির পর পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের প্রতিটি স্টেশনসহ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও বনরক্ষীদের নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে।
কক্সবাজার সৈকতে মাইকিং
কক্সবাজার অফিস জানায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে কক্সবাজারে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। সৈকতে নিয়োজিত বিচ কর্মী ও লাইফ গার্ড কর্মীরা পর্যটকদের সতর্কতা জারি করে মাইকিং করেছে। হাঁটুপানির নিচে পর্যটকদের গোসল করতে নিষেধ করা হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে কক্সবাজারে বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। সাগরে মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে উপকূলে নিরাপদে চলে আসতে বলা হয়েছে।
সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবেলায় কক্সবাজারে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন। কক্সবাজার জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
খুলনায় ব্যাপক প্রস্তুতি
খুলনা ব্যুরো জানায়, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে খুলনা জেলা প্রশাসন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৬০৪টি আশ্রয়কেন্দ্র। এ ছাড়া তিনটি মুজিব কিল্লা ও পাঁচ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে তিন লাখ ১৫ হাজার মানুষ থাকতে পারবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে। সতর্ক থাকার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বরিশাল বিভাগে ৩ হাজার ৯৭৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
বরিশাল ব্যুরো জানায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বরিশাল বিভাগে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে বরিশাল বিভাগে তিন হাজার ৯৭৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এ ছাড়া ছয় হাজার ২৪৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এক হাজার ৬৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্যোগকালে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে বরিশাল বিভাগ জুড়ে সাড়ে চার শতাধিক মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। বিভাগের হাসপাতালগুলোয় পর্যাপ্ত প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুদ রেখেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। বিভাগজুড়ে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৩২ হাজার ৫০০ স্বেচ্ছাসেবকও প্রস্তুত রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা