১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

উখিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ২ শতাধিক রোহিঙ্গার স্থাপনা ভস্মীভূত

-

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে দেড় ঘণ্টায় দোকান, মসজিদ, বসতঘর ও এনজিও অফিসসহ প্রায় দুই শতাধিক স্থাপনা পুড়ে গেছে। এতে হাজার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। এদিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গতকাল এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৮০টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এছাড়া পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে এক জেলের ঘরে দেয়া দুর্বৃত্তদের আগুনে ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
কক্সবাজার অফিস ও উখিয়া সংবাদদাতা জানান, কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নে অবস্থিত ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আগুনে ক্যাম্পের ভেতরে একটি বাজারের বেশ কিছু দোকান এবং ৮০টি বসতঘর ভস্মীভূত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ১৩ নম্বর তাজনিমার খোলা ক্যাম্পের ডি ব্লকে কাঁঠাল গাছতলায় একটি বাজারে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে আগুন পার্শ্ববর্তী ক্যাম্পের বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ দৌজা নয়ন জানিয়েছেন আগুন লাগার খবর পেয়ে উখিয়া টেকনাফ এবং কক্সবাজার জেলা সদর থেকে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনো কোনো কিছু জানাতে পারেননি তিনি। অগ্নিকাণ্ডে ১৩ নম্বর ক্যাম্পের ডি ব্লকে একটি বাজারের বেশ কিছু দোকান এবং ৮০টি রোহিঙ্গাদের বসতঘর ভস্মীভূত হয়েছে।
তিনি জানান ঘটনাস্থলে এপিবিএন পুলিশ রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মীরা উদ্ধারতৎপরতা শুরু করেছে। তারা অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত এবং ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করার কাজ করছে।
গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি কলোনিতে অগ্নিকাণ্ডে ৬০-৭০টি বসতঘর পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল শুক্রবার দুপুরে কালিয়াকৈরের মৌচাকে তেলিরচালা এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

কলোনির বাসিন্দা গার্মেন্টকর্মী আ: লতিফসহ কয়েকজন জানান, কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিরচালা এলাকায় স্থানীয়দের কাছ থেকে জায়গা ভাড়া নিয়ে সারোয়ার ও সুফিয়ানসহ কয়েক ব্যক্তি শতাধিক কক্ষের কলোনি তৈরি করেন। এসব ঘরে গার্মেন্টশ্রমিকসহ নি¤œ আয়ের বিভিন্ন পেশার মানুষ ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। শুক্রবার দুপুরে সারোয়ারের কালোনিতে প্রথমে আগুন লাগে। স্থানীয়রা নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। তাৎক্ষণিক ভাবে আগুন লাগার বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসে জানানো হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভায়। আগুনে কলোনির চারটি গলির প্রায় ৭০-৮০টি ঘর মালামালসহ পুড়ে গেছে।
পায়রা বন্দর (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা জানান, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে মধ্যরাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রিয়াজ সরদার নামের এক জেলের বসতঘর পুুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের কাউখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত রিয়াজ ওই এলাকার মৃত আবু জাফর সরদারের ছেলে।
স্থানীয়রা বলছেন, রিয়াজ নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিল। রাত দেড়টার দিকে তার স্ত্রী ও মায়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। ততক্ষণে পুরোঘর জুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে আর অল্প সময়ের মধ্যে ঘরটি পুড়ে সব শেষ হয়ে যায়।
তবে, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের দাবি- প্রতিবেশী ইব্রাহিম সরদারের সাথে জমিজমা ও পারিবারিক পূর্বশত্রুতা রয়েছে তাদের। ঘটনার দিন রাতে ইব্রাহিম ও একই এলাকার সোবাহান এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটায়। পরে রাতেই তারা এলাকা ত্যাগ করে।

 


আরো সংবাদ



premium cement