১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
গণমাধ্যমকে ইসি আলমগীর

ভোট কম পড়ার পেছনে বড় ফ্যাক্টর বিএনপি

-

নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ না থাকা এবং ভোটাররা রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে ভোটার উপস্থিতি কম বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো: আলমগীর। তিনি বলেন, ভোট কম পড়ার পেছনে একটি বড় ফ্যাক্টর বিএনপি। তবে এটিই একমাত্র ফ্যাক্টর নয়। বিশেষ করে আরেকটি বড় কারণ হলো স্থানীয় নির্বাচনে ভোটাররা চাকরিস্থল থেকে আসতে চান না।
রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে গতকাল নিজ দফতরে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আশা করি দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। ছোটখাটো যেসব সমস্যা মাঠে আছে সেগুলো যাতে না হয়, সেজন্য প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন প্রথম ধাপের নির্বাচনের চেয়েও সুষ্ঠু হবে। তিনি বলেন, বিএনপির ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণ গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে কোনো ভোটারকে সহিংসতার মাধ্যমে ভোট প্রদানে কেউ বাধা দিতে পারবে না।

সহিংসতায় গোপালগঞ্জে একজন মারা গেছে, সেখান থেকে কী শিক্ষা নিচ্ছে কমিশন? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো: আলমগীর বলেন, এ ঘটনা নির্বাচনের কারণে নাকি ব্যক্তিগত কারণে সেটাও দেখতে হবে। তদন্ত না হলে মূল কারণ বলা যায় না। এ ছাড়া নির্বাচন না থাকলে এ দেশে সহিংসতা হয় না তা নয়। এখন পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে কি না সেটা দেখতে হবে। তাছাড়া পুলিশ প্রশাসন ভোটের পরে ৪৮ ঘণ্টা থাকে। সে সময়ের মধ্যে কিছু হয়নি।
ধান কাটা ভোট কম পড়ার প্রধান কারণ কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিষয়টি এমন নয়। আপনারা কেন বিষয়টা ওদিকে নিয়ে আমাদের খোঁচা দেন? সেদিন তাৎক্ষণিক কারণ ছিল, সকালে বৃষ্টি হয়েছিল। অন্যান্য কারণের মধ্যে ধান কাটা ছিল, বড় দল অংশ নেয়নি। এসব কারণে ভোট কম পড়েছে। তা ছাড়া ভোট কম পড়ার পেছনে একটি বড় ফ্যাক্টর বিএনপি। বিশেষ করে আরেক বড় কারণ হলো স্থানীয় নির্বাচনে ভোটাররা চাকরিস্থল থেকেও যেতে চায় না।
কমিশনার আলমগীর বলেন, এখন ৬০ শতাংশের বেশি ভোটাররা আসতে চান না। এটা সারা পৃথিবীতেই এমন। ভারতে সব দল নির্বাচনে অংশ নিলেও ৬০ শতাংশ ভোট পড়েনি।


আরো সংবাদ



premium cement