১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

যতই চাপ আসুক আমরা সংবিধানের বাইরে যাবো না : ওবায়দুল কাদের

-


যতই ষড়যন্ত্র হোক, বিদেশী চাপ আসুক আওয়ামী লীগ সংবিধানের বাইরে যাবে না বলে আবারো সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বিএনপি বলে প্রতিবেশীরা দেশ নিয়ন্ত্রণ করে, এটা ভুল। শেখ হাসিনাকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। বাংলাদেশ জন্মের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধ ও জয় বাংলার চেতনা এবং সংবিধান নিয়ন্ত্রণ করে শেখ হাসিনাকে। দেশী-বিদেশী কোনো শক্তি নয়। যতই ষড়যন্ত্র করুক, বিদেশী শক্তির নামে হুমকি-ধমকি দিতে পারেন, তবে আমরা সংবিধানের বাইরে যাবো না। শেখ হাসিনা কোনো পরাশক্তি, বিদেশী শক্তির পরোয়া করেন না।

১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের গত ৪৪ বছরে সবচেয়ে সাহসী রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা, সবচেয়ে বিচক্ষণ নেতার নাম শেখ হাসিনা, সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসকের নাম শেখ হাসিনা, সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতার নাম শেখ হাসিনা, সবচেয়ে সফল কূটনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর থেকে যে পরিবর্তন হয়েছে, সেই পরিবর্তনের রূপান্তরের রূপকার শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ম্যাজিশিয়ান অব পলিটিকস। আজ বাংলাদেশের দৃশ্যমান উন্নয়ন শেখ হাসিনার ম্যাজিক।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি নেতারা পালিয়ে গিয়ে এখন বেসামাল হয়ে প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগকে আক্রমণ করছে- এমনটি মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, আমি তাদের বলতে চাই, মুক্তির কথা বলেন, লজ্জা করে না? জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য দলের ৬২ হাজার নেতাকে জেলে রেখেছিল। আপনাদের কতজন নেতা জেলে আছে? তিন হাজার আমাদের নেতাকর্মী ও সরকারি অফিসারদের গুম করেছিলেন জিয়াউর রহমান।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেখে-শুনে বলছি, নিজেদের শত্রু নিজেরা না হই। আপন ঘরে যাদের শত্রু, তাদের বাইরের শত্রুর দরকার হয় না। আজ শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে শিক্ষা নিতে হবে। তার সততা, সাহস থেকে। সাহস আর সততায় শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর মতোই হয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের শেখ হাসিনার নির্দেশ মেনে চলতে হবে। তার নির্দেশনার বাইরে যেন না যাই, অপকর্ম না করি, সতর্ক হয়ে যান। তিনি চুপচাপ আছেন বলে শাস্তি পাবেন না, তা নয়। শাস্তি ভোগ করতে হবে। যারা শাস্তি পেয়েছেন, তারা বুঝবেন। আর যারা পাননি, তারা স্মরণ করবেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শহীদ আলতাফ মাহমুদের কন্যা শাওন মাহমুদ, শহীদ বুদ্ধিজীবী আলীম চৌধুরীর কন্যা ডা: নুজহাত চৌধুরী, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বেনজির আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী এবং ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান প্রমুখ।

 


আরো সংবাদ



premium cement