১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

অন্তর্বাসে আধুনিক ডিভাইস রেখে পরীক্ষার উত্তর সরবরাহ, গ্রেফতার ৭

-

মেয়েদের অন্তর্বাস এবং ছেলেদের গেঞ্জির মধ্যে অত্যাধুনিক ডিজিটাল ডিভাইস লুকিয়ে চাকরির নিয়োগসহ বিভিন্ন পরীক্ষার উত্তরপত্র সমাধান করানো চক্রের সাতজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মো: জুয়েল খান (৪০), মো: রাসেল (৩০), মো: মাহমুদুল হাসান শাকিল (৩৯), মো: আব্দুর রহমান (৩৮), মো: আরিফুল ইসলাম (৩৫), মো: আজহারুল ইসলাম (২৯) এবং মো: মাসুম হাওলাদার (২৫)। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিশেষভাবে তৈরি জিএসএম সুবিধা সম্বলিত ১০টি অত্যাধুনিক ডিজিটাল ইলেকট্রনিক স্পাই ডিভাইস, সাতটি মোবাইল ফোন ও ১০টি সিম কার্ড এবং একটি পকেট রাউটার জব্দ করা হয়।
গতকাল রোববার রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস করে অত্যাধুনিক ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে উত্তর সাপ্লাই করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। প্রথমত পরীক্ষার কেন্দ্র ম্যানেজ করে তারা প্রশ্নের ফটোকপি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বাইরে পাঠিয়ে দিতো। বাইরে তাদের একটা টিম চ মিনিটের মধ্যে প্রশ্ন সমাধান করে ফেলে। এরপর তারা উত্তরগুলো বলতে থাকে। পরীক্ষার্থীর কাছে ক্ষুদ্র ডিভাইস কানের মধ্যে থাকে। সেই সাথে মেয়েদের অন্তর্বাসে বা ছেলেদের গেঞ্জির মধ্যে লুকানো পকেট রাউটার ও ডিভাইসের সাথে কানেক্টেড একটা সিম রাখে। এরপর বাইরে থেকে যখনই টেলিফোন করে সাথে সাথে পরীক্ষার্থী শুনতে পাবে এবং ১০ মিনিটের মধ্যে উত্তরগুলো সলভ করে ফেলবে।
হারুন অর রশিদ বলেন, দিন দিন অপরাধের ধরন পাল্টে যাচ্ছে। এক সময় আমরা নকল প্রতিরোধের জন্য কাজ করেছি। সে সময় তারা পরীক্ষার হলে বই নিয়ে যেত। এভাবে কিন্তু দিন যাচ্ছে অপরাধীরা তাদের অপরাধের প্যাটার্ন চেঞ্জ করছে। আমরাও (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) তাদের ধরার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করছি। এখন সর্বশেষ আমরা যেটা পেলাম সেটা হচ্ছে তারা ক্ষুদ্রাকৃতির বল ব্যবহার করছে এবং ডিভাইসটা এমন জায়গায় রাখছে যেখানে ধরার বা চেক করার কোনো সুযোগ নেই।


আরো সংবাদ



premium cement