শান্তদের দৃষ্টি হোয়াইটওয়াশে
আজ সিরিজের শেষ টি-২০- জসিম উদ্দিন রানা
- ১২ মে ২০২৪, ০০:০৫
নিজেদের টি-২০ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রতিপক্ষকে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। অবশ্য নিয়মিতভাবে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলা হয় না টাইগারদের। চলতি সফরে জিম্বাবুয়ের যে পারফরমেন্স তাতে তাদের বিপক্ষে ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করাটাই হবে বাংলাদেশের জন্য আদর্শ ফল। তবে স্বাগতিক দলকে এখনো অনেক সমস্যার সমাধান করতে হবে। কন্ডিশনের সমীকরণে পাঁচ ম্যাচ টি-২০ সিরিজে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্য নিয়ে আজ মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজে পঞ্চম ও শেষ ম্যাচ খেলতে নামছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। সকাল ১০টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
দিনের বেলায় ঘরের মাঠে সচরাচর টি-২০ ম্যাচ খেলে না বাংলাদেশ। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচটি দিনের বেলায় করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিশ^কাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ এবং বিশ^কাপ মঞ্চে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দিনের বেলাতেই খেলতে হবে বাংলাদেশকে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজকে বিশ্বকাপের প্রস্তুতির প্লাটফর্ম হিসেবেই নিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম চার ম্যাচ জিতে ইতোমধ্যেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে টাইগাররা। এমন ফলাফল ইঙ্গিত দিচ্ছে, বিশ^কাপের জন্য প্রস্তুতিটা বেশ ভালোই হয়েছে বাংলাদেশের। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।
গত দুই বছরে বোলাররা ভালো করলেও ব্যাটিং নিয়ে এখনো চিন্তার বিষয় রয়েই গেছে। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তসহ বেশির ভাগ ব্যাটারই এখন পর্যন্ত জ্বলে উঠতে পারেননি। বিশ^কাপ শুরুর মাত্র তিন সপ্তাহ আগে যা বাংলাদেশ দলের জন্য চিন্তার বিষয়। ব্যাট হাতে কেবল ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও তৌহিদ হৃদয় কিছুটা ধারাবাহিকতা দেখাতে পেরেছেন। কিন্তু কোন ম্যাচেই পুরো ব্যাটিং লাইন আপ ক্লিক করতে ব্যর্থ হয়েছে ।
কোন ম্যাচে ওপেনাররা ভালো শুরু করলেও মিডল অর্ডার ব্যাটাররা সেটা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হচ্ছে। আবার মিডল অর্ডার জ্বলে উঠলেও শেষ দিকে লোয়ার অর্ডার ব্যাটাররা পুরোপুরি ব্যর্থ হচ্ছে। সব মিলিয়ে পুরো ব্যাটিং লাইন আপের ধারাবাহিকতাই এই মুহূর্তে একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ^কাপের আগে যা সমাধান করতে হবে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ ম্যাচে ৪২ রানের ব্যবধানে ১০ উইকেট পতন বাংলাদেশ দলের জন্য একটা কঠিন বার্তা এবং বিশ্বকাপের আগে একটা অশনী সঙ্কেত। দুই ওপেনার তানজিদ ও সৌম্য সরকার উদ্বোধনী জুটিতে ১০১ রান তুলে প্রমাণ করেছেন মিরপুরের উইকেট খুব জটিল এবং স্লো ছিল না।
বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ৫ রানে জয় পেলেও বাজে শট খেলে ব্যটাররা উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন।
বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘তানজিদ ও সৌম্য সরকারের ব্যাটিংয়ে আমরা দারুণ খুশি। উইকেট খুব বেশি ভালো ছিল না, তবে আমাদের আরো সতর্ক হয়ে ব্যাটিং করা উচিত ছিল। আশা করি পরের ম্যাচ আমরা ভুলগুলো শুধরে নিতে পারব। উইকেট জটিল ছিল আমরা সবাই জানি। তবে সৌম্য ও তামিমকে ধন্যবাদ দিতেই হবে। তারাও (জিম্বাবুয়ে) ভালো বোলিং করেছে। আমি মনে করি পুরো সিরিজেই আমাদের বোলাররা ভালো করেছে।’
চতুর্থ ম্যাচে জিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-২০ ফরম্যাটে ২৩ বারের মোকাবেলায় জয়ের সংখ্যাটা ১৬তে নিয়ে গেছে বাংলাদেশ। সফরকারীদের বিপক্ষে মাত্র সাতটি ম্যাচে হেরেছে টাইগাররা। দুই দলের মোকাবেলায় নিজ মাঠে সর্বশেষ সিরিজ জয় করা জিম্বাবুয়ে এবার যেন বাংলাদেশ সফরে পুরো সিরিজেই ধুকছে। তবে তাদের তরুণ খেলোয়াড়রা নিজেদের সামর্থ্যরে প্রমান দিয়ে চলেছেন এবং অফ ফর্মে থাকা টপ অর্ডার এবং সিনিয়রদের কাছ থেকে কিছুটা সহযোগিতা পেলে বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারে।
তবে এক্ষেত্রে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক শুরুতে যেভাবে হাক-ডাক দিয়েছেন ক্রমান্বয়ে তা থেকে ফিরে এসেছেন। শুধু জানালেন, বাংলাদেশ ভালো দল এটা নতুন করে কিছু বলার নেই। আমরা চেষ্টা করেও পারিনি। চতুর্থ ম্যাচে সুবর্ণ সুযোগ ছিল যা আমরা হারিয়েছি। শেষ ম্যাচটিতে জিতে দেশে ফিরতে চাই। বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে শেষ সুযোগ ক্রিয়েট করতে হবে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা