‘নুসুক’ কার্ডধারী ছাড়া কাউকে মিনা মুজদালিফা ও আরাফাতে ঢুকতে দেয়া হবে না
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ১১ মে ২০২৪, ০২:১৪
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে, ১৪৪৫-২০২৪ সালের নিয়মিত প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য “নুসুক” স্মার্ট কার্ড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। হজযাত্রী অথবা হজ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কিংবা শ্রমিক যারাই মাশায়ের মুকাদ্দাসায় (মিনা, মুজদালিফা ও আরাফাত) প্রবেশ করতে চান, সবার জন্যই তা বাধ্যতামূলক। উল্লেখ্য, এতে কোনো ব্যতিক্রম নেই। যে কেউ এ নিয়ম লঙ্ঘন করবে, সে হজের নিয়ম-কানুন ও নির্দেশনাবলি লঙ্ঘন করার শাস্তির সম্মুখীন হবে।
মন্ত্রণালয় তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স, পূর্বের টুইটার ও ফেসবুক উভয় পেজে ধারাবাহিক পোস্টে বলেছে, “নুসুক” স্মার্ট কার্ড নিয়মিত এবং অনিয়মিত হজযাত্রীদের মাঝে পার্থক্য করতে পারে। সুতরাং যার কাছে কার্ডটি থাকবে না তার পক্ষে মাশায়ের মুকাদ্দাসায় (মিনা, মুজদালিফা ও আরাফাত) প্রবেশ করা সম্ভব হবে না।
গত সপ্তাহে, সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় “নুসুক” স্মার্ট কার্ডের উভয় সংস্করণ মুদ্রিত ও ডিজিটাল কপি উদ্বোধন করেছে। মুদ্রিত কপি হজযাত্রী বহন করবে এবং ফোনের ক্যামেরা ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল কার্ডের কোড স্ক্যান করে তাতে প্রবেশ করা যাবে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কার্ডটিতে অনেক পরিসেবা রয়েছে, যা হজযাত্রীদের জন্য তাদের হজের কার্যাবলি পালন করা সহজ করে তুলবে। কারণ এটি তাদের সহজভাবে চলাফেরা করতে এবং দলবদ্ধভাবে হজ কার্যক্রম সম্পাদনের সময়-সূচির ব্যাপারে নির্দেশনা-সতর্কতাবলি প্রাপ্তিতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি এর মাধ্যমে তারা তাদের জন্য প্রদত্ত যাবতীয় সেবা-পরিসেবার মান মূল্যায়ন এবং অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।
বহু দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন পেজে হজ ব্যবস্থাপনায় সেবা প্রদানের নামে ভুয়া বিজ্ঞপ্তি দাতা জাল হজ এজেন্সিগুলোর খপ্পরে না পড়ার জন্য মন্ত্রণালয় পুনরায় সতর্ক করেছে। মন্ত্রণালয় আরো গুরুত্বারোপ করেছে যে, কেবল রাজকীয় সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত হজ ভিসা লাভের মাধ্যমে এবং বিভিন্ন দেশের হজ অফিসগুলোর মাধ্যমে কিংবা হজ মিশন নেই এমন দেশগুলোতে “নুসুক হজ” প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে হজ ব্রত পালন করার জন্য আসা যাবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা