ঘুমন্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর কুকুর লেলিয়ে নির্যাতন ইসরাইলি সেনাদের
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ১১ মে ২০২৪, ০২:১৪
গাজা থেকে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের ধরে নিয়ে ও বন্দী করে ভয়াবহ নির্যাতন চালিয়েছে দখলদার ইসরাইলের সেনারা। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ নিয়ে একটি বিস্তারিত খবর প্রকাশ করেছে। তাদের কাছে এসব তথ্য ফাঁস করেছেন দুই ইসরাইলি হুঁইসেলব্লোয়ার। শুক্রবার প্রকাশিত এ খবরে বলা হয়েছে, তাদের দুইজন ইসরাইলি এবং একজন ফিলিস্তিনি বন্দী জানিয়েছেন, গাজা থেকে সাধারণ মানুষকে ধরে ইসরাইলের নেগেভ মরুভূমির একটি বন্দিশালায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে তাদের ব্যাপক মারধর ও অন্যান্য শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে।সিএনএন।
এ ব্যাপারে এক ইসরাইলি বলেছে, ‘কোনো গোপন তথ্য বের করার জন্য মারধর করা হয়নি। তাদের মারধর করা হয়েছে প্রতিশোধ নিতে। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জন্য এই শাস্তি দেয়া হয়েছে। এছাড়া বন্দিশালায় কিছু করলেই শাস্তি দেয়া হয়েছে।’ আরেক ইসরাইলি সিএনএনকে তেইমানের একটি বন্দিশালার দু’টি ছবি দিয়েছেন। যেটি গাজা সীমান্ত থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে, ধূসর রঙের ট্র্যাকশ্যুট পরে লোহার তারের বেড়া দেয়া একটি ঘরে কয়েক শ’ ফিলিস্তিনি বসে আছেন।
সেখানে ধরে নিয়ে যাওয়া এক ফিলিস্তিনি চিকিৎসক সিএনএনকে বলেছেন, ‘তেইমানের ওই বন্দিশালায় ঘুমন্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর প্রায়ই কুকুর ছেড়ে দেয়া হতো। এগুলো ছিল রাতের নির্যাতন।’ গাজার ইন্দোনেশিয়া হাসপাতালের অস্ত্রোপচার বিভাগের প্রধান ডাক্তার মোহাম্মদ আল রানকে ধরে নিয়ে যায় ইসরাইলি সেনারা। সেখান থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তার শারীরিক অবস্থার ব্যাপক অবনতি পরিলক্ষিত হয়।
এছাড়া বন্দীরা সিএনএনকে জানিয়েছেন, তাদের একটি ফিল্ড হাসপাতালে রাখা হয়েছিল। সেখানে তাদের শরীরের সব কাপড় খুলে শুধুমাত্র ডায়ফার পরিয়ে রাখা হতো। এছাড়া হাসপাতালের বেডের সাথে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে বেঁধে রাখা হতো। আর তাদের খাওয়ানো হতো ছোট পাইপের মাধ্যমে। এছাড়া হ্যান্ডকাফের মাধ্যমে বেঁধে রাখায় অনেকের হাত কেটে ঘা হয়ে গেছে। এতে করে কয়েকজনের হাত কেটেও ফেলতে হয়েছে। অনেকেই তাদের হাতে ঘায়ের চিহ্ন দেখিয়েছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা