গ্লুকোমার ঝুঁকিতে দেশের ১০ শতাংশ মানুষ
জরিপ রিপোর্টের তথ্য- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৮ মে ২০২৪, ০০:৫৪
দেশে প্রতি ১০০ জনে ১০ জন চোখের অন্ধত্বজনিত রোগ গ্লুকোমায় আক্রান্তের ঝুঁকিতে আছেন। গত ২০ বছরে দেশে পূর্বের তুলনায় গ্লুকোমা রোগীর সংখ্যা প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে বলে এক জরিপে উঠে এসেছে। জরিপ শেষে চক্ষু বিশেষজ্ঞরা জানান, আমাদের দেশে পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশি ঝুঁকিপুর্ণ। বাংলাদেশের বিভাগগুলোর মধ্যে ঢাকায় বিশেষ করে রাজধানীতে গ্লুকোমা আক্রান্ত রোগীর হার অনেক বেশি।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ গ্লুকোমা সোসাইটি আয়োজিত গ্লুকোমা সার্ভে রিপোর্ট-২০২৪ প্রকাশ করা হয়। জরিপের রিপোর্ট উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ গ্লকোমা সোসাইটির উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা: শেখ এম এ মান্নাফ।
জরিপে মোট অংশগ্রহণকারী ছিলেন ১২ হাজার, তাদের মধ্যে পুরুষ পাঁচ হাজার ৯৫৩ জন এবং নারী ছয় হাজার ৪৭ জন। শহুরে মানুষ ছিলেন তিন হাজার ৭৯০ জন এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠী ছিলেন ৯ হাজার ২১০ জন। জরিপে মোট ৩৮৬ জনের চোখে গ্লুকোমা শনাক্ত হয়েছে, যা শতকরা প্রায় ৩.২ শতাংশ।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানে আরো জানানো হয়, গ্লুকোমা শনাক্ত ৩৮৬ জনের মধ্যে ৩০৩ জনই প্রাইমারি ওপেন-অ্যাঙ্গেল গ্লুকোমা, যা মোট গ্লুকোমা আক্রান্তের প্রায় ৭৮.৪ শতাংশ। এ ছাড়াও প্রাইমারি ক্লোজার গ্লুকোমা পাওয়া গেছে ৬২ জনের মধ্যে, এটা মোট গ্লুকোমা আক্রান্তের ১৬.২ শতাংশ। এ ছাড়াও বাকি ২১ জনের সেকেন্ডারি গ্লুকোমা (৫.৬ শতাংশ) পাওয়া গেছে।
প্রকাশানা অনুষ্ঠানে ডা: মান্নাফ বলেন, এর আগে দেশে গ্লুকোমা নিয়ে ২০০২ সালে একটা সার্ভে হয়েছিল, যেখানে দেশে গ্লুকোমা আক্রান্ত রোগী ছিল ২.২ শতাংশ। ২০২২ সালে আমরা যে সার্ভেটি করেছি, সেখানে গ্লুকোমা রোগী পেয়েছি ৩.২ শতাংশ। এমনকি শতকরা ১০ জন মানুষ পেয়েছি যারা গ্লুকোমা রয়েছে এমন সন্দেহ করা যায় (সাসপেক্টেড)। তারা গ্লুকোমা আক্রান্ত হওয়ার পাইপলাইনে আছেন।
তিনি বলেন, জরিপে আমরা ঢাকায় বেশি রোগী পেয়েছি। আবার লিঙ্গ বিবেচনায় নারীদের মধ্যে রোগটি বেশি পাওয়া গেছে। এমনকি বরিশালের পুরুষের মধ্যে কম এবং ময়মনসিংহের পুরুষদের মধ্যে রোগটি বেশি পেয়েছি। তবে নারীদের ক্ষেত্রে বরিশালে বেশি ও ময়মনসিংহে কম দেখা গেছে।
অধ্যাপক মান্নাফ বলেন উন্নত পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে বলে আমরা আশা করছি ২০০২ সালের চেয়ে উন্নতমানের সার্ভে হয়েছে। যেখানে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে রোগীর সংখ্যাটা উঠে এসেছে। এখন আমাদেরকে সচেতনতামূলক কার্যক্রম বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ডা: জাকিয়া সুলতানা শাহিদ বলেন, এই মুহূর্তে দেশে গ্লুকোমা রোগীর সংখ্যা ১৯ লাখ ৪৬ হাজার ৭৩০ জন। এর মধ্যে পুরুষ রোগীর সংখ্যা ১২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৯০ জন এবং নারীর সংখ্যা ৭ লাখ ১৩ হাজার ৩৪০ জন। এ ছাড়াও গ্লুকোমা সন্দেহভাজন রোগী আছে ৫৯ লাখ ৮৪ হাজার ৪৯৯ জন, যাদের মধ্যে পুরুষ ২৭ লাখ ৪১ হাজার ৯৬৫ জন এবং নারী ৩২ লাখ ৪২ হাজার ৫৩৪ জন। ১১০ জনের একটা সমিতির মাধ্যমে গ্লুকোমা সার্ভেটি আমরা ১৪ মাসে করেছি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা