ন্যাশনাল ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক
- আশরাফুল ইসলাম
- ০৬ মে ২০২৪, ০০:০৫
বিতর্কের পিছু ছাড়ছে না সমস্যাকবলিত ন্যাশনাল ব্যাংকের। নানা অনিয়মে জর্জরিত ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের পাঁচ মাসের মাথায় আবারো পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গঠন করা হয়েছে নতুন পর্ষদ। এ বিষয়ে গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সন্ধ্যার পর চিঠি দেয়া হয়েছে ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো: মেজবাউল হক সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে গতকাল নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, কয়েকজন পরিচালক পদত্যাগ করেছিলেন। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে উদ্যোক্তা পরিচালক খলিলুর রহমানকে চেয়াম্যান করে নতুন পর্ষদ গঠন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানিয়েছে, শুধু ব্যাংকটির পর্ষদ ভেঙে দেয়া হয়নি, এর সাথে মালিকানারাও পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। একটি বড় শিল্প গ্রুপ ব্যাংকটির মালিকানা নিতে যাচ্ছে। আর এ কারণেই কয়েকজন পরিচালক পদত্যাগ করেছিলেন। এরই প্রেক্ষিতেই নতুন পর্ষদ গঠন করা হয়েছে।
এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর ব্যাংকটিতে সুশাসন আনতে ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়া হয়েছিল। তখন, ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক পারভীন হক সিকদার বিএসইসিকে এক চিঠিতে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিলেন, ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের পরবর্তী নির্বাচনে কারচুপি করতে পারে বিদ্যমান পর্ষদ। ওই চিঠির পর ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়া হয়েছিল। তখন ব্যাংকটির নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ ফেরহাত আনোয়ারকে। বোর্ডের অন্য নতুন সদস্যরা ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো: সিরাজুল ইসলাম; সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম কামাল হোসেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের সদ্য বিলুপ্ত পর্ষদের পরিচালক পারভীন হক সিকদার; বিলুপ্ত পর্ষদের উদ্যোক্তা পরিচালক খলিলুর রহমান; আরেক উদ্যোক্তা পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন এবং সিকদার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি থেকে ব্যাংকের মনোনীত পরিচালক মো: শফিকুর রহমান।
জানা গেছে, ন্যাশনাল ব্যাংককে ইউসিবিএলের সাথে একীভূত করার সংবাদ বের হয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ বিষয়ে উদ্যোগও নেয়া হয়েছিল। কিন্তু গত ২৮ এপ্রিল ব্যাংকটির পর্ষদ সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, ইউসিবির সাথে একীভূত হবে না ন্যাশনাল ব্যাংক। এ বিষয়ে ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার গতকাল নয়া দিগন্তকে জানিয়েছিলেন, ইউসিবির সাথে একীভূত হওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে নেয়া হয়নি। আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেও তাদেরকে কোনো কিছু জানানো হয়নি। তবে তিনি বলেন, জনগণের আমানত সুরক্ষা করতে প্রয়োজনীয় যেকোনো সিদ্ধান্ত তারা নিতে পিছপা হবেন না। তিনি বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংক নিজেই ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। মার্জার হওয়ার কোনো পরিস্থিতি তাদের সৃষ্টি হয়নি। আমানতকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণে ব্যাংকটি চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এর অংশ হিসেবে যারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন তাদের কাছ থেকে ঋণ আদায়ে জোর চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। এজন্য তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
আর এরপর থেকেই কয়েকজন পরিচালক হঠাৎ পদত্যাগ করেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা