সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে নিয়ন্ত্রণে আসবে না মূল্যস্ফীতি
রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ ও নাগরিক সমাজের অভিমত- বিশেষ সংবাদদাতা
- ০৬ মে ২০২৪, ০০:০৫
সুশাসনের অভাবে অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির কারণে দেশ থেকে টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। সিন্ডিকেটের হাতে বাজার। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। আর দেবপ্রিয় ভট্টচার্য বলেছেন, অর্থনীতিতে সমস্যার ত্রিযোগ ঘটেছে। সবার আগে অনিয়ন্ত্রিত মূল্যস্ফীতি। যা মানুষের জীবনমানকে সরাসরি আঘাত করছে। পৃথিবীতে অন্যান্য দেশে মূল্যস্ফীতির হ্রাস ঘটলেও তার সুফল বাংলাদেশ পাচ্ছে না। দ্বিতীয়ত দেশী-বিদেশী মিলিয়ে ঋণ এখন ৪২ শতাংশ। যার প্রভাবে বিনিময় হারে টাকার অবমূল্যায়ন হচ্ছে। এ ছাড়া দেশ বিদেশী ঋণে কখনো খেলাপি হয়নি। এখন সেই বিশ্বাসেও চিড় ধরছে। আর তৃতীয় হচ্ছে প্রবৃদ্ধির শ্লোথগতি। নাগরিকসমাজ বলছেন, সুশাসনের অভাবে অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির কারণে দেশ থেকে টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। সুশাসন না থাকলে বাজেট বাড়িয়ে কোনো লাভ হবে না। এ দিকে সিপিডির জরিপে প্রকাশ পেয়েছে, আগামী বাজেট নিয়ে দেশের ৬৪ শতাংশ বা দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের কোনো প্রত্যাশা নেই।
রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) উদ্যোগে এবং এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশের সহযোগিতায় ‘নতুন সরকার, জাতীয় বাজেট ও জনমানুষের প্রত্যাশা’ শীর্ষক গতকাল এক নীতি সংলাপে এসব কথা বলেন রাজনীতিবিদ, সংসদ সদস্য এবং দেশের সাধারণ নাগরিকসমাজ। সংলাপটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতায় চলমান জনসম্পৃক্ত সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের আওতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ও নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সংলাপে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং সংসদ সদস্য ও এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, নাগরিক প্লাটফর্মের কোর সদস্য ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বক্তব্য রাখেন।
উপস্থাপনায় ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, খুবই জটিল রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক পরিস্থিতি বিরাজমান। ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিও জটিল। বাজেটকে সামনে রেখে আমরা সামাজিক ও সরেজমিন মতামত নিয়েছি। অর্থনীতিতে সমস্যার ত্রিযোগ ঘটেছে। যার মধ্যে বড় সমস্যা হচ্ছে উচ্চমুদ্রাস্ফীতি। অর্থনীতিতে এখনো অতি মাত্রায় মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে চলেছে। এটা গ্রাম কিংবা শহর এবং খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের জন্য সত্য। সেহেতু প্রথম সমস্যা হচ্ছে অনিয়ন্ত্রিত মূল্যস্ফীতি, যা মানুষের জীবনমানকে আঘাত করছে। তিনি বলেন, দ্বিতীয়ত ঋণের পরিস্থিতি। সরকার বিদেশি উৎস থেকে যে টাকা নেয়, তার চেয়ে দেশীয় উৎস থেকে দ্বিগুণ টাকা ঋণ নেয়। এটার দায়-দেনা পরিস্থিতি ভিন্ন একটা ইঙ্গিত বহন করছে। তৃতীয় সমস্যা হচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে প্রবৃদ্ধির যে ধারা ছিল, সেই ধারায় শ্লোথকরণ হয়েছে। এর সাথে সাথে কর আহরণ সঙ্কুচিত হয়ে যাচ্ছে।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, দেশে মূল্যস্ফীতি এখনো ১০.১০ এর কাছাকাছি। যা মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস করছে। পিছিয়ে পড়া মানুষের ভোগ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের ওপর মূল্যস্ফীতি সরাসরি প্রভাব ফেলছে। এসব কারণে বাল্যবিবাহ বেড়ে যাচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে পৃথিবীতে যেখানে মূল্যস্ফীতি কমছে, কিন্তু সেই সুফল বাংলাদেশে দেয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন, জিডিপির ৩৭ শতাংশ সরকারি ঋণের পরিমাণ ও ব্যক্তি খাতে ঋণ ৫ শতাংশ। সবমিলিয়ে ৪২ শতাংশ ঋণ রয়েছে। এর ফলে বিনিময় হারের ওপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। টাকার অবমূল্যায়ন হচ্ছে। এতদিন বলতাম বাংলাদেশ কখন বিদেশী ঋণ অনাদায়ি করেনি, কিন্তু এখনকার পরিস্থিতিতে সরকার ঋণের টাকা দিতে পারছে না। যার পরিমাণ অন্তত ৫ শতাংশ। তিনি বলেন, আর জিডিপি হার ৪ শতাংশ, কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ৭ শতাংশের ওপরে। সেটা অর্জন করতে বাকি সময়ে জিডিপি হার হতে হবে ১০ শতাংশে ওপরে। যার বাস্তবায়ন অসম্ভব। কারণ বিনিয়োগ যোগ্য সম্পদ কমে এসেছে, অন্য দিকে ব্যক্তিখাত কিংবা বিদেশী বিনিয়োগ আসছে না।
গবেষণার সারাংশ উল্লেখ করে দেবপ্রিয় বলেন, মানুষ তিনটি বিষয়ের ওপর জোড় দিয়েছে। প্রথমত শোভন কর্মসংস্থান, দ্বিতীয়ত মানসম্মত শিক্ষা এবং সর্বশেষ সামাজিক সুরক্ষা। চার নম্বরে এসেছে পিছিয়ে পড়া মানুষের বৈষম্য হ্রাস করে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজব্যবস্থা। বাজেট পিছিয়েপড়া মানুষদের জন্য হতে হবে সংবেদনশীল, তাদের গুরুত্ব দিতে হবে। পরিবেশ ও জলবায়ুর বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে। আমার কথা বাজেট যাই হোক, তার বাস্তবায়ন যেন যথাযথ হয়। যার কাছে দুই টাকা যাওয়ার কথা, সেটা যেন তার কাছে যায়। বাজেট সম্পর্কিত সংসদের স্থায়ী কমিটি রয়েছে, তাদের যেন বৈঠক হয়। এর আগের সংসদে ওই ধরনের বৈঠক দেখা যায়নি। এছাড়া তিন মাস পরপর অর্থমন্ত্রীকে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সংসদে উপস্থাপন করতে হবে। যা ইতঃপূর্বে দেখা যায়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, প্রায় দুই বছর ধরে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের কাছাকাছি রয়েছে। আসলে ভোগ্যপণ্যের সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে না। তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এমনকি শ্রীলঙ্কাও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। কিন্তু বাংলাদেশ তা পারছে না। দেশে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতির অন্যতম কারণ হচ্ছে ভোগ্যপণ্যের বাজার মাত্র পাঁচ থেকে ছয়জনের নিয়ন্ত্রণে থাকা। এ সিন্ডিকেট অনেক ক্ষমতাধর।
জাপা নেতা আনিসুল ইসলাম বলেন, আজকে ব্যাংকগুলোকে এক করা হচ্ছে। আমরা ব্যাংকিং সেক্টরের সমস্যাগুলো ১০ বছর ধরে বলে আসছি, কিন্তু সরকার কানে তোলেনি। আজকে আইএমএফ বলার পর সরকার কাজ করছে। এ থেকে বোঝা যায় সরকারের সুশাসনের অভাব কতটুকু। তিনি বলেন, কোভিডের আগের ঊর্ধ্বগামী একটি অর্থনীতি কিভাবে এই অবস্থায় আসে? ওই সময় বিশ্ব বন্ধ হয়ে গেলেও আমাদের কল-কারখানা কিন্তু চলেছে। তাহলে সমস্যা কোথায়? রফতানি আমাদের কমেছে, কিন্তু এখনো ধনাত্মক ধারায় রয়েছে। তাহলে কোথায় যাচ্ছে এসব টাকা। আমাদের টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে, দুর্নীতি হচ্ছে শুধুমাত্র সুশাসনের অভাবে। তিনি বলেন, সংসদের বাজেট পেশ হলে দেখা যায় সরকারি দলের সাংসদরা তার প্রশংসা করেন, আর বিরোধী দল সমালোচনা করছে। এই প্রবণতা থেকে বের হয়ে সংসদে সবার দেশের জন্য ভালো হয়- এমন বিষয়ে খোলামেলা সমালোচনা করা উচিত। বাজেট প্রণয়নে সংসদ সদস্যদের থেকে নানা প্রেসার গ্রুপ বা অংশীদারদের বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় বলেও মন্তব্য করেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
এম এ মান্নান বলেন, গ্রামীণ ও শহুরে মানুষের চাহিদা ভিন্ন। তিনি বলেন, গ্রামে মানুষ একটা ভালো রাস্তা চায়। স্বাস্থ্য খাতে আরো বেশি সেবা চান। কয়েক বছর আগেও যেখানে বিদ্যুৎ ছিল না, তারা এখন বিদ্যুৎ পাচ্ছে। তারা এখন দাবি করছে টেকসই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের। গ্রামীণ মানুষদের এসব দাবি, তাদের চাহিদাকেও বাজেটে গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। তিনি বলেন, দেশের মানুষের মানসিকতা বদলানো প্রয়োজন। আমাদের সব কিছু ঢাকায় হতে হবে, চট্টগ্রামে হতে হবে। নিদেনপক্ষে সিলেটে হতে হবে। কিন্তু সুনামগঞ্জ বা শাল্লায় হবে না। এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। সরকারকে অপচয়রোধে মিতব্যয়ী হওয়ার পরামর্শ দেন সাবেক এই মন্ত্রী।
হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সংসদ সদস্য এ কে আজাদ বলেন, এমপি হিসেবে যে কথাগুলো আমাদের বলা উচিত, তা সিপিডি বলছে। আমাদের কাছে কোনো তথ্য থাকে না, কিন্তু সিপিডি সেই তথ্য শুধু সংরক্ষণই নয়- দেশের মানুষকে জানাচ্ছে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর উচিত। এখানে আমার ফরিদপুরে হাসপাতালগুলোতে যন্ত্র অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। জেলার হাসপাতালগুলোতে কমিটি আছে, কিন্তু সেসব কমিটি ২০১৯ সালের পর আর সভা করেনি। অব্যবস্থাপনা ও অপরিকল্পিতভাবে দেশের চিকিৎসা খাত চলছে। শিক্ষা খাতেও আমরা মানসম্মত শিক্ষা দিতে পারছি না। ফলে বিশ্ববাজারে আমরা প্রতিযোগিতা করতে পারছি না। এ কারণে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যে বাজেট বাড়ানো প্রয়োজন।
রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, অনেকেই প্রশ্ন করেছেন এখন বাজেট নিয়ে আলোচনা করলে তা কি বাজেটে যুক্ত হওয়ার সময় আছে। মানুষের অভিব্যক্তি দেখলেই বোঝা যায় বাজেট নিয়ে মানুষের কোনো প্রত্যাশা নেই। প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তির যে বিশাল ফারাক তা, এই গবেষণায় উঠে এসেছে। তাই মানুষ সরকারের ওপর প্রত্যাশা করতেও ভুলে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এনজিওগুলোর অর্থছাড়ে জটিলতায় প্রচুর অর্থ বাংলাদেশ থেকে বাতিল হয়ে উগান্ডায় চলে গেছে। এনজিওগুলোর অর্থছাড় দিতে মাসের পর মাস লাগে। এই অর্থগুলো মানবসম্পদ উন্নয়নে এসেছিল। কিন্তু এজেন্সি বা এসবির ক্লিয়ারেন্সের জন্য এসব অর্থ আটকে থাকে। এখানে এসব এজেন্সির কাজ কী- আমি বুঝি না।
মূলধারার শিক্ষা থেকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে। কোথায় যাচ্ছে এই শিক্ষার্থীরা। কেউ যাচ্ছে মাদ্রাসায়, কেউ যাচ্ছে লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে। এজন্য শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। সব শিক্ষামাধ্যমকে একটি আইনের মধ্যে আনতে হবে।
জনগণের প্রত্যাশা না থাকলেও দাবি ঠিকই আছে বলে মনে করেন সিপিডির সম্মানিত ফেলো অর্থনীতিবিদ মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, যে টাকায় বাজেট বরাদ্দ হবে, তা কিন্তু আমার টাকা, জনগণের টাকা। সামষ্টিক অর্থনীতি, রাজনীতি বা দেশ কিভাবে চলবে, সেই দাবিগুলো কিন্তু এই জরিপে উঠে এসেছে। তিনি বলেন, শ্রমিকের রেশন বা শিশুদের মিড ডে মিলকে ব্যয় হিসেবে দেখা হয়। আমাদের এই দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। এগুলোকে বিনিয়োগ হিসেবে দেখতে হবে। এগুলোতে যদি বিনিয়োগ না বাড়ায়, তাহলে দেশের অর্থনীতির সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে না। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিস্তার করলেই হবে না, মানসম্মত হতে হবে। তিনি বলেন, দ্বিতীয় প্রজন্মের এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে হবে সরকারকে। তা নাহলে ২০৪১ সালের যে পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন হওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, কর ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন ঘটাতে হবে। যারা কর দিচ্ছে তাদের ওপরই কর চাপানো হচ্ছে। তারা অনেক সময় হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অনেকে কর দিচ্ছেন না, কর ফাঁকি দিচ্ছেন। তিনি বলেন, পাশাপাশি বিদেশে টাকা চলে যাচ্ছে। কর কাঠামোতে প্রত্যক্ষ কর সরাসরি আয়ের ওপর কর, যা মোট করের ৩০ শতাংশ। অন্য দিকে পরোক্ষ কর যেমন- ভ্যাট ও শুল্ক ৭০ শতাংশ। এখানে পরিবর্তন আনতে হবে। দুর্বলতা থাকতে পারে, সেটা স্বীকার করে পদক্ষেপ নিতে হবে। বাজেটে সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয় না। তিনি বলেন, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটই হবে কিভাবে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা যায়। ওই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করে কিভাবে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করা যায়, সেটা বড় বিষয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা