স্কুল খুলে শিশুদের আগুনের মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে সরকার : রিজভী
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
তাপদাহে স্কুল খোলার বিষয়ে সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রাস্তাঘাট এত উত্তপ্ত যে মানুষ কম বের হচ্ছে। এর মধ্যেই স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অর্থাৎ এই শিশু এই কিশোরদেরকেও সরকার আগুনের মধ্যে পুড়িয়ে মারতে চাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা পাকিস্তান আমলেও গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটাতাম। অথচ এই সরকার রমজান মাস একটি ইবাদতের মাস, সেই মাসেও ১৫ দিন স্কুল খোলা রেখেছিল। যেখানে স্কুল সপ্তাহে দুই দিন বন্ধ তার মধ্যে শনিবারে খোলা রেখে শিশুদেরকে আগুনের মধ্যে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। একটা গণবিরোধী সরকার না হলে এই নীতি তারা গ্রহণ করত না।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ফকিরাপুল বাজারে বিএনপি আয়োজিত ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় রিজভী বলেন, বাংলাদেশে এখন উত্তপ্ত আগুনের মতো পরিবেশ। এই গরমে মানুষের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। এটার জন্য একমাত্র দায়ী এই গণবিরোধী সরকার। এরা নদী রক্ষা করতে পারেনি। ভূমিদস্যুরা নদী দখল করে রেখেছে। অন্যায়ভাবে গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে।থকিন্তু সরকার কিছুই করছে না। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, কয়লা পুড়িয়ে তাপকেন্দ্র করলে দেশের কোনো লাভ হবে না। দেশের গাছ, মাছ, ফসল পুড়ে যাবে। কুয়াকাটায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, বাগেরহাটের রামপালে কয়লা পুড়িয়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র করেছে, যার কারণে সমুদ্র পাড়ে নারিকেল গাছে নারকেল ধরে না, ফসল হয় না। আমাদের নিঃশ্বাস, আমাদের অক্সিজেন হচ্ছে সুন্দরবন, সেই সুন্দরবনকে পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। উজাড় করে দেয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে গণবিরোধী সরকার। তাই আজ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এই দেশে নদী খাল বিল দিয়ে ভরা কিন্তু সেই নদী খাল বিলগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। সারা দেশ গরমে উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে। ৪১ ডিগ্রি তাপমাত্রা মনে হচ্ছে ৪৩ বা ৪৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা। এ রকম গরম বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কখনো পড়েনি। যে দেশে এত গাছপালা এত নদী খাল সেই দেশে এ রকম গরম হওয়ার কথা না; শুধু সরকারের লুটেরা নীতি, নদী ভরাট করার নীতির কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, আমার দেশের মানুষদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। একদিন পরপর বিএসএফ বাংলাদেশের মানুষদেরকে গুলি করে হত্যা করছে। সেখানে সরকারের প্রতিবাদ নাই। সেখানে তারা মাথা নিচু করে থাকেন।
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন- বিএনপি নাকি যেকোনোভাবে ক্ষমতা দখল করতে চায়। আমরা দখল করতে যাবো কেন? দখল তো আপনারা করে রেখেছেন। জনগণ ছাড়া, ভোট ছাড়া ক্ষমতা দখল করে রেখেছেন। দেশের জনগণ চায় আন্দোলনের মাধ্যমে অতি দ্রুত এ সরকারের পতন হোক এবং জনগণের ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠন করা হোক।
রিজভী পথচারী রিকশাচালকদের মাঝে পানি, খাবার স্যালাইন এবং সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: মো: রফিকুল ইসলাম, সহঅর্থনৈতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, তাঁতীদলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্যসচিব আবদুর রহিম, যুবদলের সহসভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহসভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আলহাজ আনোয়ার হোসেন আনু, সহসাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, শামসুর রহমান, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, সাদিউল কবির নীরব, তৌহিদুল হাসান রিয়ন, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, তারেক উজ জামান তারেক, কাজী রফিকুল ইসলাম, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা: তৌহিদুর রহমান আউয়াল, লিয়াকত হোসেন, সহসাধারণ সম্পাদক মাইন উদ্দিন নিলয়, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা: সাইফুল আলম বাদশা, মতিঝিল থানা বিএনপি নেতা জাহিদুল হক জাহিদ, আলমগীর হোসেন, ঢাবি ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদ, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ডা: পিয়াস হাসান, মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক যুগ্ম আহ্বায়ক নাদিম চৌধুরী, অধ্যক্ষ সেলিম মিয়া প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা