১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

তাপদাহে স্থবির কাজকর্ম

-

- হিটস্ট্রোকে ২ জনের মৃত্যু
- তাপমাত্রা বাড়বে না ৩ দিন
- সর্বোচ্চ মংলায় ৪১.৬ ডিগ্রি

দেশব্যাপী তীব্র তাপদাহে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জনজীবন। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গতকাল ৪১.৬ ডিগ্রি পৌঁছেছে মংলায়। দিনের একটা সময় অনেকটা স্থবির হয়ে যায় কাজকর্ম। শহর কিংবা গ্রাম সর্বত্রই দুপুরের আগে-পরে মানুষের চলাচল অনেকটা বন্ধ হয়ে যায়। ঘরের বাইরে বের হলেই তীব্র গরমে ঘামে ভিজে যায় গায়ের জামা-কাপড়। হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে চল্লিশোর্ধরা রাস্তায় চলাচল করতে ভয় পাচ্ছেন। তীব্র গরমে শুধু বয়স্করা নয় শিশুরাও নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। বয়স্করা হাঁপানিসহ হিটস্ট্রোকসহ সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তীব্র এই তাপদাহে সবার উচিত যতদূর সম্ভব ঠাণ্ডা পরিবেশে রাখা। বেশি করে পানি পান করে নিজেদের শরীর আর্দ্র রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এদিকে প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে হিটস্ট্রোকে ভোলার চরফ্যাশন, বগুড়ার শেরপুর ও রাজবাড়ীতে এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে সার্বিক তাপমাত্রা এত বেশি যে রাজপথের পিচও গলে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে এমনও ঘটছে চপ্পল অথবা দুর্বল চামড়ার জুতো সুখতলী পিচে লেগে রাস্তায় থেকে যাচ্ছে, খুলে যাচ্ছে জুতা। আবার জুতা রাস্তায় থেকে যাচ্ছে মোজা পায়ে থেকে যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব ছবি শেয়ার হচ্ছে। প্রচণ্ড তাপদাহে রাস্তার কুকুর ও বেড়ালদের প্রচণ্ড হাঁপাতে দেখা যাচ্ছে। কোথাও পানি পড়লে দৌড়ে গিয়ে তা পান করছে। পানির সন্ধানে পাখিরা ঘরের কাছে চলে আসছে। কেউ কোনো পাত্রে পানি দিলে সেটা পান করছে ভয় না পেয়ে। আর চিড়িয়াখানার অধিকাংশ পশু সারা দিন পানিতেই থাকছে গরম থেকে বাঁচতে।
এদিকে আবহাওয়া অফিস আজ বৃহস্পতিবার থেকে আগামী শনিবার পর্যন্ত দেয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই তিন দিনে বর্তমান যে তাপপ্রবাহ দেশে বিরাজ করছে এর খুব বেশি অবনতি ঘটবে না। অর্থাৎ দিন ও রাতের সার্বিক তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। গত ২২ জুলাই আবহাওয়া অফিসের জারি করা তিন দিনের তাপপ্রবাহের সতর্কতা গতকাল বুধবার শেষ হয়েছে। আবহাওয়া অফিস আজ বৃহস্পতিবারের জন্য তাপপ্রবাহের কোনো সতর্কতা জারি করেনি। আবহাওয়া অফিস আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, এ সময় আবহাওয়ার অবস্থার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

আজ বৃহস্পতিবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
গতকাল দেশের ৯টি অঞ্চল ছিল তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে। এই অঞ্চলগুলো হলো- মংলা, খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুমারখালী, রাজশাহী, ঈশ্বরদী, দিনাজপুর, সৈয়দপুর, ফরিদপুর, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ। এসব অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ থেকে ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। তাপমাত্রার দিক থেকে সিলেট, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের তাপমাত্রা তুলনামূলক কম আছে। এই তিন বিভাগের তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে সেখানে বৃষ্টি না হলেও আকাশে মোটামুটি মেঘ ছিল। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ ও সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.২ ও ২৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চরফ্যাসন সংবাদদাতা জানান, চরফ্যাসন (ভোলা) উপজেলায় হিটস্ট্রোকে মোটরবাইক চালকের মৃত্যু হয়েছে। তার মিরাজ। গতকাল বুধবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার আবু বক্করপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মতলব মিয়ার বাজারসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মিরাজের বাবা রফিকুল ইসলাম জানান, তার ছেলে মিরাজ সকালে ভাড়ায়চালিত মোটর বাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। দুপুর ১২টার দিকে আবু বক্করপুর ইউনিয়নের মতলব মিয়ার বাজারসংলগ্ন এলাকায় তীব্র গরমে হঠাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে আশপাশের লোকজন তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা: মাহাবুব কবির বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই মিরাজের মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গরমে হিটস্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে।
রাজবাড়ী প্রতিনিধি জানান, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে তীব্র গরমে হিটস্ট্রোকে মো: নুর ইসলাম (৭৫) নামে এক শিক্ষকের গোয়ালন্দ উপজেলা হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মৃত্যু হয়। তার বাড়ি উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে। তিনি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।
নুর ইসলামের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল ১০টার দিকে প্রচণ্ড গরমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে নিজ বাড়ির আঙিনায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নুর ইসলাম। পরিবারের লোকজন দ্রুত এগিয়ে এসে প্রথমে তার মাথায় পানি ঢালেন। অবস্থা আরো খারাপ হলে তাকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি মারা যান।
শেরপুর (বগুড়া) সংবাদদাতা জানান, বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় হিটস্ট্রোকে আব্দুস সালাম (৬০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের জোড়গাছা গ্রামের মৃত আব্দুস সোবহানের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম জানান, বেলা ১১টার দিকে গরুর ঘাস কাটার জন্য মাঠে যায়। মাঠ থেকে ঘাস কেটে নিয়ে সুঘাট ইউনিয়নের জোড়গাছা এলাকায় বাঙ্গালী নদীর কিনারে নদীতে ঘাস ধোয়ার জন্য আসে। প্রচণ্ড তাপদাহে আব্দুস সালাম দুপুর আড়াইটার দিকে নদীর কিনারেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথেই তিনি মারা যান।
সখীপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা জানান, তীব্র তাপপ্রবাহে মানুষ ও পশুপাখি হাঁসফাঁস করছে। অনেকে হিটস্ট্রোকসহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এই কঠিন সময়েও সখীপুরে গজারি ও শাল বনে আগুন জ্বলছে। এতে আবহাওয়া আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। প্রশ্ন উঠছে গজারি ও শালবনে এমন সময় আগুন দিচ্ছে কারা, আর কেনইবা দিচ্ছে। এই প্রশ্নের উত্তর জানা নেই কারো। সংরক্ষিত এসব বন কর্তৃপক্ষেরও অজানা এ প্রশ্নের উত্তর। প্রত্যেক বছরই চৈত্র ও বৈশাখ মাস এলেই সখীপুরের প্রায় সব সংরক্ষিত গজারি ও শালবনে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। পরিবেশবিদরা জানান, বনে এভাবে আগুন দেয়ার ফলে মানুষের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমন ক্ষতি হচ্ছে পশুপাখিরও। বন্য অনেক প্রাণী এ আগুনের কারণে আশ্রয়স্থল হারাচ্ছে। বিলুপ্ত হচ্ছে বিভিন্ন ওষুধি গাছ। অথচ এর সাথে জড়িতদের চিহ্নিত বা আইনের আওতায় আনতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, চুয়াডাঙ্গায় এক টানা ১৩ দিন ধরে অব্যাহত রয়েছে তীব্র তাপমাত্রা। গত মঙ্গলবার রাতে বিদ্যুৎ চমকানোর ও দমকা হাওয়ার সাথে সামান্য এক পশলা বৃষ্টি কিছুটা জনমনে স্বস্তি আনলেও দিনের আলো ফোটার সাথে বেলা যত বাড়তে থাকে সূর্যের চোখ রাঙ্গানি তো বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে ভ্যাপসা গরম। এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা।
গতকাল বুধবার বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্র ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২১ শতাংশ।
সৈয়দপুর (নীলফামারী) সংবাদদাতা জানান, নীলফামারীর সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে গত তিন দিনে প্রায় ৮০০ শিশু রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়েছে। প্রতিদিন শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কিন্তু শয্যা সঙ্কটে ভোগান্তিতে রোগীসহ স্বজন, চিকিৎসক ও সেবাকর্মীরা।

সরেজমিনে গতকাল বুধবার দুপুরে হাসপাতালে গেলে দেখা যায় এক বছরের শিশু মেসবান তিন-চার দিনের জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে ডাইরিয়ার চিকিৎসা নিচ্ছে। শিশুটির মা আমেনা বেগম বলেন, কয়েক দিন ধরে সন্তানের জ্বর। এরপর গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ডাইরিয়ায় আক্রান্ত।
পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, উত্তরের জেলা পঞ্চগড়েও শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। গত দুই দিন ধরে পঞ্চগড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। আবহাওয়া অফিসের হিসাবে যা মাঝারি তাপপ্রবাহ। গতকাল বুধবার বেলা ৩টায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। ক্রমাগতভাবে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সকালে কাজে বের হওয়া মানুষগুলো প্রচণ্ড গরমে টিকতে না পেরে বাড়ি ফিরে আসে দুপুরের আগেই। তবে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাড়লেও কমছে রাতের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা।
নীলফামারী প্রতিনিধি জানান, তীব্র তাপদাহে পুড়ছে উত্তরের জেলা নীলফামারী। তাপপ্রবাহ, অতিরিক্ত গরম আর রোদে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এ জেলার জনজীবন। হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।

প্রতিদিনই যেন বাড়ছে দিনের তাপমাত্রা। অন্য বছর আবহাওয়ার কিছুটা তারতম্য লক্ষ্য করা গেলেও এবার এপ্রিলের শুরু থেকেই তাপমাত্রা বেড়েই চলছে এ জেলায়। গরম বাতাস যেন শরীরে বিধছে আগুনের হল্কার মতো। এতে হাঁপিয়ে উঠেছেন শ্রমজীবী মানুষ।
নালিতাবাড়ী (শেরপুর) সংবাদদাতা জানান, শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং ও তাপদাহের অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ উপজেলাবাসী। একদিকে বৈশাখের প্রচণ্ড তাপদাহ অন্যদিকে বিদ্যুতের ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে মানুষের জীবনকে করে তুলেছে দুর্বিষহ।
নালিতাবাড়ীতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুতের লোডশেডিং হওয়ায় জনজীব বিপর্যন্ত হয়ে পড়ছে। বিদ্যুতের আসা-যাওয় যেন অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। তাপদাহে এমনতেই নাকাল সাধারণ মানুষ তার ওপর বিদ্যুতের ভেলকিভাজ জনজীবনে নাভিশ্বাস হয়ে উঠছে। এদিকে লোডশেডিংয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পল্টিশিল্পের, ধানের চাতালের। বিদ্যুত বিভ্রাটে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অটোরাইচ মিলের। অটোরাইচ মিলমালিকরা লোকসানের আশঙ্কা করছে। শ্রমিকরা অলস সময় পার করছে, উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে এবার গাছে গাছে বিপুল পরিমাণে মুকুল এসেছিল। গাছগুলোতে আমের গুটিও ছিল অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। এছাড়া শুরু থেকেই বাড়তি যতেœ কৃষকপর্যায়ে কিংবা বাগানগুলোতে এসব গুটি থেকে আস্তে আস্তে বড় হচ্ছিল আমগুলো। তবে গত ক’দিনের টানা তীব্র তাপদাহে গাছে থাকা আমের গুটির বৃদ্ধি ও টিকে থাকা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন বাগান ও গাছের মালিকরা।
ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতা জানান, ঈশ্বরদীতে প্রায় মাসজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে। গতকাল বুধবার ঈশ্বরদীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া প্রায় প্রতিদিনই ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠানামা করছে। আবহাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ হেলাল উদ্দিন।

 


আরো সংবাদ



premium cement