১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
মুসলিমবিদ্বেষী মন্তব্য

মোদির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে হাজারো অভিযোগ

-

ভারতের রাজস্থানে গত রোববার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক নির্বাচনী বক্তৃতায় তীব্র মুসলিমবিদ্বেষী মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ করেছে বিরোধী দলগুলো। এ নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে হাজার হাজার চিঠি জমা পড়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। ওই ভাষণে মোদি দাবি করেন, বিরোধীরা ভোটে জিতে দেশের ক্ষমতায় এলে সাধারণ মানুষের সম্পদ ‘অনুপ্রবেশকারী’দের মধ্যে বিলি করে দেবে। বিবিসি।
রাজস্থানে জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি আরো বলেন, ‘যাদের বেশি বেশি ছেলেমেয়ে আছে’ বিরোধী কংগ্রেস তাদের মধ্যেই দেশের ধনসম্পদ ভাগবাটোয়ারা করে দিতে চায়। এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে তিনি ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিই ইঙ্গিত করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওই সভায় মোদি বলেন, ‘সরকারে থাকাকালীন কংগ্রেস বলেছিল দেশের সম্পদের ওপর মুসলিমদের অধিকার সবার আগে। অর্থাৎ দেশের সম্পদ বণ্টন করা হবে তাদের মধ্যে, যাদের পরিবারে বেশি সন্তান রয়েছে। অনুপ্রবেশকারীদের হাতে তুলে দেয়া হবে দেশের সম্পদ। কংগ্রেসের ইশতেহারেই বলা হয়েছে, মা-বোনদের সোনার গয়নার হিসাব করে সেই সম্পদ বিতরণ করা হবে। মনমোহন সিংয়ের সরকার তো বলেই দিয়েছে, দেশের সম্পদে অধিকার মুসলিমদেরই। আপনাদের মঙ্গলসূত্রটাও বাদ দেবে না।’

ভারতের দীর্ঘ নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার মাত্র দু’দিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী এই মন্তব্য করেছিলেন। ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস প্রায় সাথে সাথেই তার এই বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করেছে। লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কংগ্রেস। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘প্রথম দফার ভোট শেষ হতেই হতাশ হয়ে পড়েছেন মোদি। সেই জন্যই মিথ্যা কথা বলে আমজনতার নজর ঘোরাতে চাইছেন। কিন্তু দেশের মানুষ সব সমস্যার কথা মাথায় রেখেই ভোট দেবেন।’
নরেন্দ্র মোদির দল তথা ভারতে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বিরুদ্ধে অতীতেও বহুবার দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু, বিশেষ করে মুসলিমদের আক্রমণের নিশানা করার অভিযোগ উঠেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। সিপিআইএম (এল), কংগ্রেসের পর এবার মোদির বিরুদ্ধে কমিশনে চিঠি লিখেছেন ১৭ হাজার ৪০০ সাধারণ নাগরিক।
মোদির বিরুদ্ধে দেয়া চিঠিতে সাধারণ নাগরিকরা বলেছেন, ‘প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন, সেটা ভারতের একাংশের নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকারে আঘাত। মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর সরাসরি আক্রমণ।’ সূত্রের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, হাজারো চিঠি জমা হওয়ার পর নির্বাচন কমিশন মোদির মন্তব্য খতিয়ে দেখছে।


আরো সংবাদ



premium cement