মতামত ছাড়াই ইমারত নির্মাণ বিধিমালা করছে রাজউক : সংক্ষুব্ধ রিহ্যাব
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
কোনো পক্ষের মতামত নেয়া ছাড়াই রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ২০২৪। এমনকি এই খাতের সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বা রিহ্যাবেরও কোনো প্রকার মতামত নেয়া হয়নি বলে রিহ্যাব নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, কারো কোনো মতামত নেয়া ছাড়াই আগামী ৭ (১৬ এপ্রিল থেকে দিন গণনা শুরু) কর্মদিবসের মধ্যে এই বিধিমালা চূড়ান্ত করা হবে। মতামত ছাড়াই ইমারত নির্মাণ বিধিমালা প্রস্তুত করায় সংক্ষুব্ধ হয়েছেন রিহ্যাব সদস্যরা। ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ২০২৪ চূড়ান্ত করার আগে রিহ্যাবের মতামত নেয়ার অনুরোধ করেছেন তারা।
রিহ্যাব নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেছেন, খসড়া ইমারত নির্মাণ বিধিমালা যে নীতিমালার ওপর তৈরি করা হচ্ছে তাতে সাধারণ নাগরিক, ভূমি মালিক ও ভবন মালিকদের মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। একই কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আবাসন শিল্প। কারণ নতুন বিধিমালা অনুয়ায়ী ভবনের উচ্চতা ও আয়তন কমবে, ফ্ল্যাটের সংখ্যাও হ্রাস পাবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ উলম্বভাবে (উপরের দিকে বাড়ানো) ভবন তৈরির দিকে ঝুঁকলেও রাজউক হাঁটছে উল্টোপথে। আমাদের জনসংখ্যা যেমন বেশি তেমনি আমাদের জমির মারাত্মক সঙ্কট রয়েছে। কৃষি জমির ওপর চাপ বাড়বে। রিহ্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, ভবনের উচ্চতা বাড়তে না পারলে অসংখ্য নাগরিকের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় ব্যাহত হবে। ফলে ফ্ল্যাটের দাম বাড়ার পাশাপাশি বাসা ভাড়া বাড়বে। বাসা ভাড়ার চাপও সামাল দিতে না পেরে অনেক নাগরিকই ঢাকা ত্যাগ করতে বাধ্য হবেন। একই সাথে বাড়বে সাবলেটের সংখ্যা। ফলে নগর জীবন ব্যবস্থায় অসংখ্য জটিতলা সৃষ্টি হবে এবং সঙ্কটে পড়বে আবাসন খাত। আবাসন খাত সঙ্কটে পড়লে সামগ্রিক অর্থনীতিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
রিহ্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইতঃপূর্বে বিভিন্ন বিধিমালা প্রস্তুতকালেই রিহ্যাবকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। স্টেকহোল্ডার হিসেবে এই বিধিমালার খসড়া প্রণয়নে রিহ্যাবের লিখিত মতামত ও সুপারিশ গ্রহণ করা হয়নি। একতরফাভাবেই প্রস্তাবিত ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-২০২৪’র খসড়া তৈরি করা হয়েছে। রিহ্যাব নেতৃবৃন্দ বলছেন, রাজউকের এমন কাজ সত্যিই অনভিপ্রেত।
রিহ্যাব এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সরকারের আইন ও বিধিগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে রিহ্যাব সদস্যরা পরিকল্পিত নগরায়নের মাধ্যমে সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছে। রিহ্যাব সদস্যরা বিভিন্ন ভবন তৈরি করে ঢাকা শহরের আবাসন সমস্যা সমাধানে কাজ করছে। বাস্তবায়ন পর্যায়ের অভিজ্ঞতা ও কর্মপরিকল্পনা কার্যকর করার ক্ষেত্রে প্রকল্পের সমস্যা ও অসুবিধাগুলো রিহ্যাব সদস্যরাই মোকাবেলা করেন। এজন্য ওই বিধিমালার খসড়া প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে রিহ্যাবের সুপারিশ ও মতামত গ্রহণ করা জরুরি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা