১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কেএনএফের সাথে সব সংলাপ বন্ধ

অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার উদ্ধার, ব্যাংক লুটের সময় ৪০ জনকে জিম্মি করে অস্ত্রধারীরা
-


বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের মধ্য দিয়ে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সাথে সংলাপ করার সব ধরনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে তাদের সাথে আর সংলাপ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা। এ সময় তিনি দীর্ঘ দিন ধরে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী কেএনএফ ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সাথে আলোচনা এবং এর বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন। এ সময় সাংবাদিকদের সামনে তিনি লিখিত একটি বিবৃতি দেন।
এ দিকে গতকাল সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বান্দরবানের রুমা বাজার এলাকা থেকে অপহৃত সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে উদ্ধারের কথা জানিয়েছে র‌্যাব। এর আগে বিকেলে রাজধানীর কাওরানবাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানিয়েছিলেন অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে ফিরে পেতে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে কেএনএফ।

শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির আহ্বায়ক ও বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা গতকাল তার বিবৃতিতে বলেন, ‘গত ২ এপ্রিল রুমা উপজেলায় কেএনএফ কর্তৃক পবিত্র রমজান মাসে তারাবিহর নামাজিদের ওপর হামলা, সরকারি কর্মকর্তা ও পথচারীদের জিম্মি, অর্থ লুটের উদ্দেশ্যে সোনালী ব্যাংকে হামলা, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুট করে নেয়া এবং ৩ এপ্রিল থানচি উপজেলায় স্থানীয়দের জিম্মি করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ ও দু’টি ব্যাংক লুট করার মতো হীন কার্যক্রমের বিরুদ্ধে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
কেএনএফকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য গত বছরের ২৯ মে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নেতাদের উপস্থিতিতে জেলার অরুণ সারকী টাউন হলে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৯ জুন স্থানীয় নেতাদের সমন্বয়ে ১৮ সদস্যবিশিষ্ট একটি শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ও কেএনএফের মধ্যে কয়েক দফা ভার্চুয়াল মিটিংয়ের পর উভয়পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে সরাসরি সংলাপে বসার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়।’

ক্য শৈ হ্লা বলেন, গত বছরের ৫ নভেম্বর এবং চলতি বছরের ৫ মার্চ দুই দফা সরাসরি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। উভয় সংলাপে কেএনএফের সশস্ত্র কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা ও অন্যান্য বিষয়সংক্রান্ত দু’টি সমঝোতা স্মারক সম্পাদিত হয়। কিন্তু তারা সম্পূর্ণভাবে চুক্তি ভঙ্গ করে বিভিন্ন সময়ে সশস্ত্র কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। কমিটির তরফ থেকে এ ব্যাপারে বারবার অবগতি করা হলেও তারা কর্ণপাত করেনি।
শান্তি আলোচনা চলাকালে কেএনএফের এ ধরনের অবস্থানে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির গৃহীত উদ্যোগ ও কার্যক্রম ব্যর্থ হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার। এর মধ্যে সাধারণ বম জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ গ্রামে ফিরতে প্রশাসনিকভাবে সব সুবিধা দেয়া হয়েছে। তাদের খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার পরও এ ধরনের ঘটনায় আমরা বিস্মিত। আবার কি এই শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাবে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ঘটনার পর কেএনএফের লিয়াজোঁ কমিটির সব সদস্যের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলাম, সম্ভব হয়নি।
অপহৃত ব্যবস্থাপক উদ্ধার : বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখা লুট করার সময় অপহৃত ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বান্দরবানের রুমা বাজার এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। নিজাম উদ্দিনকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, নিজাম উদ্দিনকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে উদ্ধার করা হয়েছে। র‌্যাব বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় কেএনএফের সাথে মধ্যস্থতা করে তাকে উদ্ধার করে। এখন তাকে বান্দরবানে স্থানীয় র‌্যাব ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার রাতে সোনালী ব্যাংকের বান্দরবানের রুমা উপজেলার শাখা ব্যবস্থাপক নিজামুদ্দিনকে অপহরণ করে কেএনএফের অস্ত্রধারীরা। ব্যাংকের ভল্টে থাকা এক কোটি ৫৯ লাখ টাকা লুট করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় অস্ত্রধারীরা।
র‌্যাব -১৫ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন গতকাল সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, রুমা বাজার এলাকা থেকে ব্যাংক কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করা হয়েছে। রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল আলম জানিয়েছেন, নিজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি এখন সুষ্ঠু রয়েছেন। এখন তিনি রুমাতে রয়েছেন।
বিবিসি জানায়, মাত্র ১৬ ঘণ্টার ব্যবধানে বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে দু’টি ব্যাংকের তিনটি শাখায় ডাকাতির ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই ঘটনার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ঘটনার সাথে কেএনএফ বা কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট জড়িত। কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন’ হিসেবে বিবেচনা করে বাংলাদেশের নিরাপত্তাবাহিনী।
সরকারের সাথে কেএনএফের যখন শান্তি আলোচনা চলছে ঠিক সে সময়ে এসব ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। কেএনএফ এখন পর্যন্ত এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। এই ঘটনার বিষয়ে কেএনএফের দিক থেকে কোনো বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।

পার্বত্য চট্টগ্রামের সাথে সম্পৃক্ত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেছেন, সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ শুধু টাকার জন্য ব্যাংক ডাকাতি করেনি বলে তারা মনে করেন। তিনি মনে করেন, এই ঘটনার মাধ্যমে কেএনএফ তাদের শক্তির পরিচয় দিতে চেয়েছে। নিজেদের সশস্ত্র অবস্থান জানান দিয়ে কেএনএফ আলোচনায় তাদের অবস্থান শক্ত করতে চেয়েছে। নিরাপত্তাবাহিনীর কর্মকর্তারা মনে করছেন, কেএনএফ এমন একটি ঘটনার মাধ্যমে দেশজুড়ে আলোচনায় আসতে চেয়েছে। সেনা কর্মকর্তারা বলছেন, যেকোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনকে মোকাবেলার জন্য এক দিকে যখন অভিযান অব্যাহত থাকে অন্য দিকে আলোচনাও চলমান থাকে। সে জন্যই কেএনএফের সাথে আলোচনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল।
৪০ জনকে জিম্মি করে অস্ত্রধারীরা : থানচিতে দু’টি ব্যাংক থেকে টাকা লুট হওয়ার সময় বাধা দিতে যাচ্ছিল ওসিসহ পুলিশের একটি দল। এ সময় তাদের লক্ষ্য করে দুই দফা গুলি চালায় অস্ত্রধারীরা। তারা ব্যাংক কর্মকর্তা, দুই বিজিবি সদস্য, ৯ জন পুলিশ সদস্য ও ব্যাংকে আসা লোকজনসহ প্রায় ৪০ জনকে জিম্মি করে। পুলিশ গুলি চালালে জিম্মিদের গুলি করার হুমকি দেয়া হয়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পুলিশ সদস্যরা বলছেন, পুলিশ ধৈর্যের পরিচয় না দিলে অনেক লাশ পড়ত।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে থানচি উপজেলা সদরে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের দু’টি শাখার সামনে গিয়ে দেখা যায় সতর্ক পাহারায় রয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। ব্যাংক দু’টি থেকে ১০০ গজ দক্ষিণে পাহাড়ের ওপর থানচি থানা।
থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীমউদ্দীন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা তখন জানতে পারি দু’টি ব্যাংকের ভেতরে ৪০ জনকে জিম্মি করে রেখেছে অস্ত্রধারীরা। ওসি আরো বলেন, আমরা জানতে পারি ঘটনাস্থল থেকে একটু দূরে শাজাহান পাড়ায় অস্ত্রধারীদের ৪০ জনের আরেকটি দল ছিল।

ম্যানেজারকে ছাড়তে মুক্তিপণ দাবি!
নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজারকে ছাড়াতে কেএনএফ ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী ও যৌথ বাহিনীর সহযোগিতায় আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে ব্যাংক ম্যানেজারকে অক্ষত ও নিরাপদে ফিরিয়ে আনা। এ জন্য নানান কৌশলে কাজ করছে র‌্যাব। ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে তার পরিবারের কথা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তিনি সুস্থ আছেন। তার অবস্থান শনাক্তে কাজ করছে র‌্যাব। একই সাথে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের সাথে আলোচনা করছি কিভাবে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যদের গ্রেফতার করা যায়। পাশাপাশি স্থানীয়দের সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে ও গণমাধ্যমে প্রকাশ করে জড়িতদের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। হামলায় অন্য কারও ইন্ধন রয়েছে কি না বা কোনো কারণ রয়েছে কি না সে বিষয় র‌্যাবের গোয়েন্দারা কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।
তিন উপজেলার ব্যাংকিং বন্ধ : নিরাপত্তাজনিত কারণে বান্দরবানের ৩ উপজেলা থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়িতে সব ধরনের ব্যাংক কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এটা অব্যাহত থাকবে। গতকাল দুপুরে সোনালী ব্যাংকের এজিএম ওসমান গনি এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি তারাই বিবেচনা করবে। তারা জানিয়েছেন দুই উপজেলার ব্যাংকের কার্যক্রম জেলা থেকে পরিচালনা করা হচ্ছে।

ব্যাংক ডাকাতিতে জড়িতদের কঠোর শাস্তি হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের শাস্তি হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গতকাল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করব। ব্যাংকে ডাকাতি ছোট ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে না। কুকি-চিনকে কঠোরভাবে দমনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তারা আলোচনার মধ্যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেন হঠাৎ করে তারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, তা আমাদের জানা নেই। তবে যে উদ্দেশ্যেই তারা এসব করুক না কেন, আমরা তাদের কাউকে ছাড় দেবো না।
মন্ত্রী আরো বলেন, পয়লা বৈশাখ কিংবা অন্য কিছু নিয়ে নাশকতার কোনো তথ্য আমাদের কাছে এখনো আসেনি। আবার না এলেও আমাদের যে সতর্কতা, সেটা নেয়া হচ্ছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের আহ্বান ফেনীতে মুক্তিপণ না দেয়ায় শিশু খুন, গ্রেফতার ৩ কিশোর ড. ইউনূসের সাথে এসএফও প্রতিনিধিদলের বৈঠক সিরিজ নিশ্চিত করতে চায় দক্ষিণ আফ্রিকা, সমতা লক্ষ্য পাকিস্তানের হালাল পণ্যের বাজার প্রসারে বাংলাদেশের সাথে কাজ করবে মালয়েশিয়া শমী কায়সারের জামিন স্থগিত দেড় যুগ পর সিলেটে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন কাল হালাল পণ্যের বাজার প্রসারে একসাথে কাজ করবে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া ৫ বছর পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি জিতল জিম্বাবুয়ে জাহিদ-পলক-আজমসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা দেশে এলো ইউক্রেন থেকে আমদানি করা গম

সকল