১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ঈদের খুশি ভাগ করতে শুরু হয়েছে বাড়ি ফেরা

যাত্রা নির্বিঘ্নে করতে ডিএমপির নানা পদক্ষেপ
ঈদ উপলক্ষে বাড়ি ফিরতে কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের ভিড় : নয়া দিগন্ত -

প্রিয়জনের সাথে ঈদের খুশি ভাগাভাগি করতে শুরু হয়েছে বাড়ি ফেরা। খুশির মাঝে কিছুটা সংশয় নিয়েই ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন ঘরমুখো মানুষ। যানজটসহ নানা ঝামেলা এড়াতে আগেভাগেই নাড়ির টানে ছুটছেন অনেকে। তবে এই যাত্রায় নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যাই বেশি। তারা বলছে, ঈদের সময় অনেক বেশি ঝামেলা হয়ে থাকে। ওই সব ঝামেলা এড়িয়ে চলতেই কিছুটা আগেভাগে রওনা করেছেন তারা। এ দিকে ঢাকা থেকে ঈদ করতে গ্রামে যাওয়া প্রায় দেড় কোটি মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। ঢাকার চার পাশের জেলা পুলিশের সাথে সমন্বয় করে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘœ করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।
গতকাল কমলাপুর রেলস্টেশন, গাবতলী-মহাখালী-সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। কমলাপুর রেলস্টেশনে আট মাসের শিশুসহ পরিবারের চার সদস্য নিয়ে রংপুর যাচ্ছিলেন আবুল কালাম। তিনি বলেন, সাধারণত ঈদ ছাড়া বাড়িতে যাওয়া হয় না। প্রতি বছর ঈদের দু-এক দিন আগে রওনা করেন তিনি। কিন্তু এবার তার আট মাসের একটি শিশু রয়েছে। তাকে নিয়ে ওই ভিড়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। তাই আগেই স্ত্রী সন্তানদের পাঠিয়ে দিচ্ছেন। মালিহা রহমান বলেন, ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি। কিন্তু ঈদের সময় অনেক বেশি ভিড় হয়। কখনো রাস্তায় যানজটে দীর্ঘ সময় আটকে থাকতে হয়। এতে ঈদের আনন্দ অনেকটাই ম্লান হয়ে যায়। তাই ঝামেলামুক্ত অবস্থায় আগেভাগেই যশোরে দাদা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করেছেন। তবে ঝামেলার সংশয় যে একেবারেই থাকছে না, তা নয়। তার সাথে মা, ছোট ভাই ও ছোট বোন রয়েছে।
এ দিকে ঈদযাত্রা নির্বিঘœ করতে ডিএমপির পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা আদায়, রাস্তায় লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চালানো, নির্ধারিত কাউন্টার ছাড়া টিকিট বিক্রি, টিকিট কালোবাজারিসহ যেকোনো ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। গতকাল বুধবার দুপুরে ডিএমপি সদর দফতরে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীর সার্বিক আইনতৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, যাত্রী সাধারণের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘœ রাখা এবং ঈদের নামাজ সুষ্ঠুভাবে আদায় করার জন্য সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী প্রায় দেড় কোটি লোক প্রিয়জনের সাথে ঈদ করতে ঢাকা ছাড়বে। তাদের যাত্রা সুন্দর করতে নৌ-রেল-সড়ক সব কিছুতেই আমাদের নজর থাকবে। ঢাকায় প্রবেশ ও বহিঃগমনের জন্য ১১টি পথ রয়েছে। এই পথগুলো সুন্দর রাখতে ঢাকার সাথে পাশের নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার সাথে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সমন্বয় খুব দরকার। এ জন্য আমাদের ট্রাফিকের ও ক্রাইমের ডিসিরা জেলার সীমান্তের যে ইউনিট আছে তাদের সাথে যোগাযোগ করে ম্যানেজমেন্টগুলো ঠিক করবেন। প্রয়োজনে তাদের সাথে মিটিং করেন, সিদ্ধান্ত নিয়ে সমন্বয় করেন। প্রয়োজনে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চালু করে নিজেদের গ্রোগ্রাম শেয়ার করেন।
তিনি বলেন, কোনো অবস্থাতেই ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় নামতে দেয়া হবে না। এ জন্য মালিক ও শ্রমিক সমিতির নেতারা সবাই একমত হয়েছেন। লাইসেন্সবিহীন কেউ যেন ড্রাইভ না করতে পারে সেটি নিয়ে মালিক সমিতির কর্মকর্তারা কথা বলেছেন। আমি অনুরোধ করব দুর্ঘটনাবিহীন ঈদ করতে এ বিষয়ে আমাদের কর্মকর্তারা যারা যেখানে আছেন তারা ব্যবস্থা নেবেন।


আরো সংবাদ



premium cement