রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আইওএমের সহায়তা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ান ও ইন্দোনেশিয়ার সহায়তা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইওএমের মিশন প্রধান আব্দুসাত্তর ইসোয়েভ এবং ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলোর সাথে সাক্ষাতের সময় হাছান মাহমুদ তাদের সহায়তা চান।
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদার করার জন্য তারা অঙ্গীকার করেন।
দুই দেশের সাম্প্রতিক জাতীয় নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে ড. হাছান ইন্দোনেশিয়ায় জাতীয় নির্বাচন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় দেশটির নেতৃত্বকে শুভেচ্ছা জানান।
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের উচ্চ সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে পাম অয়েল শোধনাগার এবং পণ্যের বাজার প্রতিষ্ঠায় ইন্দোনেশিয়ার বিনিয়োগকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

হাছান মাহমুদ এ সময় জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের স্বদেশে দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য আরো সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য ইন্দোনেশিয়া এবং আসিয়ানের প্রতি আহ্বান জানান।
আইওএম মিশন প্রধান বাংলাদেশের সাথে সংস্থার সম্পর্কের সূত্রপাত থেকে আজ অবধি কার্যক্রম সংক্ষেপে তুলে ধরেন।
মন্ত্রী আইওএমকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের নিজ দেশে দ্রুত প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধানের পথ।
হাছান মাহমুদ ক্লাইমেট মাইগ্র্যান্টস বা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে স্থানচ্যুতদের ব্যাপারে আইওএমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আইওএম মিশন প্রধান বিষয়গুলোতে তাদের জোর তৎপরতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।