এলডিসির চ্যালেঞ্জ উত্তরণে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ২৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
এলডিসি উত্তরণের পর সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ২০২৬ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন হবে। এখন থেকে এ নিয়ে কাজ করতে হবে। সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্যোগ নিতে হবে। সেই সাথে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়নে অল্প টাকা দিলে কাজ শেষ হবে সেসব প্রকল্প দ্রুত বরাদ্দ নিশ্চিত করার প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, সভায় প্রধানমন্ত্রী বিদেশে বাংলাদেশ চ্যান্সারি ভবন বা মিশনে সেবা নিতে আসা প্রবাসীদের জন্য পৃথক রেস্ট রুম নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন।
রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার। এটি চলতি অর্থবছরের ৮ম সভা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার, কৃষি, পানি ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য আবদুল বাকী, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য ড. মোহাম্মদ ইমদাদউল্লাহ মিয়ান।
ব্রিফিংএ জানানো হয়, একনেকে ১১ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা এর মধ্যে একটির ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ সহায়তা থেকে ৪৮৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন বিষয়ে সত্যজিত কর্মকার বলেন, মিসরে যে চ্যান্সারি ভবন তৈরি হবে সেখানে প্রবাসীদের জন্য ওয়েটিং রুম, ওপেন স্পেস এবং বুথ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রবাসীরা যাতে সেবা নিতে কোনো কষ্টের শিকার না হন। বেশি ভিড় হলে একাধিক বুথের মাধ্যমে সেবা দিতে হবে। এ ছাড়া কুড়িগ্রামের উন্নয়নে বিশেষ নজর দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এক্ষেত্রে তিনি বলেছেন, বড় প্রকল্পের সাথে রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ ইত্যাদি যুক্ত করার ক্ষেত্রে কুড়িগ্রামকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কেননা ১৬টি নদনদী বেষ্টিত কুড়িগ্রাম জেলায় নদী ভাঙ্গনে মানুষ কষ্ট পাচ্ছেন। সচিব বলেন, সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সাথে উপকূলীয় এলাকায় নির্মিত ভবনগুলোতে বৃষ্টির পানি ও সোলার প্যানেল বসাতে হবে। তাঁত বোর্ডেও একটি প্রকল্প অনুমোদন দিতে গিয়ে তিনি বলেন, এর আওতায় অনুষ্ঠেয় প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে নারীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা