নোয়াখালীতে নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান
- মুহাম্মদ হানিফ ভূঁইয়া নোয়াখালী অফিস
- ১১ মার্চ ২০২৪, ০০:০৫
এবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরকাঁকড়া ইউনিয়নে আরো একটি গ্যাস কূপের সন্ধান মিলেছে। এ গ্যাস কূপটি উপজেলার শাহজাদপুর-সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রের ৩ নম্বর কূপ। শনিবার ৯ মার্চ বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে কূপটির সর্বনিম্ন স্তরে (লোয়ার জোন) আগুন জ্বালানো হয়। এতে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা যেতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নে খননকাজ শেষে গ্যাস প্রাপ্তির তথ্য নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) প্রকল্প পরিচালক প্রিন্স মোহাম্মদ আল হেলাল। বাপেক্সের সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রের তথ্য মতে, গত বছরের নভেম্বরে শুরু হওয়া কূপ খননের কাজ শেষ হয় গত শুক্রবার। প্রাথমিকভাবে কূপটির তিনটি জোনে গ্যাসের অস্তিত্ব মিলেছে। এখন কূপটিতে চলছে ডিএসটি টেস্ট। এটি শেষ হলে জানা যাবে এখানে কী পরিমাণ গ্যাস মজুদ আছে। কূপটির মোট তিন হাজার ৩৮৫ মিটার গভীরে খনন করা হয়। যার মধ্যে লোয়ার জোনের ৩ হাজার ৪১ মিটার থেকে ৩ হাজার ৪৬ মিটার এবং ৩ হাজার ৫৭ মিটার থেকে ৩ হাজার ৬৪ মিটার পর্যন্ত টেস্ট কার্যক্রম চলছে।
বাপেক্সের চরকাঁকড়া ৩ নম্বর কূপের ড্রিলিং ইনচার্জ মো: আসাদুজ্জামান বলেন, এই কূপ থেকে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে লোয়ার জোনে গ্যাসের চাপ দেখে মনে হচ্ছে, এই কূপ থেকে আরো বেশি পরিমাণ গ্যাস পাওয়া যেতে পারে।
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরের শুরুতে এ গ্যাসক্ষেত্রের ৩ নম্বর কূপের খননকাজ শুরু করে বাপেক্স। এর আগে ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি শাহাজাদপুর-সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রটির ১ নম্বর কূপ উৎপাদনের যাওয়ার পর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রের ২ নম্বর কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু করা হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা