২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২৯ বিলিয়ন ডলার

-

বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ আবারো কমে ২৯ বিলিয়নের ঘরে নেমেছে। গতকাল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২৯.৮ বিলিয়নে নেমে এসেছে। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে তা ছিল চার হাজার ৬০০ কোটি ডলার। অর্থাৎ আলোচ্য সময়ে রিজার্ভ কমেছে প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রতিদিনই সঙ্কটে পড়া ব্যাংকগুলোর কাছে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে। গতকালও প্রায় ছয় কোটি ডলার বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু রিজার্ভের সাথে যুক্ত হচ্ছে তুলনামূলকভাবে কম। এ কারণেই রিজার্ভ কমে যাওয়ার ধারাবািেহকতা ঠেকানো যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে হলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৪ বিলিয়ন ডলারের উপরে রাখতে হবে। কিন্তু আকুর দায় পরিশোধ করার পর তা ২২ বিলিয়নের ঘরে চলে যাবে। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে আইএমএফের প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠকে আইএমএফের প্রেসকিপশন অনুযায়ী রিজার্ভ গণনা পদ্ধতি জুন মাসের পর থেকে করা হবে বলে বলা হয়েছি। আর আইএমএফ থেকে বলা হয়েছে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী রিজার্ভ গণনা করতে হবে। যেটুকু ইতোমধ্যে ব্যবহার হয়েছে তা রিজার্ভের গণনায় আনা যাবে না। প্রসঙ্গত, রফতানি উন্নয়ন তহবিল, বিমানের ঋণ, পায়রা বন্দরসহ বেশ কিছু খাতে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়া হয়েছে। আইএমএফ বলছে এ অর্থ রিজার্ভ থেকে বাদ দিতে হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আমদানি ব্যয় কমানোর জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এতে অর্থবছরের প্রথম আট মাসে আমদানি প্রবৃদ্ধি কমে নেমেছে ঋণাত্মক প্রায় সাড়ে ১০ শতাংশ, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় ৫০ শতাংশ। এ হিসেবে এক বছরে আমদানি কমেছে ৬০ শতাংশ। কিন্তু এর পরেও রিজার্ভ কমে যাওয়ার ধারাবাহিকতা ঠেকানো যাচ্ছে না।
চলতি মাসের শুরুতে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) মার্চ-এপ্রিল সময়ের আমদানি বিল বাবদ ১১৮ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ৩০ বিলিয়নের নিচে নেমেছিল। এরপর বিশ্বব্যাংকের ঋণের টাকা আসায় তা খানিকটা বাড়ে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
বৈদেশিক মুদ্রার সর্বশেষ মজুদ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা জানান, বাজারে এখনো ডলারের ঘাটতি রয়ে গেছে। ডলারের চাহিদা যতটা, সরবরাহ তার তুলনায় কম। তাই প্রতিদিন ডলার বিক্রি করে জোগান দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আপাতত আর কোনো বিকল্প হাতে নেই।
২০২০ সালে কোভিড মহামারী শুরু হলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত বাড়তে থাকে। বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় ওই সময় সব প্রবাসী আয় বৈধ পথে তথা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে আসে। আবার আমদানিও কমে যায়। ফলে রিজার্ভ বেড়ে ২০২১ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো চার হাজার ৮০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়।


আরো সংবাদ



premium cement
নির্বাচনী সময়ের বিষয়ে সরকারের ‘স্পষ্ট বক্তব্য’ চায় বিএনপির যুগপৎ সঙ্গীরাও রাবিতে ৬ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার, ৩৩ জনকে শাস্তি সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক সদিচ্ছার বিকল্প নেই : উপদেষ্টা নাহিদ ইরানে বাস খাদে পড়ে নিহত ১০ ৭ বছর কারাভোগের পর দেশে ফিরলেন ২ ভারতীয় কনসার্টে মঞ্চ মাতালেন রাহাত ফতেহ আলী খান আইনজীবী আলিফ হত্যা : তদন্ত কমিটির সব সদস্যের পদত্যাগ ঝিনাইদহে মেছো বিড়াল হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার ১ ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন চায় বিএনপি ও সমমনারা সাকিব-তামিমকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাওয়া যাবে : ফারুক গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের খসড়া তালিকায় সিলেটের ৩১ জনের নাম

সকল