৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১, ১৮ রজব ১৪৪৫
`

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানজট ভোগান্তিতে যাত্রীরা

দীর্ঘ যানজটে স্থবির গাজীপুরগামী রাজধানীর বিমানবন্দর সড়ক : নয়া দিগন্ত -

গতকাল বুধবার ভোর থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গীর যানজট রাজধানীর বনানী পর্যন্ত চলে গেছে। কোনো যানবাহনই সামনে এগুচ্ছে না। সকাল থেকেই যানজট লেগে থাকার কারণে ঢাকা থেকে গাজীপুর এবং গাজীপুর থেকে ঢাকাগামী অফিস করা নিয়মিত যাত্রীদের পড়তে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানজট প্রকট হয়ে উঠছে। সকাল থেকেই ময়মনসিংহগামী সড়কের টঙ্গীর মিলগেট থেকে রাজধানীর বনানী এবং ঢাকাগামী সড়কের টঙ্গীর বোর্ডবাজার পর্যন্ত যানজট রয়েছে। এতে সকাল থেকেই চরম ভোগান্তি পড়ছে এ সড়ক দিয়ে নিয়মিত যাতায়াতকারী চালক ও যাত্রীদের।
সকাল সাড়ে ৮টায় টঙ্গী এলাকায় কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী মিজানুর রহমানের সাথে। গাজীপুরের সালনা এলাকার একটি পোশাক কারখানায় সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে চাকরি করেন। তিনি বলেন, সকাল ৭টা থেকে গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে জ্যামের কারণে। কোনো অবস্থায়ই সামনে এগুচ্ছে না। সকাল ৮টায় অফিসে উপস্থিত থাকার কথা। এখন বাজে সাড়ে ৮টা। আজ (গতকাল) অফিস করতে পারব কি না বুঝতে পারছি না। প্রায়ই এ মহাসড়কে জ্যামে আটকে থাকতে হয়। আজ (গতকাল) এমন অবস্থা হয়েছে, না পারছি সামনে যেতে, না পারছি গাড়ি ঘুরিয়ে বাসায় ফিরে যেতে। বোর্ড বাজার এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হুমায়ুন কবির বলেন, সড়কের পাশের ড্রেন আবর্জনায় ফেলে ভরাট হয়ে গেছে। ফলে পানি উপচে গিয়ে মহাসড়কের গর্তে গিয়ে জমা হচ্ছে। তা ছাড়া বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় আবদুল্লাহপুর থেকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়ক কিছুটা সরু হয়ে গেছে। খানাখন্দে ভরা সড়কে বৃষ্টির পানি জমে দুর্ভোগ এখন নিয়মিত পরিণত হয়েছে।
টঙ্গী কলেজগেট এলাকার ভাড়াটিয়া মোহাম্মদ আলী জানান, তিনি প্রতিদিন সকাল ৭টায় গাজীপুরের মাওনায় অফিসে যান। গতকাল বুধবার সড়কে বের হয়েই দেখেন গাড়ী দাঁড়িয়ে আছে। কোনো গাড়ী সামনে এগুচ্ছে না। তাই যানজটে আটকে থাকার ভয়ে অফিসে না গিয়ে বাসায় ফিরে গেছেন। সোমবার দিন ও রাতে টানা বৃষ্টিতে এ মহাসড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। গত মঙ্গলবার দিনভর চরম ভোগান্তিতে পড়েছিল চলাচলকারী যাত্রীরা। আজকের অবস্থা আরো বেশি খারাপ হবে মনে হচ্ছে।
বিআরটি প্রকল্পের পরিচালক মহিরুল ইসলাম জানান, সড়কের স্থায়ী নির্মাণকাজ চলছে। নভেম্বরের দিকে কাজ শেষ হলে আর ভোগান্তি থাকবে না। যেখানে বেশি ভাঙা, সেখানে মেরামত করছি। বৃষ্টির কারণে আবার নষ্ট হয়ে যাওয়ায় স্থায়ী কাজ করা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল