নারীর প্রতি সহিংসতার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৫ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০
আজ আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস। এই উপলক্ষে গতকাল ঢাকায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উদযাপন জাতীয় কমিটি। সংবাদ সম্মেলনে নারীর প্রতি সহিংসতায় এর বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি করার দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গ্রামীণ নারীরা অবহেলিত, তাদের অবদান স্বীকৃত নয়। তাই গ্রামীণ নারীরা বৈষম্য ও নির্যাতনের শিকার হয় বেশি। কোভিডকালীন নারীর প্রতি বিশেষ করে গ্রামীণ নারীদের প্রতি সব রকমের সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যেভাবে কোভিড মহামারীতে ছায়ামহামারী হিসেবে গ্রামীণ নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়ে যাচ্ছে তাতে আইনি পদক্ষেপের পাশাপাশি যদি সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করা না যায় সামনের দিনগুলো আরো অনিরাপদ হয়ে উঠবে।
নারীর প্রাপ্য অধিকার ও সম্মান নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এই কোভিড সময়ে কর্ম হারা নারীদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া যেকোনো সহিংস ঘটনা দ্রুত বিচার আইনে নিষ্পত্তি করতে হবে।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের ৫০ টির বেশি জেলায় উদযাপন করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস। প্রতি বছরের মতো এবারো সারা দেশে বিভিন্ন আয়োজন এবং গ্রামীণ নারীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য সম্মাননা প্রদানসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। বাংলাদেশে ২০০০ সাল থেকে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ও উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) সম্পূর্ণ নিজেদের অর্থায়নে গ্রামীণ নারী দিবস উদ্যাপন করে আসছে।
আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উদ্যাপন জাতীয় কমিটির সচিবালয় সমন্বয়কারী মোস্তফা কামাল আকন্দর সঞ্চালনায় এবং শামীমা আকতারের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আয়োকজকদের পক্ষ থেকে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন, কোস্ট ট্রাস্টের সালমা সাবিহা। এ ছাড়া অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় কমিটি সদস্য ফেরদৌস আরা রুমি, গ্রাম বিকাশ সহায়ক সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাসুদা ফারুক রতœা, বিএনএনআরসির পক্ষ থেকে প্রতিভা ব্যানার্জি , রংপুর থেকে মন্জুশ্রী সাহা, রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন রংপুর প্রতিবন্ধী সংস্থা, কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী, লক্ষ্মীপুর থেকে সাবরিনা আকতার, নির্বাহী পরিচালক ওয়াইজ, বিএনএনআরসির নির্বাহী প্রধান এএইচ এম বজলুর রহমান।
কোস্ট ট্রাস্টের সালমা সাবিহা মূল বক্তব্যে বলেন, কোভিডকালীন নারীর প্রতি বিশেষ করে গ্রামীণ নারীদের প্রতি সব রকমের সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। নারীর প্রতি যেকোনো ধরনের সহিংসতায় সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি তৈরি করতে হবে। তিনি আরো বলেন, ৯৬ শতাংশ নারী কোভিড-১৯-এর প্রত্যক্ষ প্রভাবে কর্মসংস্থান হারিয়েছেন। শুধু মার্চ মাসেই বগুড়া, জামালপুর ও কক্সবাজার জেলায় ৬৪টি ধর্ষণের ঘটনা ও তিন শতাধিক পারিবারিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এপ্রিল মাসে ৪২৪৯ জন নারী বিভিন্ন ধরনের সহিংসতার শিকার হয়েছেন যার বেশির ভাগই গ্রামীণ নারী।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা