হাইব্রিড গাড়ি বানাল রুয়েটের গবেষক দল
- রাবি সংবাদদাতা
- ১০ মে ২০১৯, ০০:০০
মাত্র দুই বছরের চেষ্টায় একই সাথে তিনটি সুবিধা সম্পন্ন দেশের প্রথম হাইব্রিড গাড়ি নির্মাণ করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) একটি গবেষক দল। দলটির প্রধান রুয়েট যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক।
গবেষক দল জানায়, উদ্ভাবিত হাইব্রিড গাড়ির সুবিধাগুলো হলো একই সাথে ইলেকট্রিক্যাল প্লাগ ইন, ইঞ্জিনসেবা ও সোলার চার্জিং সিস্টেম রয়েছে; যে কারণে জ্বালানি শেষ হলেও চলবে গাড়ি। সোলার সিস্টেম থাকায় জ্যামে আটকে থাকলেও ব্যাটারি চার্জ হবে। তাই জ্বালানির অপচয় হওয়ার সুযোগ নেই। আছে প্লাগ চার্জিং সিস্টেমও। চাইলে বিদ্যুতের সাহায্য নিয়ে চার্জ দেয়া হবে।
২০১৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের থেকে প্রকল্পটি পান রুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের এই অধ্যাপক। এরপর ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে প্রকল্পটির মূল কাজ শুরু হয়। অধ্যাপক ড. এমদাদুল হকের সঙ্গে এই উদ্ভাবন কাজে অংশগ্রহণ করেন বিভাগের শিক্ষক ফজলুর রশীদ। এ ছাড়াও বিভাগের ২০১৩-১৪ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহবুবুর রহমান, ওবায়দুল হাসান, তানভির রহমান, তরিকুল ইসলাম ও ২০১৪-১৫ বর্ষের শিক্ষার্থী ইসমাইল হক ফরিদ সর্বাত্মক শ্রম দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, পোর্টেবল ডিভাইসের মতো প্রযুক্তিটি এখন যেকোনো গাড়ির সাথে ব্যবহার করা যাবে। মূলত একটি পরিত্যক্ত গাড়ি ব্যবহার করে হাইব্রিড গাড়িটি তৈরি করা হয়েছে। রাজশাহীর একটি গ্যারেজ থেকে গাড়িটি সংগ্রহ করা হয়।
গতি সম্পর্কে জানতে চাইলে শিক্ষার্থীরা বলেন, ব্যাটারি ব্যবহার করেও ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতি পাওয়া সম্ভব হবে। তা ছাড়া একবার চার্জ হলে জ্বালানি ব্যবহার ছাড়াও একটানা ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলা সম্ভব।
শিক্ষার্থীরা জানান, একটি পরিত্যক্ত গাড়ি থেকে হাইব্রিড গাড়ি রূপান্তর করে ব্যবহার উপযোগী করতে খরচ পড়বে মাত্র ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা।
অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক বলেন, উন্নত বিশে^র দেশগুলো এখন জ্বালানি ব্যবহার কিভাবে কমানো যায় সে দিকে নজর দিচ্ছে। কারণ আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিশ্বের যত জ্বালানি আছে সেগুলো শেষ হয়ে যাবে। তাই আমরা চেষ্টা করেছি এমন কিছুর যা জ্বালানি ব্যবহার কমাবে। আমাদের প্রচেষ্টা সফল হয়েছে।