২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৬ শাবান ১৪৪৬
`

কাদা ছোড়াছুড়ি করলে সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে : সতর্ক করলেন সেনাপ্রধান

জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে রাওয়া ক্লাবের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান : সংগৃহীত -


সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, নিজেরা কাদা ছোড়াছুড়ি, মারামারি-কাটাকাটি করলে দেশ এবং জাতির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন হলে জাতীয় শহীদ সেনাদিবস উপলক্ষে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান সবাইকে সতর্ক করে এসব কথা বলেন।
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি, পরে বলবেন যে আমি সতর্ক করিনি, আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি, আপনারা যদি নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে একসাথে কাজ না করতে পারেন, নিজেরা যদি কাদা ছোড়াছুড়ি করেন, মারামারি কাটাকাটি করেন, এই দেশ ও জাতির স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। আমি আজকে বলে দিলাম, নইলে আপনারা বলবেন যে আমি আপনাদের সতর্ক করিনি। আমাদের ছেলেমেয়ে পরবর্তী প্রজন্ম এই মারামারি, কাটাকাটির মধ্যে থাকতে পারবে না।’

জেনারেল ওয়াকার বলেন, এ দেশ আমাদের সবার। আমরা সবাই সুখে শান্তিতে থাকতে চাই। আমরা চাই না হানাহানি, কাটাকাটি মারামারি। সে উদ্দেশ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমার অন্য কোনো আকাক্সক্ষা নাই, আমার একটাই আকাক্সক্ষা, দেশ ও জাতিটাকে একটা সুন্দর জায়গায় রেখে ছুটি নেয়া। আই হ্যাড এনাফ লাস্ট সেভেন এইট মান্থস, আই হ্যাড এনাফ। আমি চাই, দেশ ও জাতিকে একটা সুন্দর জায়গায় রেখে আমরা সেনানিবাসে ফেরত আসব।
অনেকে সামরিক বাহিনীর প্রতি বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর প্রতি আক্রমণ করবেন না। একটা কমন জিনিস আমি দেখতে পাচ্ছি যে সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধানের প্রতি বিদ্বেষ কারো কারো। কী কারণে আজ পর্যন্ত তা আমি খুঁজে পাইনি। আমরা হচ্ছি একমাত্র ফোর্স, যেটা আপনাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। দাঁড়িয়ে আছি প্লাটফর্মে। নেভি, এয়ারফোর্স অল। আমাদের সাহায্য করেন। আমাদের আক্রমণ করবেন না। আমাদের অনুপ্রাণিত করেন। আমাদের উপদেশ দেন। কোনো একটা সমস্যা হয়ে গেলে আমি নুরউদ্দিন স্যারের শরণাপন্ন হই এবং উনি আমাকে উপদেশ দেন। সিনিয়র জেনারেলরা আমাকে উপদেশ দেন। আমি সবার কাছে শরণাপন্ন হই। আমাদের প্রতি আক্রমণ কইরেন না। উপদেশ দেন। আমরা অবশ্যই ভালো উপদেশ গ্রহণ করব। আমরা একসাথে থাকতে চাই এবং দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

তিনি বলেন, ‘আরেকটা জরুরি বিষয় যেটা আমি ভাবলাম যে আপনাদের সাথে শেয়ার করি, দেশের এই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপের পেছনে কিছু কারণ আছে। প্রথম কারণটা হচ্ছে যে, আমরা নিজেরা হানাহানির মধ্যে ব্যস্ত, একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে বিষোদগারে ব্যস্ত। এটা একটা চমৎকার সুযোগ অপরাধীদের জন্য। যেহেতু আমরা একটা অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে বিরাজ করছি, তারা (অপরাধীরা) খুব ভালোভাবেই জানে যে এই সময়ে যদি এই সমস্ত অপরাধ করা যায়, তাহলে এখান থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। সেই কারণে এই অপরাধগুলো হচ্ছে, আমরা যদি সংগঠিত থাকি, একত্র থাকি, তাহলে অবশ্যই এটা সম্মিলিতভাবে মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।’
পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ডিজিএফআই, এনএসআই এসব বাহিনী অতীতে দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘(তারা) খারাপ কাজের সাথে অসংখ্য ভালো কাজ করেছে। আজকে যে দেশের স্থিতিশীলতা, দেশটাকে যে এত বছর স্থিতিশীল রাখা হয়েছে, এটার কারণ হচ্ছে, এই সশস্ত্রবাহিনীর বহু সেনাসদস্য, সিভিলিয়ান সবাই মিলে এই অর্গানাইজেশনগুলোকে অসামরিক সামরিক সবাই মিলে, এই অর্গানাইজেশনগুলোকে ইফেক্টিভ রেখেছে, সেই জন্য আজকে সুন্দর, এতদিন ধরে আমরা একটা সুন্দর পরিবেশ পেয়েছি।’ তিনি বলেন, এর মধ্যে যারা কাজ করেছে, যদি অপরাধ করে থাকে, সেটার শাস্তি হবে। অবশ্যই শাস্তি হতে হবে। না হলে এই জিনিস আবার ঘটবে। আমরা সেটাকে বন্ধ করতে চাই চিরতরে। কিন্তু তার আগে মনে রাখতে হবে, আমরা এমন ভাবে কাজটা করব, এই সমস্ত অর্গানাইজেশনগুলো যেন আন্ডারমাইন্ড না হয়।

পুলিশ বাহিনীকে এতদিনে কার্যকর করতে না পারার পেছনের কারণ উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আজকে পুলিশ সদস্য কাজ করছে না। একটা বিশাল বড় কারণ হচ্ছে, অনেকের বিরুদ্ধে মামলা, অনেকে জেলে। র‌্যাব, বিজিবি, ডিজিএফআই, এনএসআই প্যানিকড। বিভিন্ন দোষারোপ গুম খুন ইত্যাদি। তদন্ত চলছে, অবশ্যই তদন্ত হবে, দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে, এমন ভাবে কাজটা করতে হবে যেন এই অর্গানাইজেশনগুলো আন্ডারমাইন্ড না হয়। এই অর্গানাইজেশনগুলোকে যদি আন্ডারমাইন্ড করে আপনারা মনে করেন যে, দেশের শান্তিশৃঙ্খলা বিরাজ করবে, সবাই শান্তিতে থাকবেন, এটা হবে না। সেটা সম্ভব না। আমি আপনাদের পরিষ্কার করে বলে দিচ্ছি।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব শুধু সেনাবাহিনীর নয় সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘এই দেশের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব খালি সেনাবাহিনীর না। দুই লাখ পুলিশ আছে, বিজিবি আছে, র‌্যাব আছে, আনসার-ভিডিপি আছে। আমার আছে ৩০ হাজার সৈন্য। এদের আমি এই যে একটা বিরাট ভয়েড, আমি এই ৩০ হাজার সৈন্য দিয়ে, আমি কিভাবে এটা পূরণ করব? ৩০ হাজার থাকে, আবার ৩০ হাজার চলে যায়, ক্যান্টনমেন্টে আরো ৩০ হাজার আসে, এটা দিয়ে আমরা দিন-রাত চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখানে যে সমস্ত উচ্ছৃঙ্খল কাজ হয়েছে সেটা আমাদের নিজস্ব তৈরি। এটা আমাদের নিজস্ব ম্যানুফ্যাকচারড। আমরা এইগুলো তৈরি করেছি। এই বিপরীতমুখী কাজ করলে দেশে কখনো শান্তিশৃঙ্খলা আসবে না। এই জিনিসটা আপনাদের মনে রাখতে হবে।’

সেনাপ্রধান বলেন, আজকে একটা বেধনা বিধূর বর্ষ। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি। আমরা ৫৭ জন চৌকস সেনা অফিসার, শুধু তা-ই নয়, তাদের কিছু পরিবার সদস্যদের আমরা হারিয়েছি। এখানে আসার সময় এই ছবিগুলো আমি দেখছিলাম। আপনারা এগুলো এই ছবিতে দেখেছেন। কিন্তু এগুলো আমার সব চাক্ষুষ দেখা। আমি একটা চাক্ষুষ সাক্ষী এই সমস্ত বর্বরতার। একটা জিনিস আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে। এই বর্বরতা কোনো সেনাসদস্য করেনি। সম্পূর্ণটাই তদানীন্তন বিজিবি সদস্য দ্বারা সংগঠিত। ফুলস্টপ। এখানে কোনো ইফ এবং বাট নেই। এখানে যদি ইফ এবং বাট আনেন, এই যে বিচারিক কার্যক্রম এতদিন ধরে হয়েছে, ষোল বছর ধরে সতেরো বছর ধরে যারা জেলে আছে, যারা কনভিক্টেড সেই বিচারিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। এই জিনিসটা খুব পরিষ্কার করে আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন। এই বিচারিক প্রক্রিয়াকে নষ্ট করবেন না। যে সমস্ত সদস্য শাস্তি পেয়েছে তারা শাস্তি পাওয়ার যোগ্য। এখানে কোনো রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এর মধ্যে উপস্থিত ছিল কি না, ইনভল্ভড ছিল কি না, বাইরের কোনো শক্তি এর মধ্যে ইনভলভড ছিল কি না, সেটার জন্য কমিশন করা হয়েছে, কমিশনের চেয়ারম্যান এখানে আছেন, উনি এটা বের করবেন। এবং আপনাদের জানাবেন। বটমলাইন হচ্ছে যে এই সমস্ত আমাদের এই চৌকস সেনাসদস্য যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তারা প্রাণ হারিয়েছেন তদানীন্তন বিডিআর সদস্যদের বুলেটে। আমরা এই সমস্ত জিনিস নিয়া ভিন্নমত পোষণ করছি কেউ কেউ। এই জিনিসটাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছি। সেটা আমাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে না। আজকে আমি আমার কিছু উপদেশ দিয়ে যাব সেটা যদি গ্রহণ করেন আপনারা লাভবান হবেন। আমি এটা আপনাদের নিশ্চিত করছি। আমরা নিজেরা ভেদাভেদ সৃষ্টি না করি। আমরা নিজেরা ইউনাইটেড থাকি। আমাদের মধ্যে যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে, কোনো ব্যত্যয় থেকে থাকে, সেটা আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করব। এটার জন্য আমরা ডানে-বাঁয়ে দৌড়িয়ে কোনো লাভ হবে না। নিজের ক্ষতি ছাড়া কোনো লাভ হবে না। আমি আপনাদের এই জিনিসটা নিশ্চিত করে দিচ্ছি। কিছু কিছু সদস্যদের দাবি যে তারা ২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন শাস্তি পেয়েছেন। কেউ কেউ দায়ী করছেন যে তারা অযাচিতভাবে শাস্তি পেয়েছেন। এটার জন্য আমি একটা বোর্ড করে দিয়েছি। একজন লেফটেন্যান্ট জেনারেল সেই বোর্ডের সদস্য।

প্রথম ফেজে ৫১ জন সদস্যের ব্যাপারে আমার কাছে রিকমান্ডেশন নিয়ে এসেছে। তার রিকমান্ডেশনের বেশির ভাগই আমি গ্রহণ করেছি এবং আরো বেশি আমি দিয়েছি। নেভি এয়ারফোর্সও তাদের এ কার্যক্রমও চালিয়ে যাচ্ছে। আমার পয়েন্ট হচ্ছে যদি কেউ অপরাধ করে থাকে তাহলে কোনো ছাড় হবে না। বিন্দুমাত্র ছাড় নাই। আমি আপনাদের পরিষ্কার করে দিচ্ছি ইট ইজ এ ডিসিপ্লিন ফোর্স, ডিসিপ্লিন ফোর্সকে ডিসিপ্লিন থাকতে দেন। আজকে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সমস্ত বাহিনী সমস্ত অর্গানাইজেশন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। খালি সেনাবাহিনী টিকে আছে। বিমান বাহিনী টিকে আছে, নৌবাহিনী টিকে আছে। কেন? বিকজ অব ডিসিপ্লিন। তারপরেও আমি আমার অফিসারকে আদেশ দিয়েছি যদি সামান্যতম কোনো সন্দেহের অবকাশ থাকে, কোনো কারো বিরুদ্ধে যেই অ্যাকশন নেয়া হয়েছে, অপরাধী কি না যদি সামান্যতম কোনো সন্দেহের অবকাশ থাকে সেটা তাদের ফেভারে যাবে। এটা হচ্ছে আমার ঢালাও নির্দেশ। সেই হিসেবে বিভিন্ন প্রস্তাব আমার কাছে এসেছে। কোনো কোনো প্রস্তাবে আমি আমার থেকে যোগ করে আরো বেশি আমি দিয়েছি। এভাবে পর্যায়ক্রমে অফিসাররা অ্যাপিয়ার করবে, আসবে। এবং তাদের এই জিনিসগুলো আমরা দেখব। দেখে যদি মনে হয় তাদেরকে ইন করার অবকাশ আছে কিছু, অবশ্যই আমরা করব। এটা ন্যায়নীতিতে আমরা প্রতিষ্ঠিত থাকব ইনশাআল্লাহ।

সেনাপ্রধান বলেন, আপনারা কিছু মনে করবেন না। আজকে আমি পরিষ্কার করে কথা বলতে চাই। আপনাদের সবার হয়তো ভালো নাও লাগতে পারে। কিন্তু বিশ্বাস করেন আমার এটা যদি আপনারা গ্রহণ করেন, আপনারা লাভবান হবেন। কোনো ক্ষতি হবে না ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, ‘তদন্ত কমিশন হচ্ছে আবার আরেকটা আমাদের সর্বদা আমরা চেষ্টা করব তদন্ত কমিশনকে সহায়তা করতে যে ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা প্রয়োজন হয় আমরা করব।’
নির্বাচনের বিষয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমরা দেশে একটা ফ্রি ফেয়ার অ্যান্ড ইনক্লুসিভ ইলেকশনের দিকে ধাবিত হচ্ছি এবং তার আগে যে সমস্ত সংস্কার করা প্রয়োজন অবশ্যই সরকার সেদিকে হেল্প করবেন। আমি যতবারই ড. ইউনূসের সাথে কথা বলেছি, কমপ্লিটলি অ্যাগ্রিড উইথ মি। দেয়ার শুড বি ফ্রি ফেয়ার অ্যান্ড ইনক্লুসিভ ইলেকশন অ্যান্ড দ্যাট ইলেকশন শুড বি উইথইন ডিসেম্বর, অর ক্লোজ টু দ্যাট। যেটা আমি প্রথমেই বলেছিলাম যে, ১৮ মাসের মধ্যে একটা ইলেকশন। আমার মনে হয় যে, সরকার সেদিকেই ধাবিত হচ্ছে। ড. ইউনূস যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন, এ দেশটাকে ইউনাইটেড রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন উনি। ওনাকে আমাদের সাহায্য করতে হবে। উনি যেন সফল হতে পারেন। সেদিকে আমরা সবাই চেষ্টা করব। আমরা একসাথে ইনশাআল্লাহ কাজ করে যাব।’

সেনাপ্রধান বলেন, রাওয়া চেয়ারম্যান মহোদয় আমাকে এখানে দাওয়াত দিয়েছেন। উনি চেয়ারম্যান হওয়ার পর আমি দ্বিতীয়বার এখানে এসেছি। ওনার কাছে আমি কৃতজ্ঞ যে রাওয়া আমাদের আলাদাভাবে দেখছে না। সার্ভিং ও রিটায়ার্ড আমিতো বলেছি প্রথমে দেয়ার শুড নট এনি ডিফারেন্স। আমি সেনাপ্রধান হিসেবে সার্ভিংদের প্রতি আমার যে দায়িত্ব, রিটায়ার্ডদের প্রতি একই দায়িত্ব। সামান্যতম কম বেশি না। সেই চেষ্টা আমি করে যাচ্ছি আমাদের লিমিটেড রিসোর্সের মধ্যে। আমরা হেলথ কেয়ারের ওপর বেশ কিছু কাজ করছি। নিজস্ব কিছু হসপিটাল করার চেষ্টা করছি। ক্লিনিক করার চেষ্টা করছি। এবং আপনার এগুলোর ফল আস্তে আস্তে পাবেন ইনশাআল্লাহ।
সেনাপ্রধান বলেন, ‘আসেন, আমরা নিজের মধ্যে মারামারি কাটাকাটি না করে, উই ইউনাইট আওয়ার সেলফ, দেশ জাতি যেন একসাথে থাকতে পারি সে দিকে আমাদের কাজ করতে হবে। আমাদের মধ্যে মতের বিরোধ থাকতে পারে। চিন্তা-চেতনার বিরোধ থাকতে পারে। কিন্তু দিন শেষে যেন আমরা সবাই দেশ ও জাতির দিকে খেয়াল করে, আমরা যেন এক থাকতে পারি। তাহলে এই দেশটা উন্নত হবে। এই দেশটা সঠিক পথে পরিচালিত হবে। না হলে আমরা আরো সমস্যার মধ্যে পড়তে যাব।’


আরো সংবাদ



premium cement
লোহাগাড়ায় বৈদ্যুতিক তারের স্পার্ক থেকে লাগা আগুনে খড়বোঝাই পিকআপ পুড়ে ছাই ফতুল্লায় নিখোঁজ শিশুর লাশ ইটভাটার ঝোঁপ থেকে উদ্ধার যাত্রাবাড়ীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, ছিনতাইকারীর গুলিতে আহত ১ ছিনতাইকারী সন্দেহে টঙ্গীতে যুবককে হত্যা, উত্তরায় ২ জনকে ঝুলিয়ে গণপিটুনি একটি পরিবারকে আমানতের ৮৭ শতাংশ দেয়া হয়েছে : গভর্নর টাঙ্গাইলে বনভোজনের বাসে ডাকাতি, অস্ত্রের মুখে মালামাল লুট চীনের হাংজো দিয়াংজি ইউনিভার্সিটির সাথে ডুয়েটের সভা অনুষ্ঠিত আমিরাতে নারী জাতীয় দলের প্রথম ম্যাচ কাল নতুন ছাত্র সংগঠনের আত্মপ্রকাশ বুধবার কেরানীগঞ্জে পরকীয়ার জেরে গৃহবধূকে হত্যা, প্রেমিক আটক তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ কাবাডি দলের জয়

সকল