পিলখানায় সেনাহত্যার পুনঃ ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি জামায়াতের
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
২০০৯ সালে পিলখানায় সেনাহত্যার ‘প্রকৃত রহস্য’ উদঘাটনের লক্ষ্যে পুনঃ ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, সমঝোতার নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণের পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় পরিকল্পিতভাবে ৫৭ জন চৌকস সেনাকর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে মর্মান্তিকভাবে হত্যা করে। আমরা নিহতদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ ও রূহের মাগফিরাত কামনা করছি। সেইসাথে তাদের পরিবার-স্বজনের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে হত্যা করে মূলত দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলার ষড়যন্ত্র করে। স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকার এই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক ঘটনায় বহু নিরীহ ব্যক্তিকে গ্রেফতার ও বিচারের নামে প্রহসনের আয়োজন করে। তাদের বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দিয়ে কারাগারে আটক রাখে। অনেকে নির্দোষ প্রমাণিত হলেও ফ্যাসিস্ট সরকার ষড়যন্ত্র করে তাদের মুক্তি দেয়নি।
গত আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচারের পতন ঘটে। দেশ আজ স্বৈরাচারের কবল থেকে মুক্তিলাভ করেছে। জনগণ ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি সেনাহত্যার নির্মম ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে চায়। আমরা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে পুনঃ এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে এ নির্মম ‘প্রকৃত রহস্য’ উদঘাটন করে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানাচ্ছি। যেসব নিরীহ-নিরপরাধ ব্যক্তি কারাগারে আটক আছেন তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি এবং যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের পুনর্বাসনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। এ উপলক্ষে সারা দেশে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল আয়োজনের আহ্বান জানাচ্ছি।
আসামে জুমার নামাজের বিরতি তুলে দেয়ার প্রতিবাদ : ভারতের আসাম প্রদেশে মুসলমানদের জুমার নামাজ আদায়ের জন্য প্রচলিত দু’ঘন্টার বিরতি তুলে দেয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, আসাম বিধানসভা এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সিদ্ধান্তই কার্যকর করল। অথচ আসাম বিধানসভায় বিগত ৯০ বছর ধরে মুসলমানদের জুমার নামাজ আদায়ের জন্য দুই ঘণ্টা বিরতি দেয়ার বিধান চালু রয়েছে। আসাম সরকার সেই বিধান লঙ্ঘন করে মুসলমানদের প্রতি অন্যায় করেছে। আসামের বিধানসভার এ সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অন্যায়, অনভিপ্রেত ও অনাকাক্সিক্ষত। তিনি বলেন, এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকারে বাধা দিয়ে আসামের বিধানসভা জাতিসঙ্ঘ সনদ লঙ্ঘন করেছে। বিশ্বের কোনো গণতান্ত্রিক দেশের সরকার মানুষের ধর্মীয় অধিকারে বাধা দিতে পারে না। এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে আসাম বিধানসভার ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব নগ্নভাবে প্রকাশিত হলো। আসাম বিধানসভা ইসলামবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়ে সারা বিশ্বের মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে। আসাম বিধানসভার এ অন্যায়, অগণতান্ত্রিক ও ইসলামবিদ্বেষী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করার জন্য আমি আসাম সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেইসাথে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে আসাম সরকারকে বাধ্য করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা