রেকর্ড ভাঙাগড়ার ম্যাচে ইতিহাস অসিদের
- আহসান উল্লাহ
- ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:১৫

প্রথমে অস্ট্রেলিয়ার প্রায় দ্বিতীয় সারির বোলারদের ছাতুপেটা করল ইংল্যান্ড। বেন ডাকেটের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে রেকর্ড গড়া ১৬৫ রানের ইনিংসে ইংলিশরা পেল টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩৫১ রান। তবে এই রেকর্ড অক্ষুণœ থাকল মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য। ইংলিশদের রেকর্ড ছিন্নভিন্ন করে পাহাড়সম রান তাড়া করে ইতিহাস গড়া এক জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ডাকেটের করা ১৬৫ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস ম্লান হয়ে যায় জস ইংলিশের ৮৬ বলে ১২০ রানের খুনে মেজাজের অপরাজিত ইনিংসে। ম্যাচ জেতানো অনবদ্য এই ইনিংস খেলে ম্যাচসেরাও হন তিনি। দুই দলেরই এটি ছিল টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের করা ৩৪৭ রান ছিল এতদিন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে সর্বোচ্চ। গতকাল এক দিনেই এই রেকর্ড চাপা পড়ল দু’বার। ২১ বছর আগে ২০০৪ সালের ওই ম্যাচেই কিউই ব্যাটার নাথাল অ্যাস্টলে ১৫১ বলে ১৪৫ রানের ইনিংস। এ ছাড়া ২০০২ সালে ভারতের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারও করেছিলেন ১৬৪ বলে ১৪৫ রান। যা ছিল এতদিন যৌথভাবে সর্বোচ্চ। সেই রেকর্ডের একক মালিকানা নিজের করে নিয়েও দলের হারে হাসি মুখে মাঠ ছাড়া হলো না ডাকেটের।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় ২৭ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। এরপর মার্নাস লাবুশান ও ম্যাথিউ শর্ট গড়েন ৯৫ রানের জুটি। দলীয় ১২২ রানে মার্নাস লাবুশান ফেরার পর ১৪ রান যোগ করতেই সাজঘরে ফিরেন শর্টও। এরপর পঞ্চম উইকেটে অ্যালেক্স ক্যারি ও জশ ইংলিশের ১৪৬ রানের বড় জুটিতে ম্যাচ হেলে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার দিকে। মাত্র ৭৭ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম শতকের স্বাদ পান ইংলিশ। ক্যারি ফিরেন ৬৩ বলে ৬৯ রান করে। দলীয় ২৮২ রানে এই জুটি ভাঙার পর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে বাকি কাজ সারেন ২৯ বছর বয়সী এই ব্যাটার। ১৫ বলে ৩২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলা ম্যাক্সওয়েল ছিলেন অপরাজিত।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ডেরও শুরুটা ভালো ছিল না। ২৭ রানে ২ উইকেট খোয়ায় তারা। এরপর তৃতীয় উইকেটে জো রুটকে নিয়ে ইনিংস মেরামতে মনোযোগ দেন ডাকেট। । গত কয়েক মাস দারুণ ছন্দে থাকা ডাকেট ৪৯ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন। কয়েক ওভার পর রুটও পান ফিফটি। ৭৮ বলে ৬৮ রান করে রুট ফিরলে শেষ হয় ১৫৫ বলে ১৫৮ রানের অসাধারণ জুটি। রুট ফিরলেও অবিচল থাকা ইংলিশ ওপেনার পরের ওভারেই পান ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। নান্দনিক ব্যাটিংয়ে ৪৫তম ওভারে ১৫০ রান স্পর্শ করেন ডাকেট। শেষ দিকে ঝড় তোলার কাজ করেন জেফরা আর্চার। তার ব্যাট থেকে আসে ১০ বলে ২১ রানের ছোট্ট ক্যামিও। অসিদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন বিন দোয়ারশুইস।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা