ছাত্র রাজনীতি ও কুয়েট প্রশাসনকে শিক্ষার্থীদের লাল কার্ড
- খুলনা ব্যুরো
- ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৩৬
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি, ডান-বাম নির্বিশেষে সব ছাত্র সংগঠন এবং বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনকে লাল কার্ড প্রদর্শন করেছে। সেই সাথে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দ্রুত নতুন ভিসি ও প্রোভিসি নিয়োগের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। সংঘর্ষের পর গতকালও ক্ষোভে উত্তাল ছিল ক্যাম্পাস।
সকালে কুয়েটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সকাল সাড়ে ৯টায় অফিসের তালা খুলে দিনের কাজ শুরু করেন। তবে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। বেলা ১১টার দিকে বিভিন্ন হল ও নগরীর নানা স্থান থেকে এসে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের দুর্বার বাংলা প্রাঙ্গণে জড়ো হন। সেখানে তারা লাল কার্ড প্রদর্শন কর্মসূচি পালন শুরু করেন। এ সময় তারা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সাইনবোর্ড, দেয়ালসহ অন্যান্য স্থানে লাল রঙ দিয়ে রক্তাক্ত কুয়েট এবং আরো অনেক বক্তব্যসংবলিত গ্রাফিতি আঁকেন। কর্মসূচি চলাকালে তারা ছাত্রলীগ ছাত্রলীগ লাল কার্ড লাল কার্ড, ছাত্রদল ছাত্রদল লাল কার্ড লাল কার্ড, ছাত্রশিবির ছাত্রশিবির লাল কার্ড লাল কার্ড, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন লাল কার্ড লাল কার্ড, ছাত্রমৈত্রী ছাত্রমৈত্রী লাল কার্ড লাল কার্ড, ছাত্র ইউনিয়ন ছাত্র ইউনিয়ন লাল কার্ড লাল কার্ড, শিক্ষা-সন্ত্রাস একসাথে চলে না, শিক্ষার্থীর রক্ত ঝরে প্রশাসন তামাশা করে, কুয়েটে যখন রক্ত ঝরে আবরার তোমায় মনে পড়ে, আমার ভাইকে মারল কেন প্রশাসন জবাব চাই, ইত্যাদি স্লোগান দেন। এছাড়াও কুয়েটের দুর্বার বাংলায় স্থাপিত ভাস্কর্যের চোখ কালো কাপড় দিয়ে মুড়ে দেন।
শিক্ষার্থীরা বর্তমান প্রশাসনের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে অবিলম্বে নতুন ভিসি, প্রোভিসি নিয়োগের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাবি জানান। একই সাথে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার তিন দিন পরও সরকারের কোনো উপদেষ্টার খোঁজখবর না নেয়া, বা কোনো বিবৃতি না দেয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে শিক্ষার্থীদের রক্তের ওপরে দাঁড়িয়ে আপনারা ক্ষমতায় তাদের রক্তের সাথে প্রতারণা চলবে না। পরে ক্যাম্পাসে মঙ্গলবারের হামলায় আহতদের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ প্রদর্শনীর কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
অপরদিকে কুয়েটের শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। বুধবার রাতে খানজাহান আলী থানায় কুয়েটের নিরাপত্তা পরিদর্শক মো: মনিরুজ্জামান লিটন বাদি হয়ে মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ৪০০-৫০০ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ আহসান হাবীব জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মামলাটি থানায় নথিভুক্ত হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা