২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ২১ শাবান ১৪৪৬
`

কুয়েটে রাজনীতি বন্ধই থাকবে দোষীদের খুঁজতে কমিটি

কুয়েটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের কর্মসূচি ঘোষণা (বাঁয়ে) ও ভিসির পদত্যাগ দাবিতে ছাত্রদের বিক্ষোভ : নয়া দিগন্ত -

- শিক্ষাকার্যক্রম ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত
- ভিসির পদত্যাগ ছাড়া শিক্ষার্থীদের ৫ দাবি মেনে নেয়া হয়েছে
- থমথমে পরিস্থিতি ক্যাম্পাসে, হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধই থাকবে। রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকার সম্পৃক্ততা পেলে শিক্ষার্থীদের আজীবন বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিল করা হবে। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও কোনো ধরনের রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রমের সাথে যুক্ত থাকতে পারবেন না। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৯৮তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সিন্ডিকেটের সভায় ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের মধ্যে মঙ্গলবার কয়েক দফা সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা তদন্তে কমিটি করা হয়েছে। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এম এম এ হাসেমকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক শেখ শরীফুল আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, মঙ্গলবারের ঘটনায় জড়িত বহিরাগতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। আর জড়িত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করবে। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহন করবে। ক্যাম্পাস এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিক্ষার্থীরা যে ৬ দফা দাবি জানাচ্ছিল সিন্ডিকেট সভায় ভিসির পদত্যাগ ব্যতীত তাদের ৫টি দাবিই মেনে নেয়া হয়।

শিক্ষার্থীরা উপাচার্য, উপউপাচার্য ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালককে বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের নিচে শিক্ষার্থীরা তাদের বর্জনের ডাক দেন। শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের ঘোষিত দাবিগুলো পূরণ না হওয়ায় এ বর্জনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এই তিন পদে নতুন নিয়োগের জন্য শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আজ প্রধান উপদেষ্টার কাছে লিখিত আবেদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এর আগে দুপুর দেড়টায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন একাডেমিক ভবন ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন। বিকেল পর্যন্ত ভিসি মেডিক্যাল সেন্টারে অবরুদ্ধ ছিলেন। উপাচার্য ওই চিকিৎসাকেন্দ্রের দোতলায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। আগের রাতে কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি সেখানে চিকিৎসা নিতে যান।
আগের দিনের সংঘর্ষের ঘটনার জেরে গতকাল কুয়েট ক্যাম্পাসে চাপা উত্তেজনা ও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে কুয়েটের মেইন গেটের সামনে সকাল থেকেই বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও অনেক শিক্ষার্থীকে হল ছেড়ে চলে যেতে দেখা যায়। ক্যাম্পাসের বাইরে বিভিন্ন বাসা বাড়িতে যারা ভাড়া রয়েছেন তাদের অভিভাবকরাও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কথা জানিয়েছেন।
কুয়েটের জনসংযোগ শাখা জানায়, ২৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮তম নিয়মিত সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ক্যাম্পাসের উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে তা স্থগিত করে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় জরুরি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ মেডিক্যাল সেন্টারে অবরুদ্ধ থাকায় তিনি ভার্চুয়ালি সিন্ডিকেট সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সভায় সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে গঠিত চার সদস্যের কমিটিতে সভাপতি করা হয় প্রফেসর ড. এম এ হাশেমকে সদস্যসচিব শাহ মো: আজমত উল্লাহ এবং সদস্য প্রফেসর মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, সদস্য প্রফেসর ড. আবু জাকির মোর্শেদ। তাদেরকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বহিরাগতদের বিরুদ্ধে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন মামলা দায়ের করবে। হামলায় জড়িত শিক্ষার্থীদের বিশ^বিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা এবং বহিরাগতদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত ১১ আগস্ট ৯৩তম সিন্ডিকেটের সভায় রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের আদেশটি বহাল থাকবে। অর্থাৎ বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারবে না। একইভাবে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারবে না। জড়িত থাকলে চাকরিচ্যুতসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের তত্ত্বাবধায়নে ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যয়ভার বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহন করবে।
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: কবির হোসেন জানান, কুয়েটে ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত আব্দুল কমির মোল্লা (৫৫), মো: আনোয়ার হোসেন (২০), মো: ইব্রাহিম (১৯) মো: শফিকুল (২৩) ও ইয়াসিন আরাফাতকে (১২) যৌথ বাহিনী আটক করে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। তবে এখনো কোনো মামলা হয়নি।

গভীর রাত পর্যন্ত উত্তেজনা : অপর দিকে কুয়েটে ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে নগরীর প্রাণকেন্দ্র শিববাড়ি মোড়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং ছাত্রদল। উভয় পক্ষের শত শত নেতাকর্মী মুহুর্মুহু সেøাগান দিলে পরিস্থিতি চরম উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রাত সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয়ে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত পাল্টাপাল্টি মশাল মিছিল ও সেøাগান চলছিল। বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল সেখানে। কুয়েটের ঘটনার প্রতিবাদে রাত সাড়ে ৮টায় শিববাড়ি মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করে সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকে পোস্ট দেয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। এ ঘোষণার পর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছাত্র ছাত্রীরা এসে জিয়া হল চত্বরে জমায়েত হয়। আবার ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর ইসলামী ছাত্র শিবিরের হামলার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিববাড়ি মোড়ে জমায়েত ও বিক্ষোভ কর্মসূচি দেয় ছাত্রদল। কিছু সময় পর নগরীর সকল থানা ও ওয়ার্ড থেকে ছাত্রদলের পাশাপাশি বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসবেক দল, শ্রমিক দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শিববাড়ি মোড়ে জড়ো হতে থাকে। জিয়া হল চত্বরে অবরুদ্ধ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কর্মীরা এবং সামনের রাস্তায় ছাত্রদলের নেতৃত্বে পাল্টাপাল্টি সেøাগানে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। এ সময় ব্যস্ততম এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ছাত্রদল মশাল মিছিল করলে কিছু সময় পরে শিক্ষার্থীরাও মশাল মিছিল করে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে হোটেল টাইগার গার্ডেনের সামনে বিকট শব্দে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হলে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। গভীর রাত পর্যন্ত চতুর্দিকে টান টান উত্তেজনা লক্ষ করা যায়। তবে উভয় পক্ষের কয়েকজন নেতার দায়িত্বশীল ভূমিকার কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি।

যুবদল নেতা মাহবুবকে বহিষ্কার : কুয়েট শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্র হাতে অবস্থান নেয়া দৌলতপুর থানা যুবদলের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় যুবদলের দফতর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দের কোনো অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন। তবে খুলনা মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রুবেল বলেন, মাহবুব যুবদলের সাবেক সহসভাপতি। এই মুহূর্তে দলের কোন পদে সে নেই।

ছাত্রদলের প্রেসব্রিফিং : গতকাল দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবের লিয়াকত আলী মিলনায়তনে কুয়েটের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে কুয়েট শাখা ছাত্রদল। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি আবু আফসান মো: ইয়াহিয়া বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পক্ষ থেকে সরেজমিন ঘটনার তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে এসেছি। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অনলাইনে ও অফলাইনে নিরন্তর অপপ্রচারের মাধ্যমে সত্য ঘটনা চাপা দিয়ে ছাত্রদলের নামে যে অপবাদ চারিদিকে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে, তার জবাবে বাস্তব প্রেক্ষাপটে আমাদের সংগঠনের নৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করাটা অতি জরুরি। যদিও আমরা এখানে তদন্তের দায়ভার নিয়ে এসেছি এবং একটি প্রতিবেদন আমরা ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের কাছে জমা দেবো, কিন্তু তার পরেও প্রশাসন কর্তৃক আরো পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের পর বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত এসব ঘটনার পুরো সত্য-মিথ্যা নির্ধারণ সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, ফরম পূরণ কার্যক্রম শুরু না হলেও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের আদর্শে উজ্জীবিত শিক্ষার্থীসহ আরো কিছু শিক্ষার্থীকে হেনস্তা করার উদ্দেশ্যে চিহ্নিত ও তালিকাভুক্ত করেছে সাধারণ শিক্ষার্থী ব্যানারের পেছনে লুকানো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতির ধারক বাহক ইসলামী ছাত্রশিবিরের গুপ্ত কর্মীরা ও ক্যাম্পাসে রয়ে যাওয়া ফ্যাসিবাদী নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীরা। ছাত্রদল কুয়েট ক্যাম্পাসে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন না করলেও এসব গুপ্ত ষড়যন্ত্রকারীদের ইন্ধনে সাধারণ শিক্ষার্থী পরিচয়ে উক্ত মব মিছিলটির পূর্বে ছাত্রদলের রাজনীতি নিষিদ্ধ চেয়ে ক্যাম্পাসে বিশাল ব্যানার টানানো হয় এবং মিছিল থেকে বিনা উসকানিতে ছাত্রদলের উপরিউক্ত সমর্থকদের ওপরে হামলা চালানো হয়। এসব ঘটনা চলাকালে এবং পরবর্তীতে কোনোরূপ তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই স্থানীয় জনতার সাথে কুয়েট শিক্ষার্থীদের এই ন্যক্কারজনক সহিংসতাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্রদলের হামলা বলে পুরো ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা চালানো হয়।

এ সময় ছাত্রদলের সহসভাপতি হাবিবুল বাশার, সাফি ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাহেদ হাসান, হাসানুর রহমান, শাহাদাত হোসেন, সোহেল রানা, নুরুজ্জামান চন্দন, কুয়েট শিক্ষার্থী রাহুল জাবেদ, ইফান ফয়সাল, শেখ জিলানী ও মাসুম উপস্থিত ছিলেন।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিবৃতি : কুয়েটে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদল ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনার সাথে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে বিএনপির বিবৃতি ও ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলনে আনীত কথিত অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির খুলনা মহানগর শাখার আরাফাত হোসেন মিলন এবং সেক্রেটারি রাকিব হাসান। এক বিবৃতিতে তারা বলেন, কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধসহ চার দফা দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থানরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে ছাত্রদল সশস্ত্র হামলা চালায়। যার সচিত্র প্রতিবেদন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ছাত্রদল ও বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে এই নৃশংস হামলায় নেতৃত্ব দেয়। যাতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। ওই হামলায় যে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়িত তার বড় প্রমাণ হচ্ছে দৌলতপুর থানা যুবদলের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমানকে বহিষ্কার। ঘটনার সময় ছাত্রশিবির খুলনা মহানগর শাখার সব জনশক্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে শহীদ হাদিস পার্কের বিশাল সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি বাস্তবায়নে অংশগ্রহণ করে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
মাগুরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২ ভাষা শহীদদের প্রতি বাংলাদেশ আইন সমিতির শ্রদ্ধা এটিএম আজহারের মুক্তির দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে গণঅবস্থান করবে জামায়াত ভারত কি শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে রাজি হবে? বন্দী শিরি বিবাসের পরিবর্তে ‘গাজার এক নারীর’ লাশ দিয়েছে হামাস, দাবি নেতানিয়াহুর কালীগঞ্জে ইয়াবা ও গাজাসহ আটক ২ ভালুকায় ভেকুতে দুর্বৃত্তদের আগুন ক্লাসরুম মাতাবে প্রীতম ও ব্যান্ড লালন সীতাকুণ্ডে হত্যার পর সমুদ্রে ফেলে দেয়া জেলের লাশ উদ্ধার বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে : হামিদুর রহমান আযাদ দামুড়হুদা সীমান্ত থেকে প্রায় ৩৪ লাখ টাকার রুপা উদ্ধার

সকল