২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯ ফাল্গুন ১৪৩০, ২২ শাবান ১৪৪৬
`

১৪৪ ধারা ভাঙার সিদ্ধান্ত

-

রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তমদ্দুন মজলিসের শাখা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ হরতাল আহ্বান করে। সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদও আলাদা কর্মসূচি গ্রহণ করে। রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের হরতাল বানচাল করার জন্য সরকার ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে।
১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা হবে কি না এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি ৯৪, নবাবপুর রোডে আওয়ামী মুসলিম লীগ অফিসে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন তমদ্দুন মজলিসের রাজনৈতিক ফ্রন্টের আহ্বায়ক আবুল হাশিম।
সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের বেশির ভাগ নেতা ১৪৪ ধারা না ভাঙার পক্ষে মত দেন। অলি আহাদ, মুহম্মদ তোয়াহা, আব্দুল মতিন, শামসুল আলম ও গোলাম মওলা ১৪৪ ধারা ভাঙার পক্ষে মত দেন। তবে উপস্থিত সদস্যদের ভোটাভুটিতে তাদের মত টেকেনি। ১৪৪ ধারা না ভাঙার পক্ষে ভোট পড়ে ১৮টি এবং পক্ষে পড়ে চারটি।

২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় ছাত্র সমাবেশের কর্মসূচি ছিল। ভোটাভুটি শেষে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে আব্দুল মতিন সহযোদ্ধা আবুল হাশিমের কাছে একটি প্রস্তাব রাখেন। তিনি বলেন, ১৪৪ ধারা ভাঙা-না-ভাঙার বিষয়টি যেহেতু আগামীকাল ২১ ফেব্রুয়ারি ঘটবে তাই আগামীকাল আমতলায় ছাত্র সমাবেশ পর্যন্ত মুলতবি রাখা হোক এ সিদ্ধান্ত। এ প্রস্তাব গ্রহণ করে পরের দিন ছাত্র সমাবেশে বক্তব্য প্রদানের জন্য শামসুল হক ও কাজী গোলাম মাহবুবকে নির্বাচন করা হয়।
তবে গাজীউল হকের মতে ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভাঙার পক্ষে অনড় ছিল এবং তমদ্দুন মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর আবুল কাসেম ১৪৪ ধারা ভাঙার পক্ষে ছিলেন। তিনি তমদ্দুন মজলিস ঢাবি শাখাকে এ ব্যাপারে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেন। চৌধুরী শাহাবুদ্দীন আহমদকে ঢাবির আমতলার সমাবেশে বক্তব্য প্রদানের জন্য মনোনয়ন করা হয়।

এ দিকে রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে ছাত্ররা পৃথক পৃথক সমাবেশে ১৪৪ ধারা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়। ফজলুল হক হলের ভিপি শামসুল আলম, জিএস আনোয়ারুল হক খান, এস এম হলের এস এ বারী এ বিষয়ে ছাত্রদের সংগঠিত করেন।
২০ ফেব্রুয়ারি রাতে ১১ জন ছাত্রনেতা ১৪৪ ধারা ভঙ্গের গোপন সিদ্ধান্ত নেন। তারা ঢাকা হল ও ফজলুল হক হলের মধ্যবর্তী পুকুরপাড়ে এক গোপন বৈঠকে মিলিত হন। তারা হলেন- আব্দুল মোমিন, আনোয়ার হোসেন, আনোয়ারুল হক খান, গাজীউল হক, হাবিবুর রহমান শেলী, এম আর আখতার মুকুল, মুহাম্মদ সুলতান, মঞ্জুর হোসাইন, এস এ বারী এটি ও কামরুদ্দীন হোসেন শহুদ।
২০ ফেব্রুয়ারি ৯৪, নবাবপুর রোডের বৈঠকে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে খয়রাত হোসেন, আনোয়ারা খাতুন, শামসুল হক, তোয়াহা, অলি আহাদ, শামসুল হক চৌধুরী, কাজী গোলাম মাহবুব, খালেক নেওয়াজ খান, নূরুল আলম, মির্জা গোলাম হাফিজ, মুজিবুল হক, হেদায়েত হোসেন চৌধুরী, আব্দুল মতিন, অধ্যাপক আবুল কাসেম, আব্দুল গফুর, শওকত আলী, ইব্রাহীম তাহা, সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ, আখতার উদ্দীন আহমেদ প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।


আরো সংবাদ



premium cement
বৈষম্যমুক্ত সমাজের অঙ্গীকার মাতৃভাষার জন্য জীবনদান ইতিহাসে নজিরবিহীন : প্রধান উপদেষ্টা কোন নির্বাচন আগে এই বিতর্কে সরকারের জড়ানো উচিত নয় : বিএনপি নিপাহর মতো বিপজ্জনক ক্যাম্পহিল ভাইরাস আবিষ্কার আমরা ফ্যাসিবাদের জ্বালা থেকে এখনো মুক্ত হতে পারিনি : ডা: শফিক রমজানের আগে বাজার স্থিতিশীল থাকলেও ভোজ্যতেলে সঙ্কট কাটেনি তরুণদের নেতৃত্বে ঠেলে দিয়ে বয়স্কদের গাইড করা দরকার জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন হাসিনার আন্তর্জাতিক বৈধতাকে দুর্বল করবে ইসরাইলে রহস্যজনক বাস বিস্ফোরণের পর পশ্চিমতীরে অভিযানের নির্দেশ নেতানিয়াহুর সহজ জয়ে শুরু দক্ষিণ আফ্রিকার ঝিনাইদহে ৩ জনকে গুলি করে হত্যা

সকল