২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭ ফাল্গুন ১৪৩১, ২০ শাবান ১৪৪৬
`
ডিপ্লোম্যাটের গবেষণা

বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ যেভাবে আ’লীগের রাজনৈতিক কৌশলের সাথে জড়িত

-


রাজনৈতিক কারসাজি, আদর্শিক শিকড় এবং পশ্চিমা প্রভাব ছাড়াও বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ কিভাবে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কৌশলের সাথে জড়িত তা দ্য ডিপ্লোম্যাটের এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সন্ত্রাসবাদের জন্য গ্রেফতারকৃতদের সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায় যে সন্ত্রাসবাদের বিষয়টি পশ্চিমাকেন্দ্রিক আখ্যান, আদর্শিক উগ্রবাদ এবং আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কৌশলের সাথে কিভাবে জড়িত। প্রতিবেদক শফি মো: মোস্তফা সন্ত্রাসবাদ আইনে অভিযুক্ত অন্তত ৩২ জন ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। তিনি তার গবেষণায় বিশ্লেষণে দেখতে পান বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ একটি বহুমুখী ঘটনা, যা স্থানীয় এবং বৈশ্বিক রাজনীতির সাথে জটিলভাবে জড়িত। বছরের পর বছর ধরে, এটি রাজনৈতিক সুবিধার জন্য ব্যবহৃত একটি হাতিয়ার, একটি আদর্শিক যুদ্ধক্ষেত্র এবং দেশের ওপর চাপিয়ে দেয়া বহিরাগত আখ্যানের একটি পণ্যে পরিণত হয়েছে।
প্রতিবেদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের একজন সহযোগী অধ্যাপক এবং হাঙ্গেরির সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির ডেমোক্র্যাসি ইনস্টিটিউটের পোস্ট-ডক্টরাল রিসার্চ ফেলো। প্রতিবেদনে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে অভিযুক্ত ৩২ ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নেয়ার বিরল সুযোগের ভিত্তিতে, নির্যাতন, আদর্শিক উগ্রবাদ এবং রাজনৈতিক সুবিধাবাদের একটি জটিল চিত্র উঠে আসে।

২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় ছিল, যা একটি গণবিক্ষোভ ও আন্দোলনের মাধ্যমে পতন হয়। শেখ হাসিনার শাসনামলে, আওয়ামী লীগ সরকার সন্ত্রাসবাদের বিষয়টিকে কার্যকরভাবে ক্ষমতা সুসংহত করতে এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের অবৈধ ঘোষণা করার জন্য ব্যবহার করেছিল। সাক্ষাৎকারের, সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রায় ৭০ ভাগ মানুষ বলেন, তারা সরকারের নীতি এবং আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের উচ্চাকাক্সক্ষার শিকার ছিলেন। এই ব্যক্তিদের বেশির ভাগই দাবি করেন নিরাপত্তা বাহিনী তাদের কোনো প্রমাণ ছাড়াই প্রায়ই পদোন্নতি বা রাজনৈতিক পুরস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আদেশের কথা উল্লেখ করে গ্রেফতার করেছিল। এই পুনরাবৃত্তিমূলক বর্ণনাটি সন্ত্রাসবাদের বিষয়টিকে জীবিত রাখার জন্য পূর্ববর্তী সরকারের একটি পদ্ধতিগত প্রচেষ্টার ইঙ্গিত দেয়।
সাক্ষাৎকার গ্রহীতাদের একজন বর্ণনা করেন সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার হওয়ার ছয় মাস আগে পুলিশ তাকে এবং আরো বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছিল। সে সময় তাদের হাত ও পা বেঁধে একটি বাড়িতে আটক রাখা হয়েছিল। তারপর যখন অভিযানের নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছিল, তখন ভবনের ভেতরে এবং বাইরে গুলির শব্দ শোনা গেল। এরপর হঠাৎ বন্দীদের হাত ও পা খুলে দেয় এবং তাদের হাত উঁচু করে বাইরে হাঁটার নির্দেশ দেয়। কিছুক্ষণ পরে, তাদের ক্যামেরার সামনে বন্দী জঙ্গি হিসেবে কুচকাওয়াজ করা হয়।

আরেকজন একই রকমের একটি বিবরণ শেয়ার করে বলেন যে, প্রকাশ্যে প্রকাশের তিন মাস আগে তাকে আটক করা হয়েছিল। পরে রাজশাহীতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং জঙ্গলে ফেলে রাখা হয়, যেখানে একই রকম পরিস্থিতিতে আরো কয়েকজনকে দেখতে পান। কর্তৃপক্ষ একটি গল্পের কোরিওগ্রাফি করে, যেখানে তারা সংবাদমাধ্যমের সামনে তুলে ধরে যে, এই ব্যক্তিরা একটি জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য, যারা জঙ্গলে লুকিয়ে থাকার সময় ধরা পড়েছিল। সংবাদমাধ্যমে প্রচার করা হয় যে, এই ব্যক্তিরা সুপরিচিত এবং একটি সমন্বিত নেটওয়ার্কের অংশ-যদিও তাদের বেশির ভাগেরই আগে কখনো দেখা হয়নি।
সবচেয়ে অবাস্তব বর্ণনাগুলোর মধ্যে একটি হলো একজন আটক ব্যক্তি যিনি তার আনুষ্ঠানিক গ্রেফতারের আগে চার মাস ধরে আটক ছিলেন। এরপর জনসম্মুখে হাজির করার আগে কর্তৃপক্ষ তার চেহারা পরিবর্তন করে জঙ্গির স্টেরিওটাইপের সাথে মানানসই করে। তার লম্বা চুল এবং দাড়ি ছাঁটাই করা হয় এবং খালি পায়ের পরিবর্তে জুতা দেয়া হয়। ক্যামেরার মুখোমুখি হওয়ার সময়, তাকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যক্তির মতো দেখাচ্ছিল- একজন বিপজ্জনক মৌলবাদীর বর্ণনার সাথে মিলে যাওয়ার জন্য সাবধানে তৈরি করা চিত্র এটি।

এই গল্পগুলো পদ্ধতিগত কারসাজির একটি চিত্র তুলে ধরে, যেখানে ব্যক্তিদের কেবল তাদের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করা হয়নি বরং রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার জন্য একটি বানোয়াট আখ্যানে তাদের ভূমিকা পালন করতে বাধ্য করা হয়েছিল।
আওয়ামী লীগের লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় সক্ষম একমাত্র শক্তি হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করা- আন্তর্জাতিক সমর্থন, বিশেষ করে পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে, তাদের বৃহত্তর কৌশলের অংশ। আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনাও এই আখ্যানটিকে অভ্যন্তরীণভাবে কাজে লাগিয়ে বিরোধী দল, বিশেষ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং তার মিত্রদের সন্ত্রাসবাদের সমর্থক বা মদদদাতা হিসেবে চিত্রিত করেছেন। ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর তার বক্তব্যে, হাসিনা এই অনুভূতির উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, ‘আমাকে বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে, তাই না? কার কাছে? একটি সন্ত্রাসী দল, একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের কাছে? জনগণের কাছে, ‘জনগণের’ কাছে আমার জবাবদিহিতা আছে।’ বিএনপিকে সন্ত্রাসবাদের সাথে মিশিয়ে দেয়ার এই রাজনৈতিক কৌশল কেবল বিরোধী দলকেই অবৈধ করেনি বরং জনমতকেও মেরুকরণ করেছে, একটি বিভক্ত রাজনৈতিক দৃশ্যপট নিশ্চিত করেছে যা ক্ষমতাসীন দলকে উপকৃত করেছে।

বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের কাঠামো পশ্চিমা আখ্যানের প্রভাব, বিশেষ করে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিশ্ব সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের প্রভাব স্বীকার না করে বোঝা যায় না। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী একটি সন্ত্রাসবিরোধী এজেন্ডা প্রচার করে যা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সামরিকীকরণ এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর নজরদারিতে জোর দেয়। এই এজেন্ডা বাংলাদেশেও বিস্তৃত হয়, যেখানে ওয়াশিংটন স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ এবং সরঞ্জাম দেয়, দেশের সন্ত্রাসবিরোধী কৌশলগুলোতে পশ্চিমা কাঠামো অন্তর্ভুক্ত করে।
এই পশ্চিমাকেন্দ্রিক পদ্ধতি বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদবিরোধী আলোচনাকে উল্লেখযোগ্যভাবে রূপ দিয়েছে। এর ফলে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের ওপর জোর দেয়া হয়েছিল, ইসলাম এবং সহিংসতার মধ্যে সম্পর্ক আরো জোরদার হয়েছিল। এই আখ্যানটি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার সহজেই গ্রহণ করেছিল, যা রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে তাদের কর্মকাণ্ডকে ন্যায্যতা দেয়ার জন্য এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ে নিজেকে একজন দায়িত্বশীল অংশীদার হিসেবে চিত্রিত করার জন্য ব্যবহার করেছিল। তবে পশ্চিমা আখ্যানের ওপর এই নির্ভরতার অপ্রত্যাশিত পরিণতি হয়েছিল, যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশী প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাসবাদের সূক্ষ্ম বোঝাপড়াকে প্রান্তিক করা এবং উগ্রবাদে অবদানকারী স্বদেশী কারণগুলোকে উপেক্ষা করা।

আমার সাক্ষাৎকার থেকে আরেকটি উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার ছিল ভুল নীতির প্রভাব এবং সন্ত্রাসবাদবিরোধী আইনের অপব্যবহার। আমি যে ৩২ ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নিয়েছি, তাদের মধ্যে প্রায় ২০ ভাগকে ছোটখাটো কার্যকলাপের জন্য আটক করা হয়েছিল, যেমন- বিশ্বব্যাপী দুর্দশাগ্রস্ত মুসলমানদের সাথে সংহতি প্রকাশ করা বা অনলাইনে ইসলামিক বিষয়বস্তুতে জড়িত হওয়া। এই পদক্ষেপগুলো, যদিও সহজাতভাবে বিপজ্জনক নয়, প্রায়ই তাদের কার্যকারিতা প্রদর্শন করতে আগ্রহী নিরাপত্তা বাহিনী দ্বারা উগ্রবাদের লক্ষণ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল।
এ ধরনের নীতিগুলো কেবল ব্যক্তিগত অধিকার লঙ্ঘন করে না বরং জনসংখ্যার কিছু অংশকে বিচ্ছিন্ন করার ঝুঁকিও তৈরি করে, প্রকৃত উগ্রবাদের জন্য একটি প্রজনন ক্ষেত্র তৈরি করে। যখন ব্যক্তিরা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন বা অন্যায্য আচরণের শিকার হন, তখন তারা রাষ্ট্রের প্রতি মোহভঙ্গ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ফলে চরমপন্থী মতাদর্শের প্রতি তাদের দুর্বলতা বাড়ে। হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের সংস্কারের অংশ হিসেবে, সন্ত্রাসবাদ দমনের জন্য আরো সূক্ষ্ম পদ্ধতির প্রয়োজন, যা প্রকৃত হুমকি এবং বিশ্বাস ও সংহতির অহিংস প্রকাশের মধ্যে পার্থক্য করে।

রাজনৈতিক কৌশল এবং পশ্চিমা প্রভাব বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদ আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ দিক হলেও, চরমপন্থার আদর্শিক ভিত্তি উপেক্ষা করা যায় না। আমি যাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছি, তাদের মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ প্রকৃতই চরমপন্থী মতাদর্শ দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিলেন। তারা বিশ্বব্যাপী এবং স্থানীয় ঘটনাবলী, যেমন সঙ্ঘাতপূর্ণ অঞ্চলে মুসলমানদের হত্যা, মুসলিম ভূমিতে আক্রমণ এবং বাংলাদেশে নাস্তিক ব্লগারদের দ্বারা ইসলামের ওপর অনুভূত আক্রমণে হতাশা প্রকাশ করেছেন। এই ব্যক্তিদের জন্য, এসব ঘটনা তাদের বিশ্বাস এবং সম্প্রদায়ের জন্য অস্তিত্বগত হুমকির প্রতিনিধিত্ব করে, যা প্রতিরোধের আহ্বানকে ন্যায্যতা দেয়। তাদের প্রায়ই অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে উগ্রপন্থী করা হতো, যেখানে মুসলিম ভ্রাতৃত্বকে মহিমান্বিত এবং শত্রুদের নিন্দা করে এমন চরমপন্থী বিষয়বস্তু ব্যাপকভাবে ভাগ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম চরমপন্থী মতাদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠেছে, যেখানে ব্যক্তিরা ‘লাইক’ করে, মন্তব্য করে এবং বিষয়বস্তু ভাগ করে নেয়, এর প্রভাব সম্পূর্ণরূপে না বুঝেই।

এই গোষ্ঠীটি একটি প্রকৃত হুমকির প্রতিনিধিত্ব করে যা উপেক্ষা করা যায় না। তবে তাদের প্রেরণা প্রায়ই জটিল সামাজিক-রাজনৈতিক এবং মনস্তাত্ত্বিক কারণগুলোর মধ্যে নিহিত থাকে, যার মধ্যে রয়েছে প্রান্তিকীকরণের অনুভূতি, অবিচার এবং অন্তর্ভুক্তির আকাক্সক্ষা। শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বাইরে কার্যকর সন্ত্রাসবাদ দমন কৌশল বিকাশের জন্য এই মূল কারণগুলোকে মোকাবেলা করা অপরিহার্য।
বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের রাজনীতি বৃহত্তর বৈশ্বিক এবং স্থানীয় গতিশীলতার প্রতিফলন। এটি পশ্চিমাকেন্দ্রিক আখ্যান, আদর্শিক সংগ্রাম এবং শাসক দলের রাজনৈতিক কৌশল দ্বারা গঠিত। তবে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের বর্তমান আলোচনা প্রায়ই চরমপন্থার জটিল বাস্তবতাকে অতিরঞ্জিত করে, ব্যক্তিদের উগ্রবাদের দিকে চালিত করে এমন সামাজিক-রাজনৈতিক এবং মনস্তাত্ত্বিক কারণগুলোকে উপেক্ষা করে। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলার জন্য, সন্ত্রাসবাদ দমনের জন্য বাংলাদেশের আরো সামগ্রিক পদ্ধতির প্রয়োজন।

যদিও বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদ দমন কাঠামোর নিজস্ব স্থান রয়েছে, সেগুলোকে স্থানীয় প্রেক্ষাপটের সাথে খাপখাইয়ে নেয়া উচিত, বাংলাদেশের অনন্য সামাজিক-রাজনৈতিক বাস্তবতাকে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। সন্ত্রাসবিরোধী আইনগুলোতে বিশ্বাস বা সংহতির অহিংস প্রকাশকে অপরাধী করার পরিবর্তে প্রকৃত হুমকির ওপর জোর দেয়া উচিত। প্রান্তিক সম্প্রদায়ের অভিযোগগুলো সমাধানের জন্য প্রচেষ্টা চালানো উচিত, তাদের মধ্যে আত্মীয়তা এবং অন্তর্ভুক্তির অনুভূতি জাগানো উচিত। ক্ষমতাসীন দলের উচিত সন্ত্রাসবাদকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা এড়িয়ে চলা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর আস্থা কমায় এবং সমাজকে মেরুকরণ করে।
এই পদক্ষেপগুলো নেয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় আরো অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং কার্যকর পদ্ধতির দিকে এগিয়ে যেতে পারে, যা রাজনৈতিক সুবিধাবাদ এবং বহিরাগত চাপের চেয়ে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার এবং সামাজিক সম্প্রীতিকে অগ্রাধিকার দেয়।


আরো সংবাদ



premium cement
নাসিরনগরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারীসহ আহত শতাধিক চাকরিচ্যুত উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের বিষয়ে রায় ২৫ ফেব্রুয়ারি ইউরোপকে জেগে ওঠার আহ্বান গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও শিল্পসচিবকে বাধ্যতামূলক অবসর মুন্সীগঞ্জে আবারো ৪ কঙ্কাল চুরি গ্রিনল্যান্ড অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে থাকা উচিত : ট্রাম্প তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার : প্রধান উপদেষ্টা ইসরাইলের লাগাতার হামলার কারণে তোমাদের সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখতে পারিনি সাভারে গোডাউনে আগুন, আড়াই ঘণ্টায় নিয়ন্ত্রণে নারায়ণগঞ্জে এনজিও কর্মকর্তা হত্যায় যুবকের যাবজ্জীবন আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি : হাসনাত আবদুল্লাহ

সকল