পবিত্র শবেবরাত পালিত
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫০
ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে সারা দেশে পবিত্র শবেবরাত পালিত হয়েছে। শুক্রবার রাতে মহান আল্লাহর রহমত লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা রাতভর ইবাদত-বন্দেগিতে মগ্ন ছিলেন। এ উপলক্ষে দেশের মসজিদগুলোতে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া সারা রাত নফল নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত, জিকির, মিলাদ মাহফিল, হামদ, নাত, কবর জিয়ারত ও দান সদকা করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। ভোরে তাহাজ্জুদের নামাজ শেষে আখেরি মুনাজাতে আল্লাহ তায়ালার কাছে অতীতের পাপ ও অন্যায়ের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করেন মুসল্লিরা। এ উপলক্ষে অনেকে নফল রোজাও পালন করেন।
প্রতি বছর হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি ‘শবে বরাত’ হিসেবে পালিত হয়। এ দিন রাতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ রাজধানীর পাড়া-মহল্লার মসজিদগুলোতে বিপুলসংখ্যক মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন। সারা দেশেই মসজিদগুলোতে ইবাদতের পাশাপাশি এ রাতের ফজিলত ও বিশেষত্ব নিয়ে আলোচনা করেন আলেমরা। পবিত্র শবে বরাতকে কেন্দ্র করে আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও গরিব-দুঃখীর মধ্যে অনেকে বিভিন্ন ধরনের খাবার বিতরণ করেন। অনেকে কবরস্থানে গিয়ে স্বজনদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে মুনাজাত করেন।
চট্টগ্রামে শবেবরাতে রমজানের আমেজ : চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রাম নগরীতে শুক্রবার ও গতকাল শনিবার অন্য রকম এক আমেজ বিরাজ করেছে। খাবারের দোকানগুলোতে সামিয়ানা টাঙিয়ে ইফতার সামগ্রী বিক্রি হয়েছে। অভিজাত বিভিন্ন দোকানে স্পেশাল খাবারের ব্যবস্থা করেছে। মসজিদে মাগরিবের আজানের সময় সুনশান নীরবতা ছিল নগরজুড়ে। ইফতার করা নিয়ে ব্যস্ততা ছিল অধিকাংশ নগরবাসী। যেন পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে।
শুক্রবার শবেবরাতের রাতে চট্টগ্রাম নগরের মসজিদগুলোতে মুসল্লিদের ঢল নামে। মসজিদ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে রাস্তায় পর্যন্ত মুসল্লিরা কাতার বেঁধে নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে। অনেকেই সারা রাত জিকির আসকান করে সময় কাটিয়েছে।
শবেবরাত উপলক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কপোরেশন নগরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ঝাড়বাতি দিয়ে আলোকসজ্জা করে। নগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, মসজিদ ও মাজার সাজানো হয়। অনেক এলাকায় মহল্লা কমিটির উদ্যোগে দিনভর মাইকে কুরআন তেলাওয়াতের ব্যবস্থা করেছে। নগরের প্রায় মসজিদে আলোকসজ্জা করা হয়।
গতকাল শনিবার বন্ধের দিনও নগরবাসী মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা এবং রোজা রাখার মাধ্যমে কাটিয়েছে।
নগরের চকবাজার, কাজীর দেউরী, নিউ মার্কেট এলাকা, আগ্রাবাদ ও ষোলশহর এলাকায় গতকাল স্থায়ী দোকানদারদের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ দোকানদার ইফতার সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন।
কাজীর দেউরী এলাকার ভ্রাম্যমাণ দোকানদার আরিফ আলম বলেন, সাড়ে পাঁচ হাজার টাকার ইফতারি নিয়ে তিনি বেলা ৩টার দিকে বসেছিলেন। দুই ঘণ্টার মধ্যে তার সব ইফতারি বিক্রি হয়ে যায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা